খরচ করতে হবে মাত্র ৮ হাজার টাকায়। তাতেই মিলবে পুণ্যলাভের সুযোগ। অবশ্য ধরাধামে নয়। এক্কেবারে স্বর্গে। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। এই দরেই স্বর্গের জমি বেচার দায়িত্ব নিয়েছে এক চার্চা। ঠিক কী দাবি চার্চ কর্তৃপক্ষের? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
মৃত্যুর পর কী হবে, তা সঠিক ভাবে বলতে পারেন না কেউই। তাও অনেকের মনেই স্বর্গপ্রাপ্তির সুপ্ত বাসনা থাকে। পুরাণের কাহিনি অনুযায়ী, সেখানে সবকিছু এতই সুন্দর যে একবার পৌঁছাতে পারলে সব সাধ মিটে যাবে। তাই যে কোনও ধর্মেই পুণ্যের সঙ্গে স্বর্গপ্রাপ্তির সরাসরি যোগ দেখানো হয়। মানে বেঁচে থাকতে পুণ্য করলেই পরপার হবে অতি সুন্দর।
আরও শুনুন: বিচারপতিকে ‘ভগবান’ মনে করলেই সর্বনাশ! হুঁশিয়ারি খোদ প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের
কিন্তু সেই স্বর্গের জমিই যদি বেঁচে থাকতেই কিনে ফেলা যায়?
শুনতে অবাক লাগলেও এমনটা সত্যিই ঘোষণা করেছিল মেক্সিকোর এক চার্চ। সেখানকার যাজক দাবি করেন, স্বয়ং ঈশ্বর তাঁকে স্বর্গের জমি কেনা বেচার দায়িত্ব দিয়েছেন। সকলের কথা ভেবে নামমাত্র দামে এই জমি বিক্রি করা হবে বলে জানান ওই যাজক। এমনিতে চার্চের এই প্রধানকে সকলেই মান্য করেন। কাজেই তাঁর এই ঘোষণা সকলে বিশ্বাসও করে নেয়। জানা যায়, মাত্র ৮০০০ টাকা খরচ করলেই স্বর্গে এক বর্গফুট জমি মিলবে। বেশিও কেনা যাবে। তার জন্য আগে থেকে টাকা দিয়ে সারতে হবে বুকিং। এক্ষেত্রেও বিশেষ সুবিধার কথা বলেন যাজক। যারা আগে বুকিং সারবে, তাঁদের জমি দেওয়া হবে একেবারে ঈশ্বরের কাছে। যারা পরে জমি কিনবে তাঁরা খানিক দূরে জায়গা পাবে। শুধু মুখের কথা নয়, স্বর্গের জমি কেমন হবে সেই ছবিও প্রকাশ করেন যাজক। সেখানে দেখা যায়, মেঘের মধ্যে অতি সুন্দর একটি প্রাসাদ। দাবি, ওই প্রাসাদেই থাকার সুযোগ পাবেন যে কেউ। শুধু খরচ হবে কিছু টাকা। এর জন্য অনলাইন পেমেন্টের ব্যবস্থাও করেন পাস্তুর। বেশ কিছুদিন সোশাল মিডিয়ায় এই ছবি ও যাজকের দাবি সংক্রান্ত পোস্ট ঘোরাফেরা করে।
আরও শুনুন: রোহিত, নুয়ে পড়া জীবনকে আশার আলো দেখাতে পারেন আপনিই
তবে ব্যাপারটা যে ভুয়ো তা কিছুদিনের মধ্যে ধরা পড়ে। নেটদুনিয়ায় এই নিয়ে রীতিমতো কটাক্ষের শিকার হন ওই যাজক। পাশাপাশি তাঁর দাবি নিয়ে মশকরাও করেন নেটিজেনরা। এভাবেও যে জালিয়াতি করা সম্ভব, সেই নিয়েই ব্যঙ্গ করেন সকলে। একইসঙ্গে এই ধরনের ভ্রান্ত প্রচারের জন্য যাজকের কড়া শাস্তির দাবি তোলেন কেউ কেউ। যদিও ঘটনার জল বেশিদূর গড়ায়নি। গোটা বিষয়টাকে মশকরার ছলেই এড়িয়ে যান সোশাল দুনিয়ার বাসিন্দারা।