কিনতে চেয়েছিলেন একটিমাত্র বাড়ি। ভুল করে কিনে ফেললেন গোটা এলাকাটাই। হয়ে গেলেন একসঙ্গে ৮৪খানা বাড়ির মালকিন। স্রেফ একটুখানি লেখার ভুল থেকেই ঘটে গেল এমন কাণ্ড। কী ঘটেছে ঠিক? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
লেখার সময় টুকটাক ভুলভ্রান্তি আমাদের অনেকেরই হয়ে থাকে। সামান্য ভুল বলে আমরাও হয়তো সেসব উড়িয়েই দিই। কিন্তু সেই সামান্য ভুলই যে কখনও মহাভারতের চেহারা নিতে পারে, তা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন এক মহিলা। স্রেফ একটুখানি লেখার ভুলেই বেশ কয়েক কোটি টাকা গাঁটগচ্চা গিয়েছে তাঁর, এমনটাই জানিয়েছেন ওই মহিলা। ভাবছেন কী করে হল এসব? তাহলে খুলেই বলা যাক।
আরও শুনুন: ‘কেন মুসলিমকে দেওয়া হল জাতীয় পতাকা তৈরির বরাত?’, ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ বয়কটের ডাক হিন্দু ধর্মগুরুর
আসলে আমেরিকা নিবাসী এই মহিলা একটি বাড়ি কিনতে চেয়েছিলেন। স্বপ্নের বাড়ি কেনার জন্য দিয়েছিলেন ৫০ মিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি টাকা। কিন্তু বাড়ির দলিল হাতে পেয়ে তো তাঁর চক্ষু চড়কগাছ। একটিমাত্র বাড়ি কেনার জায়গায় তিনি নাকি ৮৪টি বাড়ি কিনে বসে আছেন! বলা ভালো, একটি বাড়ি নয়, গোটা একটা পাড়ার মালকিন হয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনিই। এবার কেনাকাটা করার শখ যাঁদের থাকে, একটি পছন্দের জিনিস কিনতে গিয়ে আরও পাঁচটা জিনিস কেনা হয়ে যাওয়াটা তাঁদের কাছে খুব একটা আশ্চর্যের নয়। কিন্তু এ তো আর কোনও ছোটখাটো জিনিস নয়। এতগুলো বাড়ি নিয়ে যে কী করবেন, মহিলা প্রথমে তা বুঝেই উঠতে পারছিলেন না। তারপর পুরো বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর চালাতে শুরু করেন তিনি। আর সেখান থেকেই উঠে আসে এক আশ্চর্য তথ্য। দেখা যায়, আসলে এমন বাড়াবাড়ি কাণ্ড ঘটানোর জন্য দায়ী তাঁরই লেখা। থুড়ি, লেখার ভুল। আসলে, বাড়ি কেনার দরখাস্তে কোনও এক জায়গায় কপি পেস্ট করতে গিয়ে ভুল করে গোটা এলাকার আইনি নাম লিখে ফেলেছেন তিনি। এদিকে পরে আর মন দিয়ে পড়েও দেখেননি দরখাস্তটি। আর তাতেই হয়েছে এমন কাণ্ড।
আরও শুনুন: তেরঙার বদলে ভারত মাতার হাতে গৈরিক পতাকা কেন? ফের বিতর্ক কর্ণাটকের বিশ্ববিদ্যালয়ে
প্রথমে কিছু বুঝতে না পারলেও ঘটনাটি টের পেয়ে রীতিমতো ঘাবড়ে যান মহিলা। বিদেশের মাটিতে এমন ভুল করলে আইনি সমস্যায় জড়িয়ে পড়তে হয় ভালোভাবেই। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই ভেবেছিলেন ওই মহিলা। যদিও বাস্তবে এই সমস্যার সমাধানের আশ্বাস পাওয়া গিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফে। ভুল করে পাওয়া ওই বিপুল সম্পত্তি ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলেই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তবে এহেন ভুলের কথা যে তিনি ভুলতে পারবেন না, তা বলাই যায়।