কখনও মতের অমিল, কখনও ব্যক্তিগত সমস্যা। নানান কারণে বিবাহ বিচ্ছেদের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নেন অনেক দম্পতি। তবে কয়েকটি দেশে এই বিবাহবিচ্ছেদের হার চোখে পড়ার মতো। কোন কোন দেশ রয়েছে তালিকায়? আসুন শুনে নিই।
শোনা যাচ্ছে, বিয়ের পরে মলদ্বীপেই নাকি হানিমুন সারবেন বলিউডের এই মুহূর্তের সবচেয়ে চর্চিত জুটি, সিদ্ধার্থ মালহোত্রা এবং কিয়ারা আডবানি। আর শুধু তাঁরাই নয়, একান্ত পরিসরে রোমান্টিক ছুটি কাটাতে অনেক দম্পতিরই পছন্দের তালিকার একেবারে শীর্ষে রয়েছে এই জায়গা। কিন্তু জানেন কি, যে জায়গা অধিকাংশ দম্পতির কাছেই যাকে বলে আদর্শ ‘হানিমুন ডেস্টিনেশন’, সেখানকার মানুষদের মধ্যেই বিবাহবিচ্ছেদের প্রবণতা নাকি সবথেকে বেশি। আজ্ঞে হ্যাঁ। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। প্রতি বছর ১০০০-এর মধ্যে অন্তত ৬ দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ হয় এই দ্বীপের দেশে। যার প্রধান কারণ বহুগামিতা। তবে শুধু মলদ্বীপই নয়, বিবাহবিচ্ছেদের হার হিসেব করলে তাক লাগিয়ে দেবে অনেক দেশই। ভাবছেন, কোন কোন দেশ রয়েছে সেই তালিকায়? আসছি সে কথাতেই।
আরও শুনুন: ‘সরকারি চাকুরে পাত্রী চাই’, বিয়ের জন্য পোস্টার হাতে রাস্তায় ধরনা ব্যক্তির
আসলে বিচ্ছেদ শব্দটির সঙ্গে যত যন্ত্রণাই জড়িয়ে থাকুক না কেন, পরিস্থিতির জেরে অনেকসময়ই এই ঘটনার মুখোমুখি হতে হয় একাধিক দম্পতিকে। বর্তমানের ব্যস্ত পৃথিবীতে যেন আরও বেড়ে চলেছে বিচ্ছেদের হার। আর বিশ্বের কোন কোন দেশে এই বিবাহ বিচ্ছেদের হার সবথেকে বেশি, সেই নিয়েই সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে একটি সমীক্ষা। সেই সমীক্ষা মোতাবেক দেখা যাচ্ছে, মলদ্বীপেই বিচ্ছেদের হার সবচেয়ে বেশি। তালিকায় এর পরেই রয়েছে ইউক্রেন। বর্তমানের যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটিতে বিবাহবিচ্ছেদের মূল কারণ নাকি বাইরের নয়, ঘরের যুদ্ধ, অর্থাৎ গার্হস্থ্য অশান্তি। গোটা ইউরোপের মধ্যে এই দেশেই ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের হার সবথেকে বেশি। তালিকায় এরপরেই রয়েছে বেলজিয়াম। সেখানে ১০০০ জনের মধ্যে প্রায় ৪ জন করে বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন প্রত্যেক বছরেই। একইভাবে সুইডেন, ডেনমার্ক কিংবা কিউবার নাগরিকদের মধ্যেও বিবাহবিচ্ছেদের প্রবণতা লক্ষ করা যায় ভালমতোই। তালিকায় রয়েছে বিশ্বের দুই প্রথম সারির দেশও। তারা আর কেউ নয়, খোদ আমেরিকা ও রাশিয়া। সমীক্ষা অনুযায়ী আমেরিকায় প্রতি ১০০০ জন দম্পতির মধ্যে ২ জন বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। রাশিয়ায় আবার সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ জন, অন্তত তেমনটাই জানাচ্ছে এই সমীক্ষা।