মনের মতো জীবনসঙ্গী খুঁজে পাওয়া প্রায় লটারি মেলার মতোই। তাই এই কাজের জন্য লটারির মতোই পুরস্কার ঘোষণা করলেন এক তরুণী। যিনি তাঁকে পছন্দসই পাত্র খুঁজে দিতে পারবেন, তিনিই পাবেন ওই পুরস্কার, ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৪ লক্ষ টাকা। আর তরুণীর এহেন ঘোষণাতেই শোরগোল নেটপাড়ায়। শুনে নিন।
মনের মতো পাত্র মিলছে না কিছুতেই। তাই সরাসরি বিজ্ঞাপনের দ্বারস্থ হলেন এক তরুণী। না না, পাত্র চাই বলে বিজ্ঞাপন দেননি তিনি। তেমনটা তো ঘটেই থাকে। বদলে তিনি যে পন্থা নিয়েছেন, তা দেখেই চমকে গিয়েছেন নেটিজেনরা। আসলে পাত্র খুঁজে দেওয়ার জন্যই বিজ্ঞাপন দিয়েছেন তিনি। আর সেই কাজে কেউ সফল হলে তাঁর জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করেছেন তিনি। আর সেই পুরস্কারের অঙ্ক নেহাত কম নয়। ওই তরুণী ঘোষণা করেছেন, তাঁকে যিনি মনের মতো স্বামী খুঁজে দিতে পারবেন, তাঁকেই ৫ হাজার ডলার, অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেবেন তিনি।
আরও শুনুন: জামার ভিতর বুকের মাঝে লুকানো পাঁচটা জ্যান্ত সাপ! বিমানবন্দরে মহিলাকে দেখে হতবাক নিরাপত্তাকর্মীরা
এমনিতে পোষ্য খুঁজে আনার জন্য পুরস্কার ঘোষণা, কিংবা কোনও কঠিন কাজ করতে পারলে পুরস্কারের ঘোষণা, এমনটা শোনাই যায়। কিন্তু সেই কাজটি যে পাত্র খোঁজা হতে পারে, এমনটা মনে হয় কেউ ভাবতে পারেননি। কিন্তু বছর ৩৫ বয়সের ইভ টিলে কোলসান-এর এ নিয়ে কোনও সংকোচ নেই। তিনি একা থাকতে চান না, বরং মনের মতো কোনও সঙ্গীর সঙ্গেই বাকি জীবনটা কাটাতে চান। আর সেই সঙ্গীকে খুঁজে পাওয়ার জন্য এই পথটিই সবচেয়ে কার্যকরী হতে পারে বলে মনে করছেন ওই তরুণী। কেমন পাত্র চাই, সে কথাও একইসঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। ২৭ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে কোনও অবিবাহিত পুরুষকেই বিয়ে করতে চান তিনি। তাঁর উচ্চতা অন্তত ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি হওয়া দরকার। পাশাপাশি হাসিখুশি আর খেলাধুলোয় আগ্রহী হতে হবে তাঁকে, ভালবাসতে হবে পশুপাখি আর শিশুদেরও। আর এমন কোনও মানুষকে খুঁজে দেওয়ার জন্যই সোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধুদের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
আরও শুনুন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিদেশ সফরে নিয়মিত সঙ্গী, জানেন কে এই মহিলা?
ওই তরুণী লস অ্যাঞ্জেলেসের বাসিন্দা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়েছেন, বছর পাঁচেক ধরে কোনও সঙ্গী ছাড়া একাই রয়েছেন তিনি। সঙ্গী খোঁজার চেষ্টা চালিয়েছেন বারে বারেই, তবে তাতে এখনও পর্যন্ত কোনও ফল মেলেনি। বিভিন্ন ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে এই সঙ্গী খুঁজতে চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু ইভের মতে, কোভিডের পর থেকে ডেটিং সংস্কৃতিতে বড় বদল এসেছে। এখন ডেটিং অ্যাপে কেউই সম্পর্ক তৈরি করতে আগ্রহী নয়। বরং নিছক টাইমপাস আর বিনোদনের উপায় হিসেবেই ওই ডেটিং অ্যাপগুলিকে ব্যবহার করছে অধিকাংশ তরুণ তরুণী, এমনটাই মত ইভের। সেখানে কোনও লাভ না হওয়ায় বন্ধুদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ইভ। কিন্তু তাঁরাও কেউই তাঁকে মনের মতো পাত্র খুঁজে দিতে পারেননি। অবশেষে এই কাজের জন্য সরাসরি পুরস্কার ঘোষণাই করে বসলেন ওই তরুণী।