স্লোভাকিয়ার এয়ারকার দেখে অবাক দুনিয়া। যে গাড়ি পথে পাড়ি দিচ্ছে যেমন, উড়ছে আকাশেও। দুই বিজ্ঞানী স্টেফান ক্লেইন ও অ্যান্টন জেজাক তৈরি করেছেন ১৬০ হর্সপাওয়ারের বিএমডব্লিউ ইঞ্জিনের যানটিকে। গোটাটাই যেন কল্পবিজ্ঞান!
জেমস বন্ড যা পারে মানুষ কি তা পারে? আমরা দেখেছি, পরিস্থিতি ঘোরতর হলে 007-এর গাড়ি সামনের বা পেছনের ডিকি খুলে যায়। সেখান থেকে হুড়মুড় করে গুলিগোলা চলতে থাকে। হেরে ভূত হয়ে যায় ভিলেন। তেমন তেমন অবস্থায় শয়তানদের তাড়া করে স্থল থেকে জল, জল থেকে আকাশেও উড়তে পারে শুধু বন্ড। এবং প্রশ্ন ওঠে, বন্ড যা পারে, মানুষ কি তা পারে?
আরও শুনুন: একেই বলে ‘জাবরা ফ্যান’! ৬০০টি মোবাইল দিয়ে অভিনেতার পোর্ট্রেট বানিয়ে তাক লাগাল ভক্ত
সম্প্রতি পেরেছে। ইউরোপের সুন্দর দেশ স্লোভাকিয়ার দুই বিজ্ঞানী প্রফেসর স্টেফান ক্লেইন এবং তাঁর সহকারী অ্যান্টন জেজাক তৈরি করে ফেলেছেন এমন এক যান, যা দেখে চোখ ছানাবড়া না হয়ে পারে না। ওঁরা তৈরি ফেলেছেন এমন আশ্চর্য গাড়ি, যা শহরের রাস্তায় যেমন চলতে সক্ষম, তেমনই মেঘের দেশেও উড়তে পারে দিব্য। অর্থাৎ কিনা একাধারে চারচাকা গাড়ি, আবার বিমানও। যার নাম হয়েছে এয়ারকার। বাংলা কলে দাঁড়ায় বিমান-গাড়ি। এয়ারকার প্রস্তুতকারী সংস্থা জানিয়েছে, পর্যাপ্ত জ্বালানি থাকলে বিমান-গাড়ি মাটিতে আর পাঁচটা চারচাকার মতোই কয়েক হাজার কিলোমিটার চলতে পারে, এইসঙ্গে একবারে ডিঙোতে পারে এক হাজার কিলোমিটার আকাশ। কীভাবে তৈরি হয়েছে বিমান-গাড়ি?
আরও শুনুন: ঘরে জলের কল খুললেই হু হু করে বেরোচ্ছে দিশি মদ? চোখ কপালে গেরস্থের
এতে রয়েছে ১৬০ হর্সপাওয়ারের বিএমডব্লিউ ইঞ্জিন। সঙ্গে রয়েছে একটি প্রপেলার। এবং দুটি ডানা। এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৮ হাজার ২০০ ফুট উচ্চতায় উড়েছে এয়ারকার। সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৯০ কিমি/ঘণ্টায়। অভিনব গাড়িতে বসার ব্যবস্থা রয়েছে দু’জনের। 200 কেজি মাল বহনেও সক্ষম। এখনও পর্যন্ত 40 ঘণ্টা উড়ান দিয়েছে বিমান-গাড়ি । তবে কি-না সবচেয়ে অবাক করা ঘটনাটি ঘটে সেই সময়, যখন ছিল গাড়ি, হয়ে যায় বিমান!
একটি সুইচ টিপতেই কাণ্ড ঘটে। গুটিয়ে রাখা দুই ডানা খুলে যায় গাড়ির দু’পাশে। ঘুড়তে শুরু করে যানটির পেছনে লাগানো প্রপেলার। চোখের সামনে মাটি ছেড়ে আকাশ ছোঁয় কল্পবিজ্ঞান। মনে পড়ে বন্ড, জেমস বন্ড!