বেড়াতে গিয়েছেন অন্য দেশে। অথচ জানা গেল, সেখানেও নাকি বউ পাওয়া যাবে চাইলেই। তবে হ্যাঁ, বউ কিনতে হবে সেখানে। ব্যাপারটা ঠিক কী? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
বেড়াতে গিয়েও বউ পাওয়া যাবে চাইলেই। বেড়ানোর সময় যতটুকু, সেইটুকু সময়ের জন্যই। নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়েই অবশ্য মিলবে সে বউ। হ্যাঁ, টুরিস্টদের জন্যই এহেন সুযোগ সাজানো রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার এক অঞ্চলে। আসলে সেখানকার তরুণীদের বারবার বিয়ের প্রবণতা দেখেই বিষয়টির দিকে নজর পড়ে ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন দপ্তরের। জানা যায়, কোনও তরুণী বিয়ে করেছেন ১৫বার, তো কেউ ২০বার! তবে প্রতিটি বিয়েই হয়েছে কোনও না কোনও টুরিস্টের সঙ্গে। বারেবারেই ক্ষণিকের সংসার পেতেছেন এই তরুণীরা। কিন্তু কেন?
সেইখানেই লুকিয়ে আসল গল্প। এই বিয়ের নাম ‘প্লেজার ম্যারেজ’। সত্যি বলতে, যে কোনও দেশে গিয়েই অর্থের বিনিময়ে শারীরিক সংসর্গে লিপ্ত হতে পারেন যে কেউ। তবে তার জন্য এমন কারও সঙ্গেই লিপ্ত হতে হবে, যিনি দেহব্যবসাকে পেশা হিসাবে নিয়েছেন। এখানে বিষয়টা ঠিক তেমন নয়। কেবলমাত্র শয্যাসঙ্গিনী নন, সাময়িকভাবে একজন সঙ্গিনীই পাবেন কোনও পুরুষ। শুধু যৌন সংসর্গই নয়, ঘরের কাজও করবেন সেই তরুণী। স্ত্রী-র সমস্ত ভূমিকাই পালনও করবেন। তবে সাময়িকভাবেই। যতদিন সফরের মেয়াদ, বিয়ের মেয়াদও ঠিক ততদিনই।
আসলে অর্থ উপার্জনের জন্যই এই কাজ বেছে নিয়েছেন পশ্চিম ইন্দোনেশিয়ার পানকাক অঞ্চলের অনেক তরুণী। সেক্স টুরিজমকেই নয়া মোড়কে পেশ করা হচ্ছে এখানে। ২০২২-এর ডিসেম্বর থেকে ইন্দোনেশিয়া বিবাহবহির্ভূত যৌনতাকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছে। ফলে টুরিস্টদের পক্ষে দেহোপজীবিনী কোনও নারীকে পাওয়া আর সহজ নয়। সেখানে উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছে এই প্লেজার ম্যারেজ। প্রথমদিকে পরিবারের সদস্যরাই মেয়েদের পরিচয় করিয়ে দিতেন টুরিস্টদের সঙ্গে। এখন বিভিন্ন এজেন্সি পুরো বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়ে গেলেই সম্পন্ন হয় বিয়ে। ওই পুরুষ পর্যটকের সফর শেষ হলে, তিনি চলে গেলেই বিয়ের মেয়াদও শেষ। আর এইভাবেই কোনও তরুণী ১৫বার, কেউ ২০বার বিয়ে সেরেছেন এখানে। যেমন এক তরুণী বলছেন, তাঁর প্রথম স্বামী ছিলেন সৌদি আরবের এক বছর পঞ্চাশের ব্যক্তি। বছর পাঁচেক তাঁর সঙ্গে বিবাহিত জীবনও কাটিয়েছিলেন তিনি, তবে প্রস্তাবিত টাকার মাত্র অর্ধেক মিলেছিল। আরেক তরুণীর দাবি, কুড়িবার বিয়ে করার পর এই বিয়ের বাজার থেকে ছুটি মিলেছে তাঁর। তবে, এই প্লেজার ম্যারেজ-এর দরুন দেশের পর্যটন খাতে লাভ বাড়ছে বলেই দাবি স্থানীয়দের।