পাঁচ বছরের এক খুদে। তার একজন নয়, দুজন বাবা। তাঁদের মধ্যে একজন সম্পর্কে দাদু। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। ইংল্যান্ডের এক পরিবারে এমনই অদ্ভুত কাণ্ড ঘটেছে। ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল এলাকায়। ঠিক কী ঘটেছে? আসুন শুনে নেওয়া যাক
চেষ্টা করেও সন্তানের জন্ম দিতে পারছিলেন না। তাই নিজের বীর্যের সঙ্গে বাবার বীর্য মিশিয়েই কাজ সেরেছিলেন ব্যক্তি। আইভিএফ-এর কল্যাণে সন্তানের জন্মও হয়। কিন্তু সেই সন্তানের পিতৃপরিচয় কী হবে, সেই নিয়ে শুরু হয় সমস্যা। ঘটনার জল গড়ায় আদালতে। শেষমেশ বিচারক ঠিক করে দেন, খুদের আসল বাবা কে!
আরও শুনুন: সরস্বতীর পোশাকে বিতর্ক! আদিতে ভারতীয় মহিলারা কি শাড়ি পরতেন?
সিনেমায় নয়। এমনটা ঘটেছে বাস্তবেই। ইংল্যান্ডের এক বাসিন্দা বুদ্ধি খাটিয়ে এমন পদ্ধতিতেই জন্ম দিয়েছেন তাঁর সন্তানের। এতদিনে এই ব্যাপারে বাইরে কাউকে কিছুই জানতে দেননি তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তবে খুদের পিতৃপরিচয়ের খোঁজ পড়তেই সামনে আসে আসল সত্যি। খুদের আসল বাবা কে, তা জানতে চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের হয়। তারপরই ঘটনার বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন ওই ব্যক্তি। আসলে, শারীরিক সমস্যার কারণে চেষ্টা করেও সন্তানের জন্ম দিতে পারেননি। এদিকে সন্তান পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন তিনি ও তাঁর সঙ্গিনী। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর হাজার একটা উপায় আছে। যার মধ্যে সবথেকে প্রচলিত আইভিএ। কিন্তু সেসবের খরচ সামলানোর ক্ষমতা নেই ওই ব্যক্তির। তাই বুদ্ধি খাটিয়ে নিজের বীর্যের সঙ্গে বাবার বীর্য মিশিয়ে কাজ সারেন। এতে কিছুটা হলেও খরচ কমে। কিছুদিনের মধ্যে স্ত্রী গর্ভবতী হন। নির্দিষ্ট সময়ের পর ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। তারপর কেটেছে পাঁচ বছর। নিজের সন্তানের মতো করেই তাকে বড় করছিলেন ব্যক্তি।
আরও শুনুন: শুধু আবু ধাবি নয়, ভারতের বাইরে রয়েছে আরও হিন্দু মন্দির
কিন্তু হিসাব মতো খুদের বায়োলজিক্যাল ফাদার দুজন। সম্পর্ক যাই হোক, বিজ্ঞানের সত্য মানতে বাধ্য সকলেই। তবে এ ব্যাপারে আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল খানিক অন্যরকম। গোটা ঘটনা শোনার পর বিচারপতি জানতে চান, এর সঙ্গে যুক্ত সকলেই নিজের ইচ্ছাই এমনটা করেছেন কি না। এতে এক বাক্যে সম্মতি জানান ওই ব্যক্তি, তাঁর স্ত্রী ও বাবা। কাজেই সম্পূর্ণ ঘটনাটিকে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বলেই ব্যাখ্যা করে আদালত। এমনকি খুদের পিতৃপরিচয় কি হবে সেটাও ওই পরিবারের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত হবে। এমনটাই জানান বিচারপতি। তবে বিতর্কের এখানেই শেষ নয়। সাবালক হওয়া অবধি তার যাবতীয় দায়িত্ব কে সামলাবে সেই প্রশ্ন ওঠে আদালতে। সেখানে বিচারপতি বলেন, এই দায়িত্ব নিতে হবে ওই ব্যক্তিকেই। যেহেতু তিনি নিজের সন্তান বলে খুদের পরিচয় দিয়েছেন, তাই সাবালক হওয়া অবধি খুদের দায়িত্ব তাঁকেই নিতে হবে। এতেও সম্মতিই জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি ও তাঁর সঙ্গিনী।