জানলা খোলা। সেদিকে খেয়াল নেই। শরীরী খেলায় মেতে উঠেছেন নবদম্পতি। এমন দৃশ্য অন্য কারও ভালো লাগতেই পারে। কিন্তু প্রতিবেশী এক মহিলার মোটেও পছন্দ হয়নি। বারবার জানলা বন্ধের কথা বলেছেন তিনি। কিন্তু তাতেও লাভ না হওয়ায় সরাসরি থানায় ছুটেছেন মহিলা। কী হল তারপর? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
আরও কাছাকাছি, আরও কাছে এসো…দুজনের মনে সবসময় এই গান বাজছে। দিন নেই রাত নেই একে অন্যকে কাছে টেনেও নিচ্ছেন। কিন্তু সমস্যা একটাই, একটু কাছাকাছি এলেই ভেসে আসছে চিৎকার। জোর গলায় পাশ থেকে কেউ বলছেন, ‘জানলা বন্ধ কর!’
নাহ না, কোনও সিনেমার দৃশ্য বর্ণনা করছি না। বাস্তবেই এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে বেঙ্গালুরুর এক দম্পতির। সদ্য বিয়ে হয়েছে তাঁদের। এসময় উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে থাকারই কথা। তাই সময় অসময়ে একে অপরকে কাছে টেনে নেন। কিন্তু উত্তেজনার বশে খেয়াল থাকে না জানলা বন্ধের কথা। আর তাতেই চটে লাল প্রতিবেশী মহিলা। জানলা খোলা রেখে কেন যৌনতা সারবে নবদম্পতি, এই প্রশ্নের উত্তর কিছুতেই খুঁজে পান না তিনি। তাই এমনটা হচ্ছে দেখলেই, প্রতিবাদে সরব হন। প্রথমে চিৎকার করে জানলা বন্ধ করতে বলতেন। উত্তেজনার মুহূর্তে ওমন চিৎকার শুনে নবদম্পতিও বেশ বিরক্ত হতেন। কাজেই কিছুক্ষণের মধ্যে শুরু হয়ে যেত ঝগড়া। দু পক্ষের যুক্তিতেই জোর আছে। স্রেফ ব্যাপারটা মিটমাট করার কেউ নেই। তাই দিনের পর দিন এভাবেই অশান্তির মধ্যে নতুন সংসার চালিয়ে যেতে হত ওই দম্পতিকে। কিন্তু কতদিন আর এভাবে চলা যায়! এতবার বলা সত্তেও জানলা বন্ধ না করেই যৌনতা সারা হচ্ছে দেখে অস্থির হয়ে ওঠেন প্রতিবেশী মহিলা। হাজির হন পুলিশ স্টেশনে। সেখানে ওই নবদম্পতির নামে অভিযোগও দায়ের করেন। ব্যাপারটা জানতে পেরে চটে যান ওই নবদম্পতিও। সঙ্গে যোগ দেন তাঁদের বাড়ির মালিক। মহিলার নামে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরাও।
যদিও দু পক্ষের অপভিযোগ একেবারেই আলাদা। প্রতিবেশী মহিলা আপত্তি মূলত জানলা খুলে যৌনতা নিয়ে। সেইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ ওই নবদম্পতি তাঁকে বিভিন্নভাবে অপমান করেছে। এমনকি তাঁদের বাড়ির মালিকও নানা অশ্লীল হুমকি দিয়েছে বলে দাবি করেন মহিলা। অন্যদিকে সদ্য বিবাহিত ওই দম্পতির দাবি মহিলা ইচ্ছা করে এমনটা করেছেন। এমন কিছুই গুরুতর হয়নি বলে দাবি তাঁদের। একইভাবে তাঁদের বাড়ির মালিকও দাবি করেছেন সব দোষ ওই প্রতিবেশী মহিলার। তিনিই ইচ্ছা করে বচসায় জড়িয়েছেন। তবে এমন ঘটনা বেশ অবাক করেছে নেটদুনিয়াকে। প্রতিবেশীর অভিযোগও যেমন অদ্ভুত তেমনই জানলা খুলে যৌনতাও অদ্ভুত বলেই মনে করছে নেটিজেনদের একাংশ। এবার আসলে দোষী কে তা ঠিক করবে পুলিশই। আপাতত পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দুপক্ষের অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। ঘটনার উপযুক্ত তদন্তের পরই নেওয়া হবে আগামী পদক্ষেপ। এমনটাই জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।