ঝাঁ-চকচকে কোনও অফিস নয়। তাঁর পছন্দ কবরস্থান। আর তাই জীবনের প্রথম কর্মস্থল হিসাবে কবরস্থানকেই বেছে নিলেন এক তরুণী। কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত? আসুন শুনে নিই।
পড়াশোনা করে বড় অফিসে চাকরি করার স্বপ্ন থাকে প্রায় প্রত্যেকেরই। অফিসের পরিবেশ থেকে বেতনের অঙ্ক- চাকরি বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে নানারকম ভাবনা কাজ করে তরুণ-তরুণীর মনে। তবে, সবাইকে অবাক করলেন এক চিনা তরুণী। তিনি তাঁর প্রথম কর্মস্থল হিসাবে বেছে নিলেন কবরস্থানকে।
আরও শুনুন: কোথায় ভূত! কে বলে শুভ কাজ হয় না! শ্মশানে জন্মদিন পালন করে বার্তা ব্যক্তির
চিনা এই তরুণীর গ্র্যাজুয়েশন শেষ হয়েছে কিছুদিন আগে। কাজের জন্য নানারকম খোঁজখবর করছিলেন তিনি। তবে, গতানুগতিক পথে বেতন বা বড় অফিসের কাজ করার কথা তিনি ভাবেননি। বরং খোঁজ করছিলেন এমন একটা কাজের, যেখানে কাজ আর জীবনের ভারসাম্য যেন ঠিক থাকে। অথচ বলতে গেলে, আধুনিক জীবনের সমস্যার সূত্রপাত ঠিক সেখানেই। যত বড় পদ, যত দায়িত্ব, যত বড় অফিস, ততই কমতে থাকে জীবনকে দেওয়ার মতো সময়। তার প্রভাব এসে পড়ে ব্যক্তি মানুষের উপর, সম্পর্কের উপর। তার উপর আছে অফিসের রাজনীতি। তার জেরেও জেরবার হতে হয় কর্মীদের। কিন্তু আধুনিক সময়ে এর থেকে পালানোরই বা উপায় কী! অনেক ভেবেচিন্তেই কবরস্থানকে কর্মস্থল হিসাবে বেছে নিয়েছেন বছর বাইশের ওই তরুণী। সেখানে না আছে ঝুট ঝামেলা, না আছে অফিস পলিটিক্স। কাজ আর কাজের বাইরে ব্যক্তিগত জীবন- দুইই থাকতে পারে বহাল তবিয়তে। অতএব, খুব বেশি বেতন না হলেও এই কাজকেই বেছে নিয়েছেন তিনি।
আরও শুনুন: লটারিতে স্বামী জিতেছেন ১.৩ কোটি, টাকা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধতে চললেন স্ত্রী
মৃত ব্যক্তিদের আত্মীয়রা আসেন কবরস্থানে। তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন তরুণী। তাঁদের সাহায্য করেন। কবরস্থান পরিষ্কার করেন। চারিদিকে নজর রাখেন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে তরুণী জানিয়েছেন, এই কর্মস্থল নিয়ে তিনি দারুণ খুশি। যে কাজ তাঁকে করতে হয়, আর যে পরিবেশে তিনি কাজ করেন, তার উল্লেখ করেই তিনি জানিয়েছেন কেন কর্মস্থল হিসাবে কবরস্থান তাঁর পছন্দের। মৃতেরা তো আর ঝামেলা করে না! আর সহকর্মীদের রাজনীতির শিকার হওয়ারও প্রশ্ন নেই। ফলে এই কাজে তিনি বেশ খুশি। এই ভিডিও দেখে প্রশংসা করেছেন অনেকেই। যেখানে বেশি রোজগারের প্রতিযোগিতা অহরহ, আর তার জেরে জীবনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, সেখানে এক তরুণীর এই জীবনদর্শন যেন অন্যরকম বার্তাই বহন করে এনেছে।