মা হতে চান তিনি। সন্তানের সম্ভাব্য বাবা কে হতে পারেন, সোশ্যাল মিডিয়াতেই সেই খোঁজে নেমে পড়লেন তরুণী। কী ঘটল তারপর? আসুন, শুনেই নেওয়া যাক।
সন্তান পেতে চান তিনি। এদিকে আপাতত কোনও সঙ্গী নেই তাঁর। ভরসা নেই স্পার্ম ব্যাঙ্কের উপরেও। সুতরাং তাঁর সন্তানের বাবা কে হবেন, তা খুঁজতে নিজেই ময়দানে নামলেন তরুণী। থুড়ি, সোশ্যাল মিডিয়ায়। সন্তানধারণের জন্য শুক্রাণু চাই তাঁর, এই মর্মে সোশ্যাল মিডিয়াতে খোলাখুলি খোঁজ চালিয়েছেন কানাডার এই তরুণী।
আরও শুনুন: বিমানবন্দরে প্রকাশ্যেই খুলতে হল পোশাক, কর্মীর নির্দেশে অস্বস্তিতে দুই মহিলা
সারা মানগাট নামের ওই তরুণীর বয়স ৩৪। এই বয়সে পৌঁছে মা হওয়াই যায়, এমনটাই ভেবেছিলেন তিনি। ঠিক করেছিলেন আর একলা থাকবেন না। কিন্তু তার জন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে চাননি তিনি। কোনও পুরুষ সঙ্গী নয়, বরং সন্তানকে দিয়েই নিজের জীবন ভরিয়ে তুলতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রেমিকের থেকে সন্তান ধারণের কথা না ভাবলেও, একেবারে অপরিচিত কারও সন্তান ধারণ করবেন, এই বিষয়টিতেও ঠিক স্বচ্ছন্দ হতে পারছিলেন না তরুণী। স্পার্ম ডোনেশন ব্যাঙ্কের থেকে শুক্রাণু নিলে সন্তানের পিতৃপরিচয় জানার কোনও উপায় থাকবে না, অন্তত তার ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত। কিন্তু ওই তরুণী মনে করেন, তাঁর সন্তানের পিতা কে, তা জানার অধিকার তাঁর আছে। তাই কোনও স্পার্ম ব্যাঙ্কের থেকে সাহায্য নেওয়ার বদলে তিনি ঠিক করে ফেলেন, অন্য পথ নেবেন। সেইমতোই সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হন তরুণী।
আরও শুনুন: গোলাপ হাতে হাঁটু মুড়ে বসতে আপত্তি, আস্ত কিবোর্ড দিয়েই বান্ধবীকে প্রোপোজ যুবকের
তবে সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর এই খোঁজ কিন্তু বৃথা যায়নি। একাধিক পুরুষকে খতিয়ে দেখে একজনকে পছন্দ হয় ওই তরুণীর। ওই ব্যক্তি যৌনরোগ ও জিনের যাবতীয় পরীক্ষা করাতেও রাজি হন। দুজনের মধ্যে একরকম বন্ধুত্ব হয়ে যায় বলেও জানিয়েছেন ওই তরুণী। এমনকি অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তাঁর খেয়ালও রেখেছেন ওই ব্যক্তি। শেষ পর্যন্ত ওই ব্যক্তির শুক্রাণু নিয়েই যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তরুণী। দুই শিশুকে নিয়ে খুশিতে ভরে উঠেছেন নতুন মা।