ডোনাল্ড ট্রাম্প কে? সবাই জানে, আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু যদি বলা হয় ট্রাম্প একটা খুদে পোকা! অবাক হওয়ার মতোই কথা বটে। তবে এমন পোকা কিন্তু সত্যিই আছে। আসুন শুনে নেওয়া যাক সেই পোকা-বৃত্তান্ত থুড়ি ট্রাম্প-কিসসা।
শেক্সপিয়রের সেই সুমহান উক্তিটির কথা মনে আছে- নামে কি বা এসে যায়? কিন্তু না। নামে যে বহুকিছুই এসে যেতে পারে, তার প্রমাণ মিলল হাতে-নাতে। গোড়া থেকেই তাহলে গল্পটা শুনুন। শুধু গল্প নয়, এ কিন্তু একেবারে জ্যান্ত খবর। আচ্ছা, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমরা কে না চিনি বলুন তো? আমেরিকার নির্বাচনে লাল ঝড় তুলে ফের মার্কিন মুলুকের মসনদে বসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে, আমরা যার কথা বলছি, সেও ট্রাম্প। তবে প্রেসিডেন্ট নয়। এমনকি মানুষই নয় সে। তাতে কী! মার্কিন প্রেসিডেন্ট না হলে কি কারও নাম ট্রাম্প হতে নেই?
আজ্ঞে হ্যাঁ। ইনি আসলে একটি খুদে মথ। নজর দিয়ে না দেখলেই যাকে প্রজাপতির সঙ্গে গুলিয়ে ফেলতে পারেন। তারই নামকরণ হয়েছে কিনা ট্রাম্পের নামে।
আরও শুনুন: ধোনির জন্যই তখতে ট্রাম্প! ‘আর কী কী আছে?’ মিম-ফেস্টিভ্যালের খোঁজ ট্রাম্পের ছেলের
না না, গল্প নয়, নিপাট সত্যি কথা। মার্কিন মুলুকের অধিপতি ও মথের নাম এবার একাকার হয়ে গেছে। কারণ কী জানেন? ডোনাল্ড ট্রাম্পের সোনালি চুলের রঙের সঙ্গে অবিকল মিলে যায় এই মথের আঁশের রং। পুরো নাম নেওপালপা ডোনাল্ড ট্রাম্পি। তাই ডাকনাম ট্রাম্প। কানাডিয়ান বিজ্ঞানী ভাজরিক নাজারি ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রথম এই মথটি আবিষ্কার করেন। এবং ২০১৭ সালে এ মথের নামকরণটিও সেরে ফেলেন। এই মথেরা সাধারণত ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণে, বাজা ক্যালিফোর্নিয়া আর মেক্সিকোর মরুভূমির দিকে দেখা যায়। যেহেতু বিরল প্রজাতির মথ, তাই এখনও অবধি খুব কমসংখ্যক মানুষই এই মথটির বিষয়ে জানেন। মূলত গাছপালার রস খেয়েই এরা বেঁচে থাকে। গবেষকেরা সাম্প্রতিক কালে এই জাতীয় মথ নিয়ে বিস্তর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন, এবং তাঁরা জানিয়েছেন বিপুল নগরায়ণের কারণে এই পতঙ্গটি আজ বিপন্নপ্রায়।
সম্প্রতি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রে এই বিষয়টি নজরে এসেছে সকলের। তবে বিখ্যাত ব্যক্তির নামে পতঙ্গের নামকরণের বিষয়টি যে বেশ অভিনব ব্যাপার তা বলাই চলে। কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন তো হামেশাই শোনা যায়, তা সোনালি মথের নাম নাহয় ট্রাম্প-ই হল, তাতে ক্ষতি কী!