শীতকাল মানেই স্নানে ভয়। যদিও গিজার থাকলে চিন্তা নেই। কিন্তু সেই গিজার যদি হঠাৎ খারাও হয়ে যায়? সেদিনের মতো স্নান করা মাথায় উঠতে বাধ্য। তাই আগে ভাগেই সতর্ক হন। ঠিক কীভাব যত্ন নেবেন গিজারের? আসুন শুনে নিই।
বারোমাস সকালে বেরোতে হয়। তারপর সারাদিন বাইরে কাটে। তাই স্নান না করে বেরোনো অসম্ভব। কিন্তু শীতকালে তো আর সকালবেলা স্নান করা যায় না! জোর করে করতে গেলেও ঠাণ্ডা লাগার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ভরসা বলতে গিজার। অনেকে ইলেকট্রিক হিটারেও জল গরম করেন, কিন্তু গিজারের সুবিধা বরাবরই অনেকটা বেশি।
আরও শুনুন: শীত পড়তেই শুরু গরম জলে স্নান, শরীরের কী ক্ষতি হচ্ছে জানেন?
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, হঠাৎ যদি গিজার খারাপ হয়ে যায় তাহলে কী করবেন?
অবশ্যই ইলেকট্রিশিয়ন ডাকবেন। সারানো গেলে ভালো, নাহলে নতুন কেনা ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু প্রতি বছর তো আর এমনটা করা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে রোজ সকালে গিজার ব্যবহারের সময় মাথায় রাখুন কয়েকটা বিষয়। এতে দীর্ঘদিন গিজার যেমন ঠিক থাকবে, তেমনই সাশ্রয় হবে ইলেকট্রিক বিলও। অন্যান্য বৈদ্যুতিন জিনিসের মতোই গিজারও সব সময় ব্রান্ডেড কোম্পানির কিনুন। এতে খারাপ হওয়ার আশঙ্কা কম। সেই সঙ্গে গিজার ফিট করার সময় দেখে নিন যন্ত্রটি পর্যাপ্ত ইলেকট্রিক সাপ্লাই পাচ্ছে কি না। প্রয়োজনে বিশেষ ব্যবস্থা করে গিজারের ইলেকট্রিক সংযোগ সুরক্ষিত করিয়ে নিন। এতে আপনারই মঙ্গল। এবার আসা যাক গিজার ব্যবহারের প্রসঙ্গে। এমনিতে গিজার অন করার পর অন্তত কয়েক মিনিট সময় লাগে জল গরম হতে। অনেকেরই অভ্যাস থাকে গিজার অন করে স্নান শুরু করে দেওয়া। মানে যেটুকু জল গরম হচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে তা খরচ হয়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে এর থেকে যন্ত্রের ক্ষতি হতে পারে। তাই সময় লাগলেও জল গরম হওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন। নির্দিষ্ট সময়ের পর গিজার অফ করে স্নানে শুরু করুন। শুধু তাই নয়, চেষ্টা করুন যতটুকু জল গরম হয়েছে তার সবটা ব্যবহার করে ফেলার। গরম জল অব্যবহৃত অবস্থায় গিজারে রাখবেন না।
-: শুনুন শীতকাতুরে অন্যান্য গল্প :-
সোয়েটারের ভাঁজে ন্যাপথালিনের বসতি
অনেকের বাড়িতে অবশ্য স্বয়ংক্রিয় গিজার থাকে। সেক্ষেত্রে এই ধরনের সমস্যা নাও হতে পারে। এছাড়া সব সময় গিজারের সুইচ যেন ঠিকমতো বন্ধ করা থাকে সেদিকে লক্ষ রাখুন। পুরনো গিজারে অনেক সময় জল গরম হতে বেশি সময় লাগে। এও কিন্তু যন্ত্র বিকল হওয়ার পূর্ব লক্ষণ। এমনটা হলেই ইলেকট্রিশিয়ানের পরামর্শ নিন। এইধরনের যন্ত্র ব্যবহার করলে বিদ্যুতের বিলও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নামী কোম্পানির যন্ত্র হলে তা এমনিতেই বহুদিন নিশ্চিন্তে চলে। তাই গিজার কেনার সময় থেকেই ভবিষ্যতের এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন।