কেন ঘুম আসছে না, এর উত্তর পাওয়া তো একরকম মরুভূমিতে জল খোঁজার সমান। চিকিৎসাশাস্ত্রে, মনস্তত্ত্বে এর অনেক ব্যাখা রয়েছে। কিন্তু ঘুমপাড়ানির আসল মন্ত্রটা জানেন কি?
ঘুম আসে না। সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে বা এপাশ-ওপাশ করে কেটে যায় সারারাত। এই অসহ্য অবস্থাকে সহ্য করতে হয় অনেককেই। কেন ঘুম আসছে না, এর উত্তর পাওয়া তো একরকম মরুভূমিতে জল খোঁজার সমান। চিকিৎসাশাস্ত্রে, মনস্তত্ত্বে এর অনেক ব্যাখা রয়েছে। কিন্তু ঘুমপাড়ানির আসল মন্ত্রটা জানেন কি?
আরও শুনুন: ইংরেজদের ভারত জয় করার পথ খুলে দিল একটি ফোড়া
স্ট্রেস, পলিউশন, খাদ্যাভ্যাস, নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা আমাদের ভাল ঘুম না হওয়ার কারণ। আমার আপনার মধ্যে অনেকেই আছেন যাঁরা ঘুম নিয়ে ঘোর-বিপাকে। অনিদ্রা, অল্পনিদ্রা বা দীর্ঘনিদ্রা কোনওটাই আমাদের শরীরের জন্য সুখকর নয়। কেন না ঘুমের একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। সারাদিন কাজ আর রাতের বেলায় ঘুম এই নিয়মেই বাঁধা আমরা। সারাদিন কাজ করার ফলে আমাদের শরীরে যে অভাব দেখা যায়, রাতের ঘুম সেই অভাব পূরণ করে দেয়। এখানে একটা প্রশ্ন মনে আসে, আমাদের শরীরের কতক্ষণ ঘুমের প্রয়োজন? ডাক্তারি পরিভাযায় একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। এর অভাবে দেখা দিতে পারে মারাত্মক সব সমস্যা। আমরা যখন ঘুমোই আমাদের শরীরে কিছু পরিবর্তন ঘটে। রক্তচাপ কমে, নাড়ির স্পন্দন কমে। সবথেকে বড় কাণ্ড ঘটে আমাদের মস্তিষ্কে। আমাদের ঘুম যত গভীর হতে থাকে মস্তিষ্কে কর্মক্ষমতাও তত কমতে থাকে।
ঘুম কেন আসে,
আরও শুনুন: আজও নাকি দুর্ঘটনার হাত থেকে মানুষকে বাঁচান রহস্যময় ‘Bullet বাবা’
এসব শোনার পর, ভাববেন না, ঘুম না আসাটা আমাদের আধুনিক যুগের সমস্যা। এই সমস্যা আগেও ছিল। আর না আসার চিকিৎসা পদ্ধতিও ছিল ভারি অদ্ভুত। প্রাচীনকালে মিশরীয়রা প্রচন্ড গরমে ভাল ঘুমের এক অদ্ভুত উপায় বের করেছিলেন। তারা শোওয়ার সময় শিটের মতো দুটি কাপড় নিয়ে যেত। একটা বড়, কম্বলের মত,অন্যটি পাতলা গামছা বা চাদরের মতো। এই পাতলা চাদরকে তারা ভাল করে ভিজিয়ে নিংড়ে নিত, যাতে জল না থাকে কিন্তু আর্দ্রতা থাকে। শুকনো কম্বলের ওপর পাতলা ভিজে চাদর বিছিয়ে ঘুমোত। প্রচণ্ড গরমে এইভাবে তাদের শরীর ঠাণ্ডা থাকত, ঘুমও ভাল হত। প্রাচীন মিশরীয়রা ঘুমের চিকিৎসা করতে ঘুম মন্দিরে যেত।
বাকিটা শুনুন প্লে বাটন ক্লিক করে।