এক ভাই কোটিপতি। অর্থের মতো নামযশেরও কমতি নেই তাঁর। অথচ অন্য ভাইয়ের একটি মোবাইল ফোন পর্যন্ত নেই। একটি সাধারণ ফ্ল্যাটেই দিন কাটে তাঁর। হ্যাঁ, বিজনেস টাইকুন রতন টাটার ভাইয়ের জীবন কাটে এভাবেই। শুনে নেওয়া যাক তাঁর কথা।
প্রচুর অর্থ সম্পদ থাকলেও কোনও কোনও মানুষ শিকড়ে পা রেখে চলেন। টাটা গোষ্ঠীর প্রাক্তন কর্ণধার রতন টাটা সম্পর্কে এমনটাই মনে করেন অধিকাংশ মানুষ। ধনসম্পত্তির দিক দিয়ে তিনি দেশের প্রথম সারির একজন তো বটেই, উপরন্তু দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় শিল্পপতিদের মধ্যে একজন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়াতে ৭ লক্ষ অনুগামী রয়েছে তাঁর। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতেই একটি সাদা কালো ছবি ভাগ করে নিয়েছিলেন বর্ষীয়ান শিল্পপতি। যেখানে দেখা গিয়েছিল পাশাপাশি দুই কিশোরকে, সঙ্গে তাদের কুকুরটি। এই ছবির সঙ্গে রতন টাটা লিখেছিলেন, “সেসব সুখের দিন ছিল। আমাদের মধ্যে কেউ আসেনি।” ১৯৪৫ সালে তোলা এই ছবিতে একজন তিনি, কিন্তু অন্য কিশোর কে? সে উত্তরও অবশ্য দিয়েছিলেন তিনি নিজেই। জানিয়েছিলেন, অন্যজন তাঁর ভাই জিমি। আর এই ছবি দেখেই নেটিজেনরা আরও বেশি উৎসুক হয়ে পড়েন রতন টাটার এই ভাইয়ের পরিচয় জানতে।
আরও শুনুন: মহিলা কর্মীদের সঙ্গে প্রেমের ছাড়পত্র দিচ্ছে সংস্থা! কেন বিতর্ক জমল নেটপাড়ায়?
নিজে বিয়ে না করলেও রতন টাটার পরিবারপ্রীতির কথা সকলেরই জানা। ছোট ভাইয়ের প্রতি তাঁর ভালবাসার আঁচ পাওয়া যায় এই ছবি থেকেই। ভাইয়ের জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতেই ওই ছবিটি পোস্ট করেছিলেন তিনি। অবশ্য এর আগে জিমি টাটার কথা সোশ্যাল মিডিয়াতে জানিয়েছিলেন হর্ষ গোয়েঙ্কাও। তবে জিমি নিজে সোশ্যাল মিডিয়া বা কোনোরকম প্রচারের ধারেকাছেও আসেন না। মুম্বইয়ের কোলাবায় একটি দু’ঘরের ছোট ফ্ল্যাটেই থাকেন তিনি। বৈষয়িক ব্যাপারে কোনও দিনই তিনি বিশেষ মাথা ঘামাননি। এখনও পর্যন্ত একটি মোবাইল ফোনও নিজের কাছে রাখেন না তিনি। বই, পত্রপত্রিকা, খেলাধুলো- এইসব নিয়েই দিন কাটান নেভাল টাটার এই ছোট ছেলে। যদিও টাটা গোষ্ঠীর অন্যতম শরিক জিমি। টাটা মোটরস, টাটা স্টিল, টাটা সনস, টিসিএস, টাটা পাওয়ার, টাটা কেমিক্যাল এবং হোটেল, এই সবকিছুরই একটা বড় অংশ রয়েছে তাঁর নামে। ব্যবসার উন্নতির খবরও তিনি রাখতে ভোলেন না। কিন্তু তার মধ্যে কোনও দিনই নিজেকে ডুবিয়ে দেননি তিনি। অঢেল ঐশ্বর্য থাকলেও একান্ত নিজস্ব এক সাংস্কৃতিক পরিসর গড়ে নিয়েছেন ধনী পরিবারের এই সন্তান, একইসঙ্গে সহজ জীবন বাঁচার এক উদাহরণও হয়ে উঠেছেন তিনি।