টাইম মেশিনে চড়েছেন কখনও? সিনেমা বা গল্পের কথা বলছি না। বাস্তবে এই অভিজ্ঞতা হয়েছে? উত্তর নিশ্চয়ই না। কিন্তু দেশের মধ্যেই রয়েছে এমন এক গ্রাম যেখানে পা রাখলে, টাইম মেশিনের অভিজ্ঞতা হতেই পারে। ব্যাপারটি ঠিক কী? আসুন শুনে নিই।
হঠাৎ বদলে গেল চারপাশের পরিবেশ। উঁচু উঁচু ইমারত সব ফাঁকা। তার বদলে রয়েছে কয়েকটা গুহা আর বড় বড় কিছু গাছ। এদিক ওদিক তাকিয়ে বোঝা গেল সময়টা বেশ কিছুটা পিছিয়েছে। সিনেমা বা গল্পে এমনটা অনেকেই দেখেছেন। সময় পিছিয়ে যাওয়া কিংবা এগিয়ে যাওয়া সবই হতে পারে টাইম মেশিন যন্ত্রে চাপলে। কিন্তু কোনও যন্ত্রে না চেপেও নিমেষে দু-বছর এগিয়ে যাওয়ার কথা শুনেছেন?
আরও শুনুন: বড়দিনে বড় চুমু! ঠোঁটের ছোঁয়া বিক্রি করেই বড়লোক হতে চান তরুণী
বাস্তবেই এমনটা হতে পারে আপনার সঙ্গেও। স্রেফ যেতে হবে ঝাড়খণ্ডের তাইমারা গ্রামে। এখানে পা রাখা মাত্র আপনি পৌঁছে যাবেন দু’বছর পরের দুনিয়ায়। মানে আপনার ঘড়িতে সাল হিসেবে ২০২৩ নয় দেখাবে ২০২৫। মোবাইলেও এই একই অবস্থা হবে। আর এমনটা হবে আপনা থেকেই। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। রাঁচি-জামসেদপুরের রাস্তা ধরে যাওয়ার পথেই এই গ্রাম পড়ে। স্রেফ এই আশ্চর্য অভিজ্ঞতা পেতেই এখানে ঢুঁ মারেন পর্যটকরা। গ্রামের মানুষজন অবশ্য এর সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন। অন্যদিকে, এই গ্রামে ভূত নিয়েও কিছু রটনা রয়েছে। তবে সেসব অনেকে আমল দিতে চান না। গ্রামে হনুমানের একটি মন্দিরও রয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এমনটা হয় কেন? প্রথম দিকে এই নিয়ে বিশেষ আলোচনা না হলেও একসময় এই অবস্থান কয়েকজন গবেষকের নজরে আসে। তাঁরাই সবদিক বিচার করে দেখেন, এই গ্রামের একেবারে মাঝামাঝি কর্কটক্রান্তি রেখা রয়েছে। তাই এমন সময়ের গড়মিল দেখা যায়। আবার কেউ কেউ মনে করেন, এই গ্রামের কাছাকাছি ম্যাগনেটিক ফিল্ড রয়েছে। যার জেরে এমন অস্বাভাবিকতা দেখা যায় এই অঞ্চলে। সম্প্রতি এই জায়গা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিল রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয়। অধ্যাপকদের কয়েকজন বেশ কয়েক মাস ধরে ওই এলাকায় গবেষণা চালান। মাটি খুঁড়ে গ্রানাইট জাতীয় কিছু পাথরও আবিষ্কার করেন তাঁরা। এর থেকেই সকলে সিদ্ধান্ত নেন এখানকার এই সময়ের অস্বাভাবিকতার আসল কারণ চৌম্বক ক্ষেত্রই। তবে কারণ যাই হোক, এই সময় এগিয়ে যাওয়ার ঘটনা বেশ অদ্ভুত।