ছুটি নিলেই টান পড়ে মাইনের অঙ্কে। কষ্ট হলেও মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু এমনও অফিস আছে, যেখানে এসবের তোয়াক্কা করেন না কোনও কর্মী। জানতে চান, কোথায় সেই অফিসের ঠিকানা? তাহলে আসুন, শুনে নিই।
অফিসে ছুটির আর্জি করে খালি হাতে ফিরে আসেনি, এমন কর্মী খুঁজে পাওয়া কঠিন। শুধু কি তাই? ছুটি চাইলেই সহ্য করতে হয় বসের চোখরাঙানি। তাতেও যদি কোনোক্রমে ছুটি মঞ্জুর হয়, তাও এর দুটো কথা, ওর দুটো মুখভার- এসব তো লেগেই আছে। সবার ওপরে তো রয়েছেই মাইনে আতঙ্ক। ছুটি নিলেই অফিস বেমক্কা থাবা বসাবে আপনার মাইনের টাকায়। আর মাসমাইনের শুরুতেই কড়কড়ে নগদে এমন ফাঁক হয়ে গেলে, মাসের শেষ অবধি টানাটানি করা সত্যিই মুশকিল।
কিন্তু জানা যাচ্ছে, এমন অফিসও রয়েছে, যেখানে এসব কোনও কিছুরই ভয় নেই। কী ভাবছেন? ভুল শুনলেন? আরে না না। একদম ঠিক শুনেছেন।
আরও শুনুন: অফিসে অত্যধিক কাজের চাপে বাড়ছে ওজন, ‘ওভারওয়ার্ক ওবেসিটি’ কী?
আসলে কাজের বাহানায় স্বস্তির নিঃশ্বাসটুকু ফেলতে না পারার ঘটনা নেহাত নতুন নয়। কিন্তু ছুটি নিতে গেলে ওপরমহলের কাছে কম সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় না। তার উত্তরে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগও সবসময় থাকে না। কারণ ক্ষমতার রাশ কর্তৃপক্ষের হাতে। আর সেই কর্তৃপক্ষের কথা অমান্য করলে চাকরিতে বাড়বে মেলা ঝুঁকি। তাই এই জটিলতায় না গিয়ে অফিসের সঙ্গে আপস করে চলেন অধিকাংশ কর্মীই। সেই পুরোনো একঘেয়ে সমস্যাতে লাগাম দিতেই এবার অভিনব উপায় বের করেছে এই সংস্থাগুলি। নেটফ্লিক্স, কিকস্টার্টার, লিঙ্কডইনের মতো বহুজাতিক সংস্থাগুলি এনেছে সীমাহীন ছুটির বন্দোবস্ত। তাদের নিয়ম বলছে, বিরতি না নিয়ে একটানা কাজ করে গেলে একটি নির্দিষ্ট সময় পর আপনাকে বোনাস হিসেবে দেওয়া হবে অফুরন্ত ছুটি। এবং তাতে কাটাও যাবে না আপনার মাইনে। অফিসের কাজের চাপ থেকে কর্মীকে খানিক অব্যাহতি দিতে এবং উপযুক্ত কর্মীদের আরও খানিকটা বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দিতেই এই ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, ছুটির লোভের গাজর দেখিয়ে কর্মীদের যদি নিজেদের কাজে আরও খানিকটা মনোযোগী এবং দায়িত্বশীল করে তোলা যায়, তাতে কর্তৃপক্ষের লাভ বই ক্ষতি নেই। তবে বলে রাখা যাক, মার্কিন মুলুকে থাকা কর্মীদের জন্যই কিন্তু আপাতত এমন সুযোগ রেখেছে সংস্থাগুলি। তবে কখনও না কখনও এ সুযোগ যে আপনারও হাতের মুঠোয় আসবে না, সে কথা কি বলা যায়!