দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। যা কিছুতেই মেনে নেয়নি পরিবার। তরুণীর মতের বিরুদ্ধে দেওয়া হয় বিয়ে। এবার সেই সম্পর্ক একেবারেই মানতে নারাজ তরুণী। তাই বিয়ের পরেও সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন প্রেমিকের সঙ্গে। সম্প্রতি সেই যুবকের সঙ্গেই নতুন করে সংসার পেতেছেন তিনি। আর তাঁকে পালাতে সাহায্য করেছে কর্ণাটকে সদ্য চালু হওয়া মহিলাদের ফ্রি-বাসের সুবিধা। কী ঘটেছে ঠিক? আসুন শুনে নিই।
কথায় আছে, জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে। কার ভাগ্যে কে আছে, তা সত্যিই আগে থেকে নির্ধারণ করা কঠিন। তেমনই প্রমাণ মেলে এক সাম্প্রতিক ঘটনায়। বিয়ের পরেও পুরনো প্রেমিকের সঙ্গেই সংসার পাতার সিদ্ধান্ত নিলেন তরুণী। আর সেই প্রেমিকের কাছে তাঁকে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে কর্ণাটকে সদ্য চালু হওয়া মহিলাদের ফ্রি-বাস সুবিধা।
আরও শুনুন: ৭০ লাখের গাড়িতে চড়ে চা বিক্রি! ভাইরাল দুই যুবকের কাণ্ড
ঘটনাটি কর্ণাটকের হুবালি এলাকার। সেখানকার এক তরুণীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই সম্পর্ক ছিল এক স্থানীয় যুবকের। কিন্তু পরিবার তাঁদের এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। জোর করে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় তরুণীর। নতুন সম্পর্ক মেনে নিতে একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না ওই তরুণী। তাই বিয়ের পরও প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন। এদিকে বিয়ের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তরুণী। তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাপের বাড়িতে। তরুণী বুঝতে পারেন এই সুযোগ। প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে দেন তিনি। তখন অবশ্য সেই যুবক অন্যত্র থাকেন। তাই নিয়মিত দেখা করা সম্ভব হত না তাঁদের। এরপর সময়মতো ফুটফুটে সন্তানের জন্ম দেন ওই তরুণী। তারপর কেটে যায় ১১ মাস। এতদিন সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতেই ছিলেন তিনি। তবে এর মধ্যেই প্রেমিকের সঙ্গে নতুন করে সংসার পাতবেন, এমনটা ঠিক করেই ফেলেন। অপেক্ষা ছিল শুধু সুযোগের। কারণ প্রেমিকের কাছে পৌঁছানোর মতো টাকা তাঁর ছিল না।
আরও শুনুন: বিয়ের খরচ প্রায় ৫০ লক্ষ, বছর দুই ঘুরতেই বাড়ির সব পরিচারককে নিয়ে উধাও স্বামী
তবে তাঁকে সেই সুযোগ করে দেয় খোদ কর্ণাটকে সরকার। মহিলাদের সুবিধার্থে সদ্যই সেখানে ‘ফ্রি-বাস’ পরিষেবা চালু হয়েছে। সরকারের ভাবনা ছিল এই পরিষেবা রাজ্যের মহিলাদের উন্নতিতে কাজে আসবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল অন্য ছবি। ফ্রি-বাস পরিষেবার জন্যই কোনও টাকা পয়সা না থাকা সত্ত্বেও প্রেমিকের কাছে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন তিনি। পূর্ব পরিকল্পনা মতো সেখানে তাঁর সঙ্গে সংসার পেতেছেন ওই তরুণী, এমনটাই জানা গিয়েছে। যদিও ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে ওই মহিলার পরিবার। বিশেষত ওই দুধের শিশুকে ফেলে চলে যাওয়ার ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না কেউই। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।