কারও ‘চোখ’ দেখে চোখ ফেরানো দায়, তো কেউ কথা বললে মধু ঝরে। এমনই সব বৈচিত্র লুকিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মহিলাদের মধ্যে। তাঁদের মধ্যে সেরার সেরা সুন্দরী অবশ্য রয়েছেন মাত্র কয়েকটা দেশেই। তালিকায় কোন কোন দেশ রয়েছে জানেন? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
কথায় আছে, যা বাইরে দেখা যায় তা আসলে সৌন্দর্য নয়। ভিতরের সৌন্দর্যই আসল। তবু গল্পে, সিনেমায় সুন্দরী মহিলার একরকম সংজ্ঞা রয়েছেই। তা অস্বীকার করারও উপায় নেই। সেই হিসাবে বিশ্বের সেরার সেরা সুন্দরীদের ঠিকানা মাত্র কয়েকটা দেশেই। তালিকায় থাকা দেশের মহিলারা প্রত্যকেই আলাদা আলাদা কারণে অনন্য।
আরও শুনুন: প্রেমিকা কাঁদলে বিরক্ত হন! তরুণীর চোখের জলেই নাকি শান্ত হয় রাগী পুরুষের মন
সম্প্রতি, এক প্রতিবেদনে এমনটা দাবি করেছে এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম। সেরা সুন্দরীদের ঠিকানা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে, মোট ১৭ দেশকে। নেপথ্যে নানা যুক্তিও সাজিয়েছে তারা। তালিকার একেবারে শেষে রয়েছে, সুইডেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেখানকার মহিলারা চোখের সৌন্দর্যে সেরা। একইসঙ্গে সুইডেনের মহিলারা খুবই মার্জিত স্বভাবের হয় বলে দাবি ওই সংবাদমাধ্যমের। এ প্রসঙ্গে কয়েকজন জনপ্রিয় সুইস সুন্দরীর কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। তালিকায় এর উপরেই রয়েছে ফিলিপিনস। সেখানকার মহিলারা স্বভাবের দিক দিয়ে বেশ খোলামেলা আর মজার হন বলেই উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। একইসঙ্গে বিশ্বসেরা সুন্দরীর প্রতিযোগিতার বিজয়ী হিসেবে এখনকার মহিলাদেরই নাম হামেশাই শোনা যায়, বলেও দাবি সংবাদমাধ্যমের। ১৫ তম স্থানে রয়েছে ব্রিটেনের কথা। সেখানকার মহিলারা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। তাই এই দিক দিয়ে তাঁদের সৌন্দর্য অনন্য। এর উপরে রয়েছে ভারতের নাম। ঐশ্বর্য রাই থেকে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, বিশ্বসেরা সুন্দরীর মুকুট পড়েছেন বহু ভারতীয় মহিলাই। এখানকার মহিলাদের প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের দাবি, এঁদের বুঝতে পারা বেশ কঠিন। তবে তাঁরা যে প্রকৃত অর্থেই সুন্দর তাও স্পষ্টভাবে বলা হয়ে প্রতিবেদনে। এর উপরে যুক্তরাষ্ট্র এবং আর্জেন্তিনা। নিজস্বতার গুণেই এই দুই দেশের মহিলারা অনন্য, এমনটাই দাবি সংবাদমাধ্যমের। এরপর বলা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার কথা। সেখানকার পরিবেশের কারণে, যে বিশেষ ছাপ ধরা পড়ে মহিলাদের মধ্যে সেটিকেই অনন্য বলা হয়েছে। একইভাবে কানাডার মহিলারাও সুন্দরীর তালিকায় রয়েছেন। তাঁদের ক্ষেত্রে বিশেষণ হিসেবে যোগ হয়েছে, শান্ত স্বভাবের কথা। সংবাদমাধ্যমের দাবি সে দেশের মহিলারা খুবই মিশুকে হন, এবং ভীষণ খোলামেলা থাকতে পছন্দ করেন।
আরও শুনুন: নেই তেমন কথাবার্তা! নিঃশব্দেই একাকীত্বের মহামারির কবলে ভারতীয় পুরুষরা
তালিকায় নবম স্থানে রাখা হয়েছে নেদারল্যান্ডকে। প্রতিবেদনে তাঁদের খুবই ওপেন মাইন্ডেড বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর সেই কারণেই তাঁরা অন্যান্য অনেকের থেকে সুন্দর। ফ্যাশনের দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে ইটালির মহিলারা। তাঁদের মতো আধুনিক চালচলন বিশ্বের অনেক দেশের মহিলার মধ্যেই দেখা যায় না। এর উপরে রয়েছে ভেনেজুয়েলা। বিশ্বসেরা সুন্দরীর তকমা এই দেশের মহিলারাই সবথেকে বেশিবার পেয়েছেন। তালিকায় রয়েছে রাশিয়াও। এখানে অবশ্য মহিলাদের গায়ের রং প্রাধান্য পেয়েছে। আবার একইভাবে গায়ের রং-এর বিচারে তালিকার ৫ নম্বরে রয়েছে কলোম্বিয়া। এবার সেরা চার সুন্দরীর তালিকায় রয়েছে ডেনমার্ক, সাউথ কোরিয়া, এবং ব্রাজিলের মহিলারা। এই সব দেশের মহিলাদের মতো সুন্দরী আর কোথাও নেই বলেই দাবি সংবাদমাধ্যমের। যার মধ্যে, ব্রাজিলকে রাখা হয়েছে প্রথম স্থানে। কারণ অবশ্য এখানকার জল হাওয়া। এমন এক অদ্ভুত সৌন্দর্য এখানকার মহিলাদের মধ্যে ধরা পড়ে, যা সত্যিইঅ অনন্য বলে দাবি সংবাদমাধ্যমের। তবে একথা বলার অপেক্ষা রাখে না, মন সুন্দর হলে প্রত্যেকেই সুন্দরী। আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে সবার মধ্যেই সেই বিচারে সকলেই অনন্য। তবু সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা হয় যে বিচারে, সেই হিসাবেই সেরা সুন্দরীদের ঠিকানা হিসেবে এইসব দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে ওই সংবাদমাধ্যম।