পুরুষ সঙ্গী যৌনতায় মাতলেও, সঙ্গিনীর কাছে যৌনতৃপ্তি যেন অধরা মাধুরী। অনেক মহিলাই এমন অভিযোগ করে থাকেন। কিন্তু এই মহিলার দাবি, তাঁর স্বামীর মতো যৌনসুখ পৃথিবীর আর কোনও পুরুষ দিতে পারবেন না। কারণ তাঁর স্বামী তো পৃথিবীর বাসিন্দাই নন! ঠিক কার সঙ্গে যৌনতার কথা বলেছেন ওই মহিলা? আসুন শুনে নিই।
বয়স ৩০০ বছরের একটু বেশি। স্বাভাবিক ভাবেই তিনি ইহলোকের কেউ হতে পারেন না। কিন্তু তাতে কী! বিছানায় তাঁর মতো সমর্থ পুরুষ আর নেই। তাই দ্বিতীয়বার না ভেবে ভূতের সঙ্গেই গাঁটছড়া বেঁধেছেন মহিলা। ভাবছেন তো, কোনও সিনেমার গল্প শোনাচ্ছি! একেবারেই না। বাস্তবেই ঘটেছে এমন কান্ড।
আরও শুনুন: ব্লাউজ খুলতেই হবে! পরিচালকের নির্দেশে আপত্তি মাধুরীর… কী হয়েছিল তারপর?
ঘটনাটি আয়ারল্যাণ্ডের। সেখানকার বাসিন্দা আমান্ডা টেগ দীর্ঘদিন ধরেই বিবাহবিচ্ছন্না। পাঁচ সন্তানের মা আমান্ডার দিন কাটত সন্তানদের দেখাভাল করেই। কিন্তু হঠাত একদিন বিছানায় শুয়ে অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হয় তাঁর। ঠিক অদ্ভুত বললে ভুল হবে, যে কোনও নারীরই এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে। ঠিক ধরেছেন, যৌনতার কথাই বলছি। বিছানায় শুয়ে সেদিন যৌনতার চরম অনুভূতিই হয়েছিল আমান্ডার। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এই, যে সেইসময় তাঁর আশেপাশে কেউ ছিল না। তাহলে কে তাঁকে এমন তৃপ্তি দিল?
আরও শুনুন: গল্প হলেও সত্যি! রুপোলি পর্দায় উদ্দাম যৌনতার অভিনয় তারকাদের, নেপথ্যে কী ঘটে?
শুনতে অবাক লাগলেও, সেদিন আমান্ডাকে তৃপ্ত করেছিল ভূতেই। একবার নয় এরপর বারবার সেই ভূতের সঙ্গে মিলিত হতেন আমান্ডা। এমনটা অন্য কেউ নয়, দাবি করেছেন খোদ তিনিই। ধীরে ধীরে সেই ভূতের সঙ্গে তাঁর পরিচিতি আরও বাড়ে। জানতে পারেন, ভূতের বয়স ৩০০ বছরের একটি বেশি। জীবিত অবস্থায় তিনি ছিলেন জলদস্যু। একসময়, হাইতি অঞ্চল তাঁর নাম শুনে কাঁপত। অন্যান্য দস্যুদের মতোই অজানা কারণে তাঁর মৃত্যু হয়। কিন্তু ইহলোকের মায়া তিনি কাটাতে পারেননি। এদিকে তাঁরও যৌনক্ষুধা প্রবল। তাই সময় অসময়ে আমান্ডার সঙ্গে মিলিত হতেন জলদস্যুর সেই ভূত। এভাবে মাস ছয় কাটানোর পর আমান্ডা বুঝতে পারেন, তিনি ভূতের প্রেমে পড়েছেন। এছাড়া আমান্ডা মনে করতেন, কোনও পুরুষের সঙ্গে একবার মিলিত হলে তাঁকে বিয়ে করতেই হবে। উপায় না বুঝে জলদস্যুর ভূতকে নিজে থেকেই বিয়ের প্রস্তাব দেন আমান্ডা। ভূতও রাজি হল সহজেই। ব্যস আর কী চাই! দুজনেই ঠিক করে ফেলেন বিয়ের দিনক্ষণ। কিন্তু সমস্যা একটাই, আয়ারল্যান্ডে ভূতের সঙ্গে বিয়ের কোনও আইনি স্বীকৃতি নেই। এদিকে জলদস্যু ভূতের ইচ্ছা ছিল মাঝ সমুদ্রে বিয়ে করবেন। সেইমতোই দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে নৌকোর উপর তাঁদের বিয়ের আসর বসে। পুরো ঘটনার সাক্ষী ছিলেন আমান্ডার পরিবারের অনেকেই। যদিও এই বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। প্রথম কয়েকবছর উদ্দাম যৌনতায় মাতলেও, ধীরে ধীরে ভূতের প্রতি আগ্রহ হারান আমান্ডা। একদিন নিজেই দাবি করেন, তিনি ফের বিবাহবিচ্ছিন্না হয়েছেন। তবে এই ঘটনা যে একেবারেই বিরল সেকথা বলাই বাহুল্য। বিয়ের আগে ভালোবাসার মানুষ মারা গেলে, তিনি বারবার ফিরে আসেন। এমনটা বেশিরভাগ ভূতের সিনেমাতেই দেখা যায়। কিন্তু জীবদ্দশায় একবারও দেখা না হওয়া কোনও ভূতের সঙ্গে যৌন মিলনের ঘটনা সিনেমার গল্পকারও ভাবতে পারেননি। শুধু তাই নয়, সেই ভূতকে বিয়ে করে কয়েক বছর সংসার কর। সব মিলিয়ে আমান্ডা ও তাঁর ৩০০ বছর বয়সী স্বামীর প্রেমকাহিনি শুনলে যে কেউ অবাক হতে বাধ্য।