বছরের এই দিনে নাকি সঙ্গীকে ফাঁকি দিতেই পারেন যে কেউ। অর্থাৎ সঙ্গীর চোখের আড়ালে শরীর বা মনের খেলায় জড়িয়ে নিতে পারেন অন্য কাউকে। কিন্তু কোন দিন সেটি, জানেন? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
এক সম্পর্কে থাকতে থাকতেই অন্য সম্পর্কে ছুটে যাওয়া। অপর কোনও নারী কিংবা পুরুষের সঙ্গে জড়িয়ে পড়া এক গোপন আদানপ্রদানে। সে দেওয়া নেওয়া নিছক মনের হতে পারে, আবার তা হতে পারে শরীরী খেলাও। প্রত্যাশিত ভাবেই সঙ্গীকে লুকিয়েই চলে এই প্রণয়পর্ব। সঙ্গীর চোখের আড়ালে অপর কারও সঙ্গে লিপ্ত হয়ে পড়েন কেউ কেউ। আর গোপন বলেই তা হয়তো বাড়তি উত্তেজনা জোগায়। সমাজ অবশ্য এহেন সম্পর্ককে পরকীয়া বলেই চেনে। এই সম্পর্ক প্রকাশ্যে সেভাবে অনুমোদনও পায় না। অনেকে আবার তাকে অনুমোদন দেওয়ার কথা ভাবেনও না। তাঁদের কাছে এ স্রেফ কিছুক্ষণের সুখ। কিন্তু কথা হল, সাময়িক হোক কিংবা দীর্ঘমেয়াদি, একজনের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন যদি প্রায় তেমনই সমীকরণ অন্য কারও সঙ্গে গড়ে ওঠে, তা জানাজানি হলে সম্পর্কে সমস্যা আসতে বাধ্য। তবে যদি এমন কোনও দিন থাকে, যেদিন সঙ্গী ধোঁকা দিতে পারেন বলে আগেভাগেই জানা থাকে? আজ্ঞে হ্যাঁ, এমনই একটি দিন নাকি রয়েছে ক্যালেন্ডারে। অন্তত তেমনটাই মনে করেন মার্কিন দেশের একটা বড় অংশের মানুষ। যে দিন নাকি সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ সঙ্গীকে প্রতারণা করে থাকেন।
ক্রিসমাস নয়, চিট-মাস। হ্যাঁ, মজা করে এই নামেই ডিসেম্বরের উল্লেখ করেন মার্কিনিরা। তাঁরা আসলে যা বোঝাতে চান, তা হল চিট করা, অর্থাৎ সম্পর্কে প্রতারণা করার মাস নাকি এটিই। আসলে গোটা মাসটি নয়, মাসের একটি বিশেষ দিনই এই প্রতারণা করার জন্য বরাদ্দ। সেই দিনটিকে ‘আনফেথফুল ফ্রাইডে’ বলেই ডাকা হয়। ডিসেম্বর মাসের প্রথম শুক্রবারের ভাগ্যেই জুটেছে এহেন অপবাদ। আসলে এই সময় বড়দিন আর নিউ ইয়ার্স ডে পালনের তোড়জোড় চলে পুরোদমে। আর সেই উৎসবের মরশুমে চেনা অচেনা মানুষের সঙ্গেও দেখা হয়ে যায় সহজেই। সেখান থেকেই কোনও কোনও আলাপ গড়িয়ে যায় বাড়তি ঘনিষ্ঠতায়। সঙ্গীকে গোপন করেই সেই ঘনিষ্ঠতার স্বাদটুকু গায়ে মেখে নেন কেউ কেউ।
আরও শুনুন: পরকীয়া দাম্পত্যের জন্য স্বাস্থ্যকর! যৌনজীবনের আসে নতুন উদ্দীপনা, বলছে সমীক্ষা
সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা বলছে, যাঁরা গোপনে কারও সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন, তাঁদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ মানুষই এই ‘আনফেথফুল ফ্রাইডে’-তে তাঁদের সঙ্গিনীর সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করেছেন। আরও এক ধাপ এগিয়ে ২১ শতাংশ মানুষ গোটা উইকেন্ডই কাটিয়ে ফেলতে চান ওই গোপন সঙ্গিনীর সঙ্গে। তা ছাড়া সব মিলিয়ে পরকীয়ার প্রবণতা সেদিন ৩২ শতাংশ বেড়ে যাচ্ছে বলেও আন্দাজ করেছে ওই সমীক্ষা। তবে, আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে এইসব পুরুষের প্রতারণা ধরে ফেলতে পিছিয়ে থাকছেন না মহিলারাও। আর যেহেতু ‘আনফেথফুল ফ্রাইডে’-র কথা আগেভাগেই জানা, তাই সেদিন মহিলারাও যে বাড়তি সতর্ক থাকবেন, তা আন্দাজ করে নেওয়াই যায়।