না বলেই পুত্রবধূর মেকআপের জিনিসপত্র ব্যবহার করেন শাশুড়ি। আর তা-ই নাকি মানসিক নির্যাতনের শামিল। অভিযোগে ডিভোর্সের মামলা পর্যন্ত দায়ের করে বসলেন তরুণী।
না বলে বারবার মেকআপের জিনিসে হাত দেন শাশুড়ি। আর তাতেই চটে লাল তরুণী। এই ঘটনার জেরে নিজেকে মানসিকভাবে নির্যাতিত বলেও মনে করছেন তিনি। আর সেই অভিযোগ তুলেই সোজা ডিভোর্সের মামলা দায়ের করে বসেছেন ওই তরুণী।
আরও শুনুন: ঘনিষ্ঠ অবস্থায় মৃত্যু, যুগলের অতৃপ্ত আত্মা এখনও ঘুরে বেড়ায় এই পাহাড়ি রাস্তা?
কী ঘটেছে ঠিক?
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি আগ্রার মালপুরা এলাকার। আট মাস আগে ওই তরুণী এবং তাঁর বোনের বিয়ে হয় একই পরিবারে দুই ছেলের সঙ্গে। বিয়ের পর একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে প্রসাধনী ব্যবহার করতে গিয়ে তরুণী লক্ষ করেন যে অন্য কেউ ওই জিনিসগুলি ব্যবহার করেছে। কে এমনটা করতে পারে, সে কথা ভেবে বেশ ধন্দে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু খেয়াল রাখতে রাখতে বুঝতে পারেন, অন্য কেউ নয়, এ কাজ করছেন তাঁর শাশুড়ি। একবার নয়, বারবারই লুকিয়ে বধূর প্রসাধন ব্যবহার করেন তিনি, এমনটাই অভিযোগ তরুণীর। কিন্তু স্বামীকে এ কথা জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। উলটে শাশুড়ির সঙ্গেই বেধে গিয়েছে ঝগড়া। শাশুড়ির নির্দেশে তাঁকে এবং তাঁর বোনকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে, আগ্রা পুলিশের কাছে এই মর্মে অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী। বিগত দু’মাস ধরে দুই বোন রয়েছেন তাঁদের বাবার বাড়িতেই। এবার বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে পারিবারিক পরামর্শ কেন্দ্রের দ্বারস্থ হলেন তরুণী। বধূ ও শাশুড়ির একসঙ্গে কাউন্সেলিং করার চেষ্টাও করা হয়েছিল বটে, তবে তাতেও লাভ হয়নি। স্বামীর বিরুদ্ধে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলেই ডিভোর্সের দাবিতে অনড় তরুণী।