প্রতি বছর ২৪ ডিসেম্বর রাতে বাড়িতে বাড়িতে উঁকি দিয়ে যান এক লাল জামা পরা বুড়ো। তাঁর সাদা দাড়ি গোঁফে ভরা হাসিমুখ চোখে পড়লেই বাচ্চা থেকে বড়, সব্বার মন ভাল হয়ে যায়। আমরা তাঁকে চিনি সান্তা ক্লজ নামে। কিন্তু নাম জানলেও, ধাম জানি কি? জানি কি, যে, কোথায় থাকেন সান্তা ক্লজ?
সান্তা ক্লজ প্রতি বছর বড়দিনের আগের রাতে আমাদের বাড়িতে আসেন, এ কথা তো জানা। কিন্তু তাঁর নিজের বাড়ি কোথায়? বছরের বাকি সব দিন কোথায় থাকেন তিনি? আসুন, বড়দিনের মরশুমে খুলে বলা যাক সে কথাই।
আরও শুনুন: বড়দিনে আলোয় সেজে ওঠে বো ব্যারাক, গল্প বলে এক অন্য কলকাতার
ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি থেকে ছাড়ে ফিনিশ ডাবল ডেকার ট্রেন। তার নাম সান্তা ক্লজ এক্সপ্রেস। আর এই ট্রেনে একবার চড়ে বসতে পারলেই আপনি পৌঁছে যাবেন সান্তা ক্লজের বাড়িতে। হ্যাঁ, ল্যাপল্যান্ডের রোভানিয়েমিতে সত্যি সত্যিই বাড়ি রয়েছে সান্তার। কেবল বাড়ি নয়, সেখানে রয়েছে তাঁর অফিস, নিজস্ব পোস্ট অফিস, এমনকি রেইন ডিয়ার অর্থাৎ বল্গা হরিণের ফার্মও। সান্তার বাড়ি সারাবছর বরফে মোড়া থাকে। হবে নাই বা কেন, সান্তার এই বাড়ির উপর দিয়েই যে চলে গিয়েছে কাল্পনিক আর্কটিক লাইন বা উত্তর মেরু রেখা। বছরে একদিন, ২২ ডিসেম্বর, এখানে সূর্যের ঘুমই ভাঙে না। আবার ২১ জুন তারিখটিতে চব্বিশ ঘণ্টাই দেখা মেলে সুয্যিমামার। কেবল সান্তার বাড়ি নয়, গোটা গ্রামের গাছপালা, মাঠ, রাস্তা, সবকিছুর উপরেই বিছিয়ে থাকে বরফের চাদর। সব মিলিয়ে যেন বড়দিনের কার্ডের ছবির মতোই সুন্দর এই গ্রাম।
আরও শুনুন: শুধু শীতের আমেজে বিকিকিনি নয়, কোন উদ্দেশ্যে শুরু হয়েছিল পৌষমেলা?
সান্তা ক্লজের নামেই এই গ্রামের নাম সান্তাক্লজ ভিলেজ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আমলে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল ছবির মতো এই গ্রামটি। পাঁচের দশকে একে ফের সাজিয়ে তোলা হয়। ফার্স্ট লেডি ইলিনর রুজভেল্টের উদ্যোগে উত্তর মেরুতে একটি কেবিনও তৈরি করা হয়। তবে সান্তা ক্লজের বাড়ি হিসেবে যথাযথ স্বীকৃতি পেতে এই গ্রামের সময় লেগেছে আরও অনেক দিন।
শুনে নিন বাকি অংশ।