বিয়ের মতো একটি সম্পর্কের গুরুত্ব অস্বীকার করছে না তরুণ প্রজন্ম। তবে, কেমন হয় যদি ঝামেলার সূত্রপাত যে কারণগুলোর জন্য, তা গোড়াতেই সরিয়ে দেওয়া যায়? তাই বিয়ের নতুন ধরনের দিকে ঝুঁকছেন অনেকেই। কেমন সে ভাবনা? শুনে নেওয়া যাক।
সাত পাকে বাঁধা পড়বেন। কিন্তু এক ছাদের তলায় থাকবেন না। বিয়ের শর্ত নাকি এমনটাই! তাতেই রাজি হচ্ছেন পাত্র-পাত্রী। নাহ, দাম্পত্যে ঝামেলা নয়; ঝামেলা এড়াতেই এরকম সিদ্ধান্তের দিকে ঝুঁকছেন ফিলহাল তরুণ-তরুণীরা।
দাম্পত্য দু’জন মানুষকে নতুন সম্পর্কে বেঁধে ফেলে। তবে, সর্বদা যে তালমিল জোরদার হয়, তা নয়। দু’জন মানুষ একে অপরকে বুঝে নিতে সময় নেন; তাতে ঠোকাঠুকি কিছু লাগে বটে। দাম্পত্য-ঝামেলা নতুন কিছু নয়। কেউ কেউ বলেন, আসলে দু’জন মানুষ যখন একটি সম্পর্কের খোপে মাথা গলান তখন অনেকরকম সমঝোতা, বোঝাবুঝির দরকার হয়। সেখান থেকেই হয়তো ঝামেলার সূত্রপাত। তবে, কেউ কেউ সেই নড়বড়ে সাঁকো পেরিয়ে যেতে পারেন। অনেকেই পারেন না। ফলত সম্পর্কের হাঁসফাস থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন।
তরুণ প্রজন্মের ভাবনা ঠিক এই জায়গা থেকেই শুরু। বিয়ের মতো একটি সম্পর্কের গুরুত্ব তাঁরা অস্বীকার করছেন না। তবে, কেমন হয় যদি ঝামেলার সূত্রপাত যে কারণগুলোর জন্য, তা গোড়াতেই সরিয়ে দেওয়া যায়? আইনগত বিয়ের যা যা পদ্ধতি, তা মানতে তাঁরা তৈরি। তবে, তার মানে যে এক ছাদের তলায় দু’জনকে থাকতেই হবে তার তো কোনও মানে নেই। প্রত্যেকেই কর্মব্যস্ত। ব্যক্তিগত জীবনের নিজস্ব দাবি-দাওয়া আছে। অর্থাৎ প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত স্পেস দরকার। সেই স্পেস বজায় রেখেই সম্পর্কে থাকা যায়। দায়-দায়িত্ব পালন করা যায়। এমনকী সপ্তাহান্তে বা সুযোগসুবিধামতো একসঙ্গে থাকা বা সময় কাটানোও যায়। তাতে অনর্থক ঝুটঝামেলো তো থাকেই না, উলটে সম্পর্ক যেন আরও খানিক স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে।
যে কোনও সম্পর্কের ভিতরই খোলা আকাশ থাকে। তা বদ্ধ গড় হতে পারে না। বিয়ে কখনও সখনও চিরায়ত ধারণার কারণেই অনেকটা আলো-না-দেখা গড় হয়ে ওঠে। তাতেই সম্পর্ক বিষিয়ে যায়। তার ফল ভুগতে হয় দু’জন মানুষকে। তাই তরুণ প্রজন্ম আগেই সেই সম্ভাবনায় জল ঢেলে বিয়ের এই নতুন ধরনের দিকে ঝুঁকেছেন। জাপানে এই নতুন ধরনের বিয়ে বেশ ট্রেন্ডিং। এবং তাতে সানন্দ রাজি সে-দেশের তরুণ-তরুণীরা। সেই ট্রেন্ড কি গোটা বিশ্বেও ছড়াবে? আগামী দিনেই তার উত্তর মিলবে।