ছুটির মধ্যেও ফোন কিংবা মেসেজ করেই থাকেন বস? চাইলে তার জবাব নাও দিতে পারেন আপনি। কর্মীদের এই অধিকারে আইনি শিলমোহর দেওয়ার ভাবনা এই দেশের। শুনে নেওয়া যাক।
অবহেলা করার অধিকার। আইন করেই কর্মীদের সেই অধিকার দিতে চাইছে এই দেশ। চাকরি করা মানেই তো নিজের সম্পূর্ণটা কোনও সংস্থা কিংবা তার কর্তৃপক্ষের কাছে বন্ধক রাখা নয়, বরং সংস্থার প্রতি দায়বদ্ধতার পাশাপাশি নিজের প্রতি কর্তব্যও পালন করার অধিকার রয়েছে কোনও কর্মীর। আর সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ কাজের সময়ে যেমন নিজের কথা ভাবার প্রসঙ্গ ওঠে না, তেমনই নিজের অবকাশের মধ্যেও চাইলে সংস্থার দাবিদাওয়াকে অবহেলা করতে পারেন কর্মী। এই ভাবনা থেকেই সম্প্রতি নয়া আইন আনার ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে এই দেশ।
-: আরও শুনুন :-
বিয়েবাড়িতে এলেই হাতে হেলমেট ধরাচ্ছেন কনের বাবা, তাজ্জব বরযাত্রীরা
সত্যি বলতে, অনেক দেশেই শ্রমনীতি নিয়ে ধারণা বিশেষ স্বচ্ছ নয়। কর্মীরা কতক্ষণ কাজ করবেন তার একটা গড়পড়তা নির্দেশিকা আছে বটে, কিন্তু বড় সংস্থা বা বহুজাতিক সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে অনেক সময়েই দেখা যায় যে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গিয়েও কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন কর্মীরা। আর অসংগঠিত ক্ষেত্রের কথা তো না বলাই ভালো। যদি বা কাজের জায়গা থেকে ছুটিও মেলে, তারপরেও সেই ছুটির মধ্যে কাজের ফোন বা মেসেজ কিন্তু আসতেই পারে। এই বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবেই মেনে নেন অধিকাংশ কর্মী। কিন্তু কর্মীর ছুটির মধ্যে যে এভাবে চাইলেই ভাগ বসানো যায় না, সেই কথাটিই মনে করিয়ে দিচ্ছে এই দেশ। আর সেই কারণেই এই নয়া আইনের প্রস্তাবনা।
কোন দেশে আনা হচ্ছে এই নয়া আইন?
-: আরও শুনুন :-
পুড়িয়ে ফেলা নাকি অন্যকে গিফট! প্রাক্তনের দেওয়া উপহারের আর কী হয় পরিণতি?
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি এহেন আইন চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। কাজের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলে যদি বস যোগাযোগ করতে চান, কোনও কর্মী চাইলে তাতে সাড়া নাই দিতে পারেন- এই অধিকার চালু করবে ওই নয়া আইন। ইতিমধ্যেই পার্লামেন্টে পেশ করা হয়েছে বিলটি, আর গরিষ্ঠসংখ্যক সদস্যের ভোটও পেয়েছে এই বিল। সুতরাং মনে করা হচ্ছে, এর আইনে পরিণত হওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা। সেক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের শ্রমনীতিতেও কি এর সামান্য প্রভাব পড়বে? সে আশা হয়তো অনেকেরই।