কংসের কারাগারেই দ্বাপর যুগে জন্মেছিলেন কৃষ্ণ। এবার উত্তরপ্রদেশের একটি জেলে বন্দির গর্ভে জন্মাল একটি শিশু। আর সেই শিশুকে স্বাগত জানাতে অনুষ্ঠানে মেতে উঠল গোটা জেল। শুনে নিই সেই উদযাপনের গল্প।
বন্দিনীর শিশু জন্মাল জেলের ভিতরেই। জন্মাষ্টমীর পরে পরেই এমন ঘটনায় উদযাপনের আনন্দে মাতল গোটা জেল।
দ্বাপর যুগে কংসের কারাগারেই জন্ম হয়েছিল এক অলীক শিশুর। পরে যার লীলায় ভাসবে গোটা আসমুদ্র হিমাচল। জন্মাষ্টমীর পরে পরেই উত্তরপ্রদেশের একটি জেলে জন্ম হল শিশুর। যা নিয়ে শুরু হয়েছে হইচই। উত্তরপ্রদেশের বলরামপুরের জেলা কারাগারে ঘটেছে এই ঘটনা। বিহারের বাসিন্দা মায়া দেবীকে যখন বলরামপুরের জেলে আনা হয়, তখন তিনি অন্তঃসত্ত্বা। প্রথম থেকেই তাঁর যত্নে ত্রুটি রাখেননি জেলকর্মীরা। গত ১৯ অগস্ট জেলের হাসপাতালে একটি ফুটফুটে সন্তানের জন্ম দেন মায়া।
আরও শুনুন: পরিচয়পত্রেই মির্যাকল! আধার সেন্টারই খুঁজে দিল পরিবারের হারানো সদস্যদের
না, জেলে সন্তানের জন্ম কোনও নতুন ব্যাপার নয়। বহু ক্ষেত্রেই জেল হেফাজতেই সন্তানের জন্ম দিয়ে থাকেন বন্দিনীরা। পরে সেই সব বাচ্চাদের পরিজনদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিংবা পাঠিয়ে দেওয়া হয় কোনও হোমে। তবে বলরামপুর জেল কর্তৃপক্ষ গোটা ব্যাপারটাকে যেভাবে উদযাপন করেছেন, তা এক কথায় অভিনব।
সন্তানজন্মের পরে মা ও শিশুর যেমন শারীরিক যত্নের প্রয়োজন, মানসিক স্বাস্থ্যের দিকটাও খেয়াল রাখা জরুরি। আর সেই কাজটাই করেছেন বলরামপুর জেল কর্তৃপক্ষ। সন্তান জন্মের ছ-দিনের মাথায় একটি পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল জেলে। যাতে বাড়ির অভাব বোধ না করেন মায়া। সেই অনুষ্ঠানে অংশ নেন অন্যান্য বন্দি থেকে শুরু করে পুলিশকর্মীরা। সাজানো হয়েছিল মায়ার জেলকক্ষটি। শিশুটির জন্য আনা হয় প্রচুর খেলনাপাতি ও জামাকাপড়। এমনকী তার জন্য একটি বিশেষ দোলনাও আনা হয়েছে। সেখানেই ঘুমোচ্ছে সদ্যজাত। নাচ-গান সব মিলিয়ে উৎসবে ভরে উঠেছিল সেদিন বলরামপুরের জেল। জেল কর্তৃপক্ষের এমন ব্যবহারে কার্যত আপ্লুত ওই বন্দিনী।
আরও শুনুন: তিন মাস অন্তর কিনতে হবে নতুন পোশাক, চাকরির শর্ত মানতে নাজেহাল কর্মীরা
দিন কয়েক আগেই প্রিজন ভ্যানে এক দুষ্কৃতীর জন্মদিন পালনের ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের জেলের ভিতর এমন উৎসবের খবর প্রকাশ্যে এল। তবে এতে জেলের কোনও নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি বলেই দাবি করা হয়েছে। বন্দিনীর সন্তানজন্মকে কেন্দ্র কের এই আয়োজনের অবশ্য প্রশংসাই করেছেন নেটিজেনরা।