মণ্ডপ থেকে সাজগোজ, জোগাড়যন্ত্রে কোনও ত্রুটি ছিল না। বিয়েবাড়িতে যেমন ভিড় আর ব্যস্ততা থাকে, ব্যতিক্রম হয়নি তাঁরও। সেজেগুজে তৈরি কনেও। তাঁর পছন্দের গোলাপি রঙেই সাজানো হয়েছে সব কিছু। এমনকি কনের পোশাকেও সেই রঙেরই ছোঁয়া। তবে বর দেখতে এসে অবাক অতিথিরা। কী দেখলেন তাঁরা শেষমেশ? শুনে নিন।
বিয়ের অনুষ্ঠানের ঝক্কি কি কম! সেসব হাজার রকমের ঝক্কি সামলেই বিয়ের আয়োজন করেছিলেন তরুণী। আর তাতে খামতি ছিল না এতটুকুও।
আরও শুনুন: প্রতি মিনিটে অর্ডার ১১৫ প্লেটের, চলতি বছরে দেশে রেকর্ড চাহিদা বিরিয়ানির
কনের পছন্দের রং গোলাপি। সেই রংকেই থিম করে সাজানো হয়েছিল বিয়ের মণ্ডপ। বিয়ের জোগারযন্ত্র থেকে শুরু করে কনের পোশাক। সব কিছুতেই ছিল সেই প্রিয় রঙেরই ছোঁয়া। আগত অতিথিরাও সেজেছিলেন কনের পছন্দের রঙেই।
তবে বিয়ের সময় যত এগিয়ে আসতে লাগল, ততই চোখ কপালে উঠল অতিথিদের। সবই আছে, তবে বরবাবাজির তো দেখা নেই কোত্থাও! এতদিন ধরে অনেক বিয়েরই সাক্ষী হয়েছেন তাঁরা। দুটো মানুষ একসঙ্গে থাকার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করে এই অনুষ্ঠানে। কিন্তু এই বিয়েবাড়িতে এসে অতিথিরা যা দেখলেন, তাতে বিস্ময় কাটছে না তাঁদের।
আরও শুনুন: বাঙালি খানসামার সঙ্গে মহারানির ‘বিশেষ’ সম্পর্ক, তোলপাড় পড়েছিল বিশ্বে
জানেন কাকে বিয়ে করেছিলেন সেদিন ওই কন্যা? শুনলে ভিরমি খাবেন আপনারাও।
পাত্র আর কেউই নয়, সারাজীবনের সঙ্গী হিসেবে সেরা সেদিন বেছে নিয়েছিলেন তাঁর প্রিয় রং গোলাপিকেই। হ্যাঁ, অবিশ্বাস্য হলেও এমনটাই ঘটেছে লাস ভেগাসে।
সেরা নামে ওই মহিলা বিয়ে করেছেন তাঁর পছন্দের রংকেই। তাঁর দাবি, বিগত চল্লিশ বছর ধরে গোলাপি রঙের সঙ্গেই সম্পর্কে রয়েছেন সেরা। আর তাকেই আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বীকৃতি দিলেন তিনি।
বছর দুয়েক বয়স থেকেই গোলাপি রঙের প্রতি দুর্বলতা তাঁর। পোশাক আশাক থেকে শুরু করে পছন্দের সব কিছুই গোলাপি রঙে দেখতেই ভালবাসেন সেরা।
সেদিন বিয়ের অনুষ্ঠানেও একটি গোলাপি গাউনে সেজেছিলেন তিনি। মাথায় ছিল একটি গোলাপি টায়রা, চুলেও ছিল গোলাপি রঙের ছোঁয়া। এমনকি লিপস্টিক বা গয়নাগাঁটিও ছিল সেই রঙেরই। অনুষ্ঠানের ড্রেসকোডও ছিল গোলাপি। বিয়ের আংটিও ছিল গোলাপি পাথরের। এমনকি বিয়ের অনুষ্ঠানে একটি অভিজাত হুডখোলা গাড়ির ব্যবস্থা করেছিলেন সেরা। বলাই বাহুল্য, তা-ও ছিল গোলাপিই।
বাকি অংশ শুনে নিন।