সহকর্মীর সঙ্গে সঙ্গমরত অবস্থায় মৃত্যু হয়েছিল স্বামীর। স্বামীর মৃত্যুর পর সেই বিশ্বাসঘাতকতার প্রতিশোধ নিলেন স্ত্রী। বুঝিয়ে দিলেন, মৃত্যুও মুছে দিতে পারেনি ঘৃণার তীব্রতাকে। কী ঘটেছে ঠিক? শুনে নেওয়া যাক।
স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও এক সহকর্মীর সঙ্গেই দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া চালিয়ে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। তাঁর মৃত্যুর সূত্রেই সকলের সামনে চলে আসে সেই কাণ্ড। জানা যায়, সেই মহিলা সহকর্মীর সঙ্গে সঙ্গমকালেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। তিনি জীবিত থাকতেও এহেন বিশ্বাসঘাতকতার জের বয়ে বেড়াতে হয়েছিল তাঁর স্ত্রীকে। আর স্বামীর মৃত্যুর পরেও সেই ঘৃণা কমেনি মহিলার মন থেকে। আর তাই স্বামীর মৃত্যুর পর সেই বিশ্বাসঘাতকতার প্রতিশোধ নিলেন স্ত্রী। মৃত স্বামীর কবরে খোদাই করে লিখে দিলেন, ‘লম্পট’।
আরও শুনুন: ৩০০ পুরুষের সঙ্গে ৩০০ ভঙ্গিতে যৌনতার রেকর্ড! পর্ন তারকার যুগ শেষ বলে দাবি করলেন সেই অভিনেত্রীই
বেঁচে থাকতে একজন যে কাজই করে থাক না কেন, মৃত্যুতে তার ভালমন্দ সবকিছুরই অবসান হয়, এমনটাই মনে করেন অনেকে। কিন্তু কোনও কোনও ঘটনা বোধহয় আরও দীর্ঘস্থায়ী ছাপ রেখে যায়। যে অভিঘাত কাটিয়ে উঠতে পারেন না অনেকেই। ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিটি উপস্থিত না থাকলেও সেই ঘটনার জের চলতেই থাকে। এক্ষেত্রেও এমনটাই ঘটেছে বলে বুঝিয়ে দিয়েছেন ওই মহিলা এবং তাঁর ছেলে। হ্যাঁ, মায়ের এই কাজকে দ্বিধাহীন ভাবে সমর্থন জানিয়েছে তাঁর ছেলেও। এমনকি মায়ের এই আচরণের কথা নেটমাধ্যমে সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতেও কোনও কুণ্ঠা হয়নি তার। বরং তার বাবা যা করেছিলেন, সেই প্রেক্ষিতে এমন আচরণকেই যুক্তিযুক্ত বলে মনে করেছে ছেলেটি।
আসলে যে কোনও সন্তানের পক্ষেই মায়ের অপমান সহ্য করা অসম্ভব। ছেলেটি বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছে, তার বাবার এহেন আচরণের দরুন কীভাবে তার মাকে দিনের পর দিন মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছিল। নিজের স্ত্রীকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছিলেন ওই ব্যক্তি। পরিবর্তে এক সহকর্মীর সঙ্গে কেবল মানসিক নয়, শারীরিক সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েন তিনি। আর যেভাবে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার কালে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়, সে ঘটনায় পরিবারের থেকে আরও অশ্রদ্ধা কুড়িয়েছিলেন তিনি। আর তারই পরিণতি দেখা গিয়েছে মৃতের কবরকে অসম্মান করার এই আচরণে।
আরও শুনুন: বিজেপিকে টক্কর দিতে হাতিয়ার গরুই, প্রতিশ্রুতি পূরণের দাবিতে হাজার হাজার গরু ছাড়া হল গুজরাটের রাস্তায়
ঘটনাটির কথা নেটদুনিয়ায় জানিয়ে এই কাজের প্রেক্ষিতে সকলের কী প্রতিক্রিয়া, তাই জানতে চেয়েছিল ছেলেটি। তার প্রশ্নের জবাবে কেউ কেউ ওই মহিলাকে সমর্থন জানিয়েছেন। আবার কারও কারও মতে কোনও পরিস্থিতিতেই মৃতকে অসম্মান করা উচিত নয়। এদিকে ওই ব্যক্তির কাজকেও সমর্থন করা যায় না বলে মত প্রকাশ করেছেন অনেকে। সব মিলিয়ে এই প্রেক্ষিতে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গিয়েছেন নেটিজেনরাও।