১২ সংখ্যার প্রবেশ নেই এই শহরে। শহর যেন থমকে গিয়েছে ১১-এর ঘেরাটোপে। তাই এই শহরের ঘড়িতেও শোনা যায় না বারোটার ঘণ্টা। কোথায় আছে এমন আজব শহর?
ছবির মতো সুন্দর এই দেশ। যাকে চারপাশে ঘিরে রয়েছে আল্পস পর্বত। স্বপ্নের এই দেশের নাম সুইটজারল্যান্ড। স্বপ্নের দেশ বলছি তার কারণ অনেকেই শয়নে স্বপনে জাগরণে এখানে ঘুরতে যেতে চান। নববিবাহিত দম্পতিরা হনিমুন প্ল্যান করেন। একটা সময় তো হিন্দি সিনেমার প্রায় সব ছবির শুটিং হত এই সুইটজারল্যান্ডে। এই দেশেরই এক ছোট্ট শহর সোলোথার্ন। আর এখানেই রয়েছে সেই একাদশ আশ্চর্য। ১১ সংখ্যার সঙ্গে এক অদ্ভুত সখ্য আছে এই শহরের আর ১২ সংখ্যার কোনও স্থান নেই এখানে। ভাবছেন তো, এর মানেটা কী?
আরও শুনুন: ৪০০ বছরে এই গ্রামে জন্মায়নি কোনও শিশু, কেন জানেন?
শহরে ঢুকতেই চোখে পড়বে একটা ঘড়ি। এক নজরে দেখলে কিছুই বুঝবেন না। কিন্তু একটু ভাল করে লক্ষ্য করলেই চোখে পড়বে এর বিশেষত্ব। এই ঘড়ির কাঁটা কখনও বারোটার ঘর ছোঁয় না কারণ ঘড়িতে বারোটার কোনও ঘরই নেই। মানে ১১টার পর এখানে ১টা বাজে। শুধু তাই নয়, এই শহর জুড়ে এমন অনেক কিছু দ্রষ্টব্য আছে যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ১১ সংখ্যা। এগারোটা জাদুঘর, এগারোটা গির্জা, এমনকি সারা শহর জুড়ে মনোরম ঝরনার সংখ্যাও ১১। এই শহরে রয়েছে এমন একটি গির্জা যার ১১টা জানলা, ১১টা দরজা, ১১টা ঘণ্টা।
আরও শুনুন: Silent Village: বছরে ৪২ দিন মুখে কুলুপ গ্রামবাসীদের, কোথায় রয়েছে এমন অদ্ভুত প্রথা?
এই শহরেই এক সময়ে কাউন্সিলর নির্বাচনে ১১ জন জয়ী হন। আরও পরে শহরের রক্ষাকর্তা হিসাবে ১১ জনকে নিয়োগ করা হয়। মনে হতে পারে এই শহর কেন এগারোয় এসে থমকে যায়?
তবে ফিরি গোড়ার কথায়। তখন এই শহরের কোনও অস্তিত্বই ছিল না। জনবিহীন এই অঞ্চলে পথ হারিয়ে চলে আসেন এক জার্মান নাগরিক ইলভ। ভাল লেগে যায় জায়গাটাকে। এখানেই থাকতে শুরু করেন ইলভ। নিজের প্রয়োজন মতো একটু একটু করে শহরটাকে বসবাসযোগ্য করে তোলেন। এই নিয়ে অনেক মতপার্থক্যও রয়েছে। অনেকেই আবার মনে করেন এই সোলোথার্ন শহরের পত্তন করেন রোমানরা।
বাকি অংশ শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।