অল্পদিনের ছুটিতে কোথায় যাওয়া যায়, তা ঠিক করতে পারেন না অনেকেই। সেই সমস্যার সমাধান করতেই ‘টাইম’ ম্যাগাজিন প্রকাশ করেছে বিশ্বের সেরা ৫০টি পর্যটন কেন্দ্রের তালিকা। নিশ্চয়ই ভাবছেন সেই তালিকা দিয়ে আপনি কী করবেন? সেখানে তো সবই বিদেশের জায়গা থাকবে। কিন্তু একেবারেই তা নয়। ওই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে দুই ভারতীয় জায়গাও। আসুন শুনে নিই।
কথায় আছে, বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। তবে শুধু বাঙালি কেন, ঘুরে বেড়াতে সকলেই কমবেশি ভালোবাসেন। কিন্তু সমস্যা হাজার। খুব বেশিদিনের ছুটিও নেই, আবার পকেটের জোরও তেমন নয়। অথচ মনের ইচ্ছা বিশ্বের সেরার সেরা কোনও জায়গায় ঘুরতে যাবেন। সম্প্রতি সেই সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধান করেছে ‘টাইম’ ম্যাগাজিন।
আরও শুনুন: ব্যস্ত রাস্তায় আগলে রাখছেন স্ত্রীকে, বৃদ্ধ দম্পতির প্রেমের পদ্যে মুগ্ধ নেটিজেনরা
প্রতি বছর বিশ্বের সেরা কিছু জায়গার একটি তালিকা প্রকাশ করে এই সংস্থা। সাধারণত প্রথম বিশ্বের শহর গুলোই সেই তালিকায় ঠাঁই পায়। কিন্তু এবছর সেখানে রয়েছে দুই ভারতীয় জায়গার নাম। যার মধ্যে একটি আবার কলকাতার বেশ কাছেই। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। টাইমস ম্যাগাজিন প্রকাশিত ২০২৩ এর বিশ্বসেরা পর্যটন ক্ষেত্রের তালিকায় লাদাখ এবং ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার নামও রয়েছে। লাদাখ, এমনিতেই অনেকের কাছে ড্রিম ডেস্টিনেশন। তবে, ময়ূরভঞ্জ সম্পর্কে খুব বেশি জানেন না অনেকেই। তাহলে এই জেলার নাম হঠাৎ বিশ্বের সেরা পর্যটন কেন্দ্রের তালিকায় কী করে ঠাঁই পেল?
আরও শুনুন: হাত নেই, আছে স্বপ্ন! পা দিয়েই ছবি আঁকেন এই শিল্পী, কুর্নিশ নেটদুনিয়ার
আসলে, ওড়িশার সবচেয়ে বড় জেলা ময়ূরভঞ্জ। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই এই জায়গার মূল আকর্ষণ। তবে একইসঙ্গে এখানে রয়েছে বেশ কিছু প্রাচীন মন্দিরও। আবার বিরল প্রজাতির কালো বাঘও এখানেই দেখা যায়। এখানেই রয়েছে বিপুল জীববৈচিত্রের সিমিলিপাল ন্যাশনাল পার্ক। এখানকার ছৌ নাচ বেশ বিখ্যাত। একইসঙ্গে স্থানীয় মার্শাল আর্ট ও লোকনৃত্য। সব কিছুরই উল্লেখ রয়েছে ওই ম্যাগাজিনে। সব মিলিয়ে বলা যায়, ঐতিহ্য সংস্কৃতি প্রাকৃতিক পরিবেশে অনন্য হওয়ার ফলেই টাইমস ম্যাগাজিনে জায়গা করে নিয়েছে এই জেলা। অন্যদিকে লাদাখকে বেছে নেওয়ার কারণ সেখানকার বিস্ময়কর প্রাকৃতিক পরিবেশ। সেইসঙ্গে রয়েছে তিব্বতি-বৌদ্ধ সংস্কৃতির সহাবস্থান। বলা হয়, একবার লাদাখ গেলে কারও মন ভরে না। অ্যাডভেঞ্চারের টানে বারবার সেখানে ছোটেন ভ্রমণপ্রেমীরা। তবে টাইমস ম্যাগাজিনে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে লাদাখের কিছু নির্দিষ্ট জায়গার নাম। নুব্রা উপত্যকার ক্যাগার হোটেল, শেল লাদাখ এবং লেহ-এর ডলখার এই তিনটি জায়গা রাত কাটানোর কথা বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে। তবে ভারতের এই দুই জায়গা ছাড়াও তালিকায় রয়েছে জাপান, তাইল্যাণ্ড, ব্রাজিল, মেক্সিকো কিংবা মিশরের কিছু জায়গার নাম। একইসঙ্গে রয়েছে বিশ্বের প্রাচীনতম ওয়াশিংটন ডি সি-র কথাও। প্রত্যেকটি জায়গাই কেন বিখ্যাত, তার ব্যাখ্যাও করা হয়েছে ম্যাগাজিনে। সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে অসাধারণ কিছু ছবি। সব শেষে বলা যায়, দীর্ঘ দু-বছরের মহামারীর পর আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পর্যটন শিল্প। এই তালিকার যেন সে কথা আরও জোর দিয়ে মনে করিয়ে দিল।