কোথাও রয়েছে সঙ্গম শেখার পাঠশালা। কোথাও আবার অন্যের বউ চুরি করে তার সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হন কোনও পুরুষ। যৌনতা নিয়ে এমনই অভিনব সব রীতি রেওয়াজ ছড়িয়ে রয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
যৌনতা নিয়ে নানা মুনির নানা মত। কারও কাছে তা ছুঁতমার্গের বিষয়, আবার কারও রয়েছে যৌনতা নিয়ে চরম আগ্রহ। তবে ব্যক্তিজীবনে যৌনতার প্রভাব যাই হোক, পৃথিবী জুড়ে যৌনতা নিয়ে ছড়িয়ে আছে হাজারও রীতি নিয়ম। কোনও ব্যক্তি কীভাবে সঙ্গমে লিপ্ত হবেন, অনেক জায়গায় তা ঠিক করে দেয় সেই স্থানে প্রচলিত যৌন প্রথা।
আরও শুনুন: স্তনে-নখে মাখানো বিষ, সম্মোহনে সুন্দরী বিষকন্যাকে স্পর্শ মাত্র মৃত্যু অবধারিত পুরুষের
এ প্রসঙ্গে প্রথমেই আসে আয়ারল্যান্ডের কথা। এখানকার ইনিস দ্বীপে অদ্ভুত কিছু নিয়মের চল রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী এখানে সঙ্গমের সময় কেউ অন্তর্বাস খোলেন না। এমনকি চরম ঘনিষ্ঠ মুহূর্তেও এখানকার মানুষজন নিজেদের অন্তর্বাস খুলে রাখেন না। বছরের পর বছর ধরে এই নিয়ম মেনে আসছেন ইনিস দ্বীপের লোকজন। যদিও এমন নিয়মের নেপথ্যে ঠিক কী কারণ রয়েছে তা প্রায় সকলেরই অজানা। এরপরই বলতে হয়, কুক দ্বীপপুঞ্জের একেবারে দক্ষিণ প্রান্তে থাকা মাঙ্গাইয়া দ্বীপের কথা। এখানকার বয়স্ক মহিলারা অবিবাহিত যুবকদের সঙ্গে যৌনসঙ্গমে লিপ্ত হন। যদিও তার নেপথ্যে বিশেষ এক কারণ রয়েছে। কী ভাবে ওই অল্পবয়সি যুবকেরা নিজের সঙ্গীকে খুশি করবেন, তা শেখানোর জন্যই তাঁদের প্রথমে বয়স্ক মহিলাদের সঙ্গে সঙ্গম করতে বলা হয়। তালিকায় এরপরই আসে নেপালের কথা। ভারতের এই প্রতিবেশী রাষ্ট্রেও অদ্ভুত কিছু যৌনরীতির প্রচলন রয়েছে। বলা বাহুল্য, তার সঙ্গে মহাভারতেরও মিল রয়েছে। নেপালের কিছু উপজাতির মধ্যে একজন মহিলার একাধিক স্বামী থাকার চল রয়েছে। ঠিক যেমনটা মহাভারতে পঞ্চ পাণ্ডবের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল দ্রৌপদীর। এখানেও তেমন একই বাড়ির সমস্ত ছেলে একজন মহিলাকে বিয়ে করেন। ৩ ভাই হোক বা ৫ ভাই, সকলের স্ত্রী হবেন একজনই। মূলত সম্পত্তির ভাগ কমাতেও এমনটা করার রেওয়াজ। তাই এই উপজাতির পুরুষরা বেশি সন্তান জন্ম দেওয়াতেও বিশ্বাসী নন। নিয়ম করে ওই একজন মহিলা স্বামীদের সঙ্গে সময় কাটান। সমানভাবে তাঁকে ভোগ করার সুযোগ পান প্রত্যেক স্বামীই। এরপর বলতে হয়, কম্বোডিয়ার ক্রেউং উপজাতির কথা। সঙ্গী খোঁজার ব্যাপারে এই উপজাতি যথেষ্ট সচেতন। আর এক্ষেত্রে যোগ্য সঙ্গীর বিচার হয় তার যৌনক্ষমতা দিয়ে। বিবাহযোগ্যা কুমারীদের জন্য প্রথমে একটি করে কুঁড়েঘর তৈরি করা হয়। আর এখানেই খোঁজ চলে উপযুক্ত সঙ্গীর। প্রতিরাতে সেখানে আলাদা আলাদা পুরুষ এসে এক রাত করে কাটায়। যতক্ষণ না ওই কিশোরী উপযুক্ত সঙ্গী খুঁজে পেয়েছে বলে ঘোষণা করছে। বেশ কয়েকজনের সঙ্গে যৌনমিলনের পরই মেয়েটি ঠিক করে, এ বিষয়ে কার দক্ষতা সবথেকে বেশি। তখনই বন্ধ হয় আলাদা আলাদা পুরুষের আনাগোনা। সেই নির্দিষ্ট যুবকের সঙ্গেই বিয়ে দেওয়া হয় মেয়েটির।
আরও শুনুন: নাচের ছন্দে খসে পড়ত পোশাক, গুপ্তচর মাতা হারির শরীরী আগুনে পতঙ্গের মতো ঝাঁপ দিত শত্রুরা
অন্যদিকে পশ্চিম আফ্রিকার নাইজারের ওদাবে উপজাতির বাসিন্দাদের বিয়ে দেওয়া হয় ছোটবেলাতেই। তারপর স্বামী-স্ত্রীর কার্যত কোনও যোগযোগ থাকে না। নির্দিষ্ট বয়সের পর তাঁরা আবার মিলিত হওয়ার সুযোগ পান। তবে ছেলেবেলায় বিয়ে করা বৌয়ের সঙ্গে জীবন কাটানো সবক্ষেত্রে সম্ভব হয় না। আসলে প্রতিবছর এই উপজাতি এক বিশেষ খেলার আয়োজন করে। বৌচুরির খেলা। তবে নিজের নয় অন্যের। যদি কোনও পুরুষ অন্য পুরুষের স্ত্রীকে চুরি করতে সক্ষম হন, তা হলে তারা একসঙ্গে থাকার অনুমতি পান। ছেলেবেলায় যার সঙ্গেই বিয়ে হোক, চুরি করতে পারলেই সেই মহিলা হয়ে যায় তার। উলটোদিকে বৌহারা পুরুষটির কপালে আসে অন্য এক মহিলা। এছাড়া মুরিয়া উপজাতির যুবকদের সঙ্গমের পাঠ শেখাতে বিশেষ এক পাঠশালায় যাওয়ারও চল রয়েছে। সেখানে ছেলে-মেয়ে উভয়েই যায়। প্রত্যেকেরই যে কারও সঙ্গে যৌনমিলনের অধিকার থাকে। কে কাকে কতটা তৃপ্ত করতে পারছে, এখানকার শিক্ষকরা সেদিকেই নজর রাখেন। তবে অদ্ভুত যৌনরিতির দৌড়ে সবথেকে এগিয়ে রয়েছে পাপুয়া নিউ গিনি। এখানকার কিছু উপজাতির মধ্যে ৬ বছর বয়সী মেয়ের সঙ্গেও যৌনমিলনের স্বীকৃতি রয়েছে। উলটোদিকে যৌনক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ছোট ছোট ছেলেদের বীর্য পান করতে হয়। বিশ্বাস করা হয়, এই নিয়ম মেনে চললে ছেলেরাও বড় যোদ্ধা হবে এবং তারা সঙ্গীদের সমস্ত রকম যৌনসুখ দিতে সমর্থ হবে। তবে এখানেই কিন্তু শেষ নয়। এমনই অনেক অজানা যৌনরীতির চল রয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে, যা এখনও পালন করে চলেছেন বিভিন্ন জনজাতির মানুষেরা।