পণ করেছেন আজবরকম। মানুষের মতো যেন দেখতে না লাগে কিছুতেই। কিন্তু একজন মানুষ আচমকা অদ্ভুতদর্শন হয়ে উঠবেনই বা কী করে! ব্য়াপারটা সহজ নয়। তাই ভরসা বডি আর্টে। সারা শরীর জুড়ে এমন সব বিচিত্র ট্য়াটু করাচ্ছেন এক যুবক, যাতে তাঁকে মানুষ বলেই মনে না হয়! ভাবছেন তো, এমনধারা আজব শখ আবার কার হতে পারে! আসুন শুনে নেওয়া যাক।
শরীরে যতটা অংশ চোখে পড়ে, কেবলই বিচিত্র সব ট্য়াটু। পাজল বা জ্য়ামিতিক নকশা লেগে আছে চোখে মুখে গালে। এমন সব ট্য়াটু, যার দরুণ এক যুবককে সুন্দর দেখতে তো লাগছেই না, বরং বলতে গেলে তাঁকে অদভূতদর্শন করে তুলেছে। কিন্তু এখানেই তো শেষ নয়। ট্য়াটু সামান্য় জিনিস। অদ্ভুতদর্শন হয়ে উঠতে গিয়ে এই যুবক যা করেছেন, শুনলে চোখ কপালে উঠবে। কান ও নাক দুটোকেই বিকৃত করেছেন । টাইটেনিয়াম দিয়ে দাঁতের সারি বদলে ফেলেছেন কায়দা করে। এমনকী রং করেছেন চোখের মণিতেও। সব মিলিয়ে যুবকের একটাই লক্ষ্য,মানুষের মতো যেন তাঁকে দেখতে না লাগে। একেবারে তো সব বদলে ফেলা যায় না, তবু যতদূর সম্ভব। যুবক সে চেষ্টার কসুর করছেন না।
আরও শুনুন: শীতে যেন কেউ কষ্ট না পায়! চিপসের প্যাকেট দিয়েই গরিবদের জন্য কম্বল বানাল খুদে
অবশ্য়, সাধারণ মানুষের কাছে যা অস্বস্তিকর আজব শখ বলে মনে হতে পারে, যুবকের কাছে তা আসলে শিল্প। তিনি বলছেন, এ হল বডি মডিফিকেশন আর্ট। তা এরকম শিল্প সত্য়িই আছে। এবং সেখানে যাবতীয় কারিকুরির জায়গা হচ্ছে শরীর। অর্থাত মানুষের শরীরই হল এই ধরনের শিল্পীদের কাছে ক্য়ানভাস। তবে এই যুবক সেই শিল্পকে প্রায় অন্য় পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন বলাই যায়। বছর আঠাশের এই যুবক জার্মানির বাসিন্দা। যখন তাঁর বিশ বছর বয়স, তখন থেকেই এই শিল্পের প্রতি তাঁর টান। নিজের শরীরকে ক্যানভাস করে অন্য়রকম হয়ে ওঠার নেশা পেয়ে বসে তাঁকে। তবে গোড়াতেই তিনি ঠিক করে নেন, স্রোতে গা ভাসাবেন না। বডি মডিফিকেশনের নামে এখনও অব্দি যা যা হয়েছে, তার বাইরে গিয়ে কিছু করবেন। নিজের জিভকে বিকৃত করেছিলেন বহুদিন আগে। সেই শুরু। সারা বিশ্বে এই নিয়ে যা কাজ হয়, সে সবের দিকে নজর তো রাখছিলেনই, পাশাপাশি শুরু করে দেন নিজের ভাবনাচিন্তাও। কীভাবে নিজেকে সবার থেকে আলদা করবেন, এই ভাবতে ভাবতেই শুরু হয় নিজের শরীর নিয়ে পরীক্ষা। ঠিক করেন, মানুষের মতো তাঁকে যাতে দেখতে না লাগে, সেভাবেই নিজেকে বদলে ফেলবেন তিনি। এরপরই সারা মুখে উঠে আসে পাজল বা নকশার ট্য়াটু। তারপর তো দাঁতে টাইটেনিয়াম থেকে চোখের মণিতে রং, সবই হয়েছে। এখন তিনি এমন কিম্ভূত দেখতে হয়েছেন যে, সাড়া ফেলে দিয়েছেন নেটদুনিয়ায়। ক্রমশ নিজের লক্ষ্যের অনেকটা কাছাকাছি পৌঁছেছেন তিনি, এবং প্রত্য়াশিত ভাবেই সারা বিশ্বে পরিচিতিও পেয়েছেন।
শুনে নিন বাকি অংশ।