সামান্য একটা প্রাণী। কিন্তু তাকে সহ্য করতে পারেন না কেউ-ই। বাঘ-ভালুক নয়, অথচ তাকে ভয় প্রায় সকলেই। নাহ্ কোনও ভিন গ্রহের বাসিন্দা নয়, কথা বলছি ছাপোষা আরশোলা নিয়ে। বাড়ির দেওয়ালে, কিংবা ঘরের কোনার ডাস্টবিন জুড়ে যাদের অবাধ বিচরণ। কথা হল, সেই আরশোলাই নাকি কাউকে কাউকে করে দিতে পারে লাখপতি! অবাক হচ্ছেন! আসুন তাহলে শুনেই নেওয়া যাক।
আরশোলা দেখে রীতিমতো ভয় পান, এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। বিজ্ঞানের ভাষায়, এই ভয়কে বলে ‘ক্যাটসারিডাফোবিয়া’। তবে সে ফোবিয়া থাকুক বা না-থাকুক, আরশোলা ভালবাসে এমন মানুষ সারা পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বাড়িতে একটা আরশোলা দেখলেই তা তাড়ানোর তোড়জোড় শুরু করেন সকলেই। সেই আরশোলার সঙ্গেই নাকি বাস করার অফার দিচ্ছে এক সংস্থা। তবে এক্ষেত্রে আরশোলার সঙ্গে বাস করতে পারলে মিলবে দেদার টাকা। এমনটাই ঘোষণা সংস্থাটির। তবে শর্ত একটাই, একেবারে শ-খানেক আরশোলার সঙ্গে থাকতে হবে গোটা একটা মাস।
আরও শুনুন: বিতর্কিত মন্তব্যের পরেও ক্ষমা করা যায় নূপুর শর্মাকে, বার্তা ইসলাম ধর্মাবলম্বী একাংশের
সম্প্রতি মার্কিন মুলুকের একটি পেস্ট কন্ট্রোল কোম্পানি এমন অদ্ভুত বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, কোনও ব্যক্তি যদি তাঁর নিজের বাড়িতে ১০০ খানা আরশোলা ছাড়ার অনুমতি দেন, তাহলেই তাঁকে দেওয়া হবে ২ হাজার ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় দেড় লক্ষের-ও বেশি। যদিও এক্ষেত্রে মানতে হবে কিছু শর্ত। দীর্ঘ এক মাস ধরে আরশোলাগুলিকে অন্য কোনও ভাবে মারা যাবে না। শুধুমাত্র সেই সংস্থা তাঁদের নির্ধারিত পদ্ধতিতেই করবে আরশোলা দমনের কাজ। এছাড়াও এরকম কাজে পূর্ণ সহমতি জানিয়ে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে বাড়ির মালিককে। সংস্থার দাবি তাঁদের অন্তত এরকম ৫-৬টি বাড়ি প্রয়োজন। তবেই তারা সম্পূর্ণ নিশ্চিত হবে তাঁদের আরশোলা দমনের কৌশল সম্পর্কে।
আরও শুনুন: মাত্র ১ পয়সার জন্য বেঁচে গেল ১০ হাজার টাকা, বানচাল ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ছক
শুনতে অদ্ভুত লাগলেও, সংস্থার এরকম বিজ্ঞাপনের আসল কারণ হল পরীক্ষা। যদিও সংস্থার দাবি, এক্ষেত্রে তাঁরা এমন কিছু ব্যবহার করবেন যা মানুষ বা পোষ্যের জন্য ক্ষতিকারক নয়। ভারতবর্ষ-সহ পৃথিবীর বিভিন্ন গ্রীষ্মপ্রধান দেশে আরশোলা এক গুরুতর সমস্যা। প্রতি বছর এই আরশোলার জন্য খাদ্যে বিষক্রিয়ার শিকারও হন অনেকেই। সেই সমস্যা থেকে মুক্তির পথ দেখাতে চাইছে এই সংস্থা। তৈরি করেছে বিশেষ পদ্ধতি। সেই পদ্ধতি কতটা কার্যকর, সেটাই এখন পরখ করে দেখার বিষয়। সংস্থার আশা, সমাজের স্বার্থে না হোক লাখপতি হওয়ার লোভেও যদি এগিয়ে আসেন কিছু সহৃদয় মানুষ, তাহলেই তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে। এখন, লাখপতি হওয়ার লোভে কারা কারা আরশোলার সঙ্গে থাকতে রাজি হলেন? না সে তথ্য অবশ্য এখনও পাওয়া যায়নি।