মানবশরীরে সাধারণত দুটিই কিডনি থাকে। তবে প্রকৃতির খেয়ালে এই ব্যক্তির শরীরে রয়েছে মোট তিনখানা কিডনি। চিকিৎসকদের কথায়, এ যেন এক আশ্চর্য। এ ব্যপারে আর কী বলছেন চিকিৎসকেরা? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
দু’টো নয়। তাঁর শরীরে কিডনির সংখ্যা মোট তিনটে। যা দেখে কার্যত অবাক চিকিৎসক মহল। তবে কিছুদিন আগে পর্যন্ত এ ব্যপারে বিন্দুবিসর্গও জানতেন না কানপুরের বাসিন্দা সুশীল কুমার। এমনকী এর জন্য কখনও কোনও সমস্যারও মুখোমুখি হতে হয়নি তাঁকে। এত বছর ধরে স্বাভাবিক জীবনযাপনই করে এসেছেন ৫২ বছরের এই ব্যক্তি।
আরও শুনুন: বিয়ের ভয়ে রোগী সেজে হাসপাতালে বর, অপটু অভিনয়ে শেষমেশ পর্দাফাঁস
পেশায় ব্যবসায়ী সুশীলের ২০২০ সালে একটি অস্ত্রোপচার হয়। তার জন্য অন্যান্য পরীক্ষার সঙ্গেই করতে হয়েছিল আল্ট্রাসোনোগ্রাফিও। আর তাতেই ধরা পড়ে এ রহস্য। জানা যায়, তাঁর শরীরে দুটি কিডনির পাশাপাশি রয়েছে আরও একটি অতিরিক্ত কিডনি। ব্যাপারটি প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি তিনি। ভেবেছিলেন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এমন ভুল হয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় ফের পরীক্ষা করেন তিনি। তাতেও একই ফলাফল আসে। এবার খানিকটা ভয়ই পেয়ে যান সুশীল। তড়িঘড়ি তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ নেন।
আরও শুনুন: এ গ্রামের কুকুরেরা নাকি কোটি টাকার মালিক! ভারতের কোথায় রয়েছে এই গ্রাম?
জানা যায়, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় ‘সুপারনিউমেরারি কিডনি’। ব্যাপারটি বেশ বিরল হলেও বড় কোনও দুশ্চিন্তার কারণ নেই এটি নিয়ে। চিকিৎসকদের মতে, মানশরীরে থাকা দুটি কিডনির একটিই রেচনতন্ত্রের কাজে লাগে। সে কারণেই একটি কিডনি বিকল হলেও রেচনকাজে তেমন ব্যাঘাত ঘটে না। সেক্ষেত্রে অবশ্য বেশ কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয় রোগীকে। আর তাই অনেক সুস্থ ব্যক্তিকেই দুটি কিডনির মধ্যে একটি দান করতে দেখা যায়। সেখানে সুশীলের দেহে রয়েছে তিনটি কিডনি। আর তা নিয়ে তেমন কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। স্বাভাবিক জীবনযাপনেও তাই কোনও বাধা নেই তাঁর। সুশীলকে ওই অতিরিক্ত কিডনিটি দান করার পরামর্শও দিয়েছেন তাঁরা। আর সেই প্রস্তাবে রাজিও হয়েছেন সুশীল। এমনকী মরনোত্তর অঙ্গদানের ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন তিনি।