কত কিছু করেই তো বিশ্বরেকর্ড গড়ে লোকে। কেউ পায়ে হেঁটে পেরোন বিস্তর দূরত্ব, কেউ চড়েন পাহাড়ে। তবে গিনেস বুকে নাম তোলার জন্য এই ব্যক্তি যা করলেন, তা দেখে বিস্ময় চাপতে পারলেন না নেটিজেনরা। ঠিক কোন উপায়ে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন এই ব্যক্তি? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
পাহাড় চড়ে বিশ্বরেকর্ডের কথা তো শুনেছেন। কিন্তু এই ব্যক্তি রেকর্ড গড়েছেন আশ্চর্য উপায়ে। তিনি একা পাহাড়ে চড়েননি শুধু, নাকে করে ঠেলে ঠেলে পাহাড়ে তুলেছেন একটি চিনাবাদামকে। অবাক লাগছে তো শুনে? তবে এমন আশ্চর্য কাণ্ডই ঘটিয়ে ফেলেছেন তিনি। আর তা-ই তাঁকে এনে দিয়েছে বিশ্বসম্মান। এই শতকে তিনিই প্রথম, যিনি এমন কাজ করেছেন বলে জানানো হয়েছে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের তরফ থেকে।
আরও শুনুন: মালিকের অপেক্ষায় ৪ মাস ধরে ধ্বংসস্তূপে বসে পোষ্য, ইউক্রেনে ফিরে হতবাক পরিবার
আমেরিকার কলোরাডোর বাসিন্দা বব সালেম। সম্প্রতি এমনই অদ্ভুত কাণ্ড ঘটিয়ে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুলেছেন ৫৩ বছরের এই ব্যক্তি। কলোরাডোর পাইকস পিকে নিজের অভিযানটি সম্পূর্ণ করেন তিনি। পুরো কাজটা করতে মোট সাত দিন সময় লেগেছে তাঁর। গত ৯ জুলাই সকাল ৯টা নাগাদ পাহাড়ে চড়া শুরু করেন সালেম। গোটা সফর জুড়ে নাক দিয়ে বাদামটিকে ঠেলে ঠেলে পাহাড়ে তোলার চেষ্টা করে গিয়েছেন তিনি। এবং সফলও হয়েছেন। সালেমের এই অভিযানে তাঁর পাশে ছিল স্থানীয় প্রশাসন। মানিটো স্প্রিংস মিউনিসিপ্যালিটির তরফে তাঁর জন্য খোলা হয় একটি ওয়েবপেজও। গোটা অভিযানের প্রতিটি আপডেট দেওয়া হত সেখানে।
আরও শুনুন: হেলায় সপ্তম শ্রেণির অঙ্ক কষছে প্রথম শ্রেণির পড়ুয়া, ক্লাস নেয় বড়দেরও
সালেমের এই অবাক করা কাজে উৎসাহ দিতে এগিয়ে এসেছেন অসংখ্য স্থানীয় মানুষও। ভিড় জমিয়েছেন পাইকস পিকের পাদদেশে। অভিযানটি শেষ হতে না হতে তাঁকে চিঠি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান স্থানীয় মেয়র। সেদিন রীতিমতো উৎসবের ছোঁয়া লেগেছিল পাইকস পিক সংলগ্ন এলাকায়। এ দিকে, এ বছরই ১৫০ বছরে পা রেখেছে মানিটো স্প্রিংস মিউনিসিপ্যালিটি। সালেমের এই রেকর্ড সেই উদযাপনেই লাগিয়েছে নয়া রং। এর আগেও কেউ কেউ বাদাম নিয়ে এমন বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন বটে। তবে তা অনেক দিনের কথা। ১৯৬৩ সালে এক ব্যক্তি বাদাম ঠেলে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন, তবে তিনি গোটা কাজটা শেষ করেছিলেন আট দিনে। এই শতাব্দীতে সালেমই প্রথম, যিনি এমন অভিনব রেকর্ড গড়েছেন।