বিনামূল্যে মিলবে হিরের আংটি। এমনকি টিভি, ফ্রিজ এইসবও কপালে জুটতে পারে। কাজ বলতে স্রেফ ভোট দেওয়া। তাহলেই এসব মূল্যবান সামগ্রী মিলতে পারে একেবারে বিনামূল্যে। ব্যাপারটা ঠিক কী? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
ভোট দিলেই মিলবে উপহার। লোকসভার প্রথম দুই দফায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমন নজির গড়েছিল কমিশন। তৃতীয় দফাতেও হচ্ছে না ব্যতিক্রম। কিন্তু তাই বলে হিরের আংটি! শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। আসন্ন তৃতীয় দফার নির্বাচনে ভোটাররা পেতে চলেছেন এমনই মূল্যবান জিনিস। শর্ত একটাই, সঙ্গ দিতে হবে তাঁর ভাগ্যকেও।
আরও শুনুন: ভোটের সাপলুডোয় কে জিতবে আপনার হাতেই? মোবাইলে চোখ রাখলেই কেল্লাফতে
লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দুই দফায় ভোটের হার কমেছে। ভিলেন হিসেবে গরমকেই দেখছেন অনেকে। কমিশনের তরফে গরম মোকাবিলায় একাধিক ব্যবস্থা করা হলেও ভরদুপুরে ভোট দিতে বেরোননি অনেকেই। তাই তৃতীয় দফায় ভোট টানতে নতুন এক উপায়ের কথা ভেবেছে কমিশন। নতুন বললে ভুল হয়। কারণ লোকসভার প্রথম দুই দফাতেও এই পন্থা কাজে লাগানো হয়েছিল। তবে তৃতীয় দফায় থাকছে বিশাল চমক। ঠিক ধরেছেন, ভোট দিলে উপহার মিলবে, কমিশনের এই উদ্যোগের কথাই বলছি। এর আগে অরুণাচলের মহিলা ভোটারদের বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছিল স্যানিটারি প্যাড। আইসক্রিমও বিলি হয়েছিল কিছু বুথে। পাশাপাশি এলাকার কিছু রেস্তোরাঁ বার ভোটের দিন বিশেষ ছাড়ের কথাও ঘোষণা করেছিল। তবে সেই সবকিছু ছাপিয়ে, তৃতীয় দফায় হিরের আংটি দেওয়া কথা ভেবেছে কমিশন। এমনকি টিভি, ফ্রিজ এইসবও দেওয়া হবে ভোটারদের। তবে সবাই না। ভাগ্যবান বিজেতাই পাবেন এমন দামি জিনিস। আর এই অফার গোটা দেশের জন্য নয়। ভোপালের ভাগ্যবান ভোটাররাই পেতে পারেন এই পুরষ্কার।
আরও শুনুন: নির্বাচনে জিতবেন কে? ভোট এসেছিল মহাকাশ থেকেও
আসলে, ভোটের দিন ভোপালের সমস্ত বুথেই লাকি ড্র-এর আয়োজন করা হয়েছে। সেখানেই পুরষ্কার হিসেবে রয়েছে আংটি, ফ্রিজ, টেলিভিশন সহ আরও কত কী! আগামী ৭ মে, মধ্যপ্রদেশের বেশ কিছু কেন্দ্রে তৃতীয় দফার নির্বাচন। সেদিনই ভোপালের বুথ গুলিতে ওই খেলার আয়োজন হয়েছে। জনা গিয়েছে, সারাদিনে মোট তিনবার লাকি ড্র হবে। পুরষ্কারের সংখ্যা ৬ হাজার মতো। তার মধ্যে দামি জিনিসও রয়েছে আবার সাধারণ জিনিসও রয়েছে। তবে এর জন্য কমিশনকে সরাসরি খরচ করতে হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। পুরষ্কার হিসেবে দেওয়া হবে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার পাঠানো উপহার। কমিশন স্রেফ দায়িত্ব নিয়ে সবটা আয়োজন করেছে। যারা অংশ নেবেন তাঁদের নাম ও ফোন নাম্বার জমা রাখা হবে। পুরষ্কার পেলে যোগাযোগ করবে কমিশনই। ভোটপর্ব মিটলে দেওয়া হবে পুরস্কার। ভোটের দায়িত্বে থাকা কমিশন আধিকারিকরা মনে করছেন, পুরষ্কারের লোভে অনেকেই ভোট দিতে আসবেন। কাজেই প্রথম দুই দফার মতো ভোটদানে ঘাটতি কিছুটা হলেও কমবে। সবমিলিয়ে লোকসভা ভোটের দিনে এই লাকি ড্র রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভোপালের ভোটারদের মধ্যে।