মুকেশ আম্বানি। শুধুমাত্র দেশের ধনীতম ব্যক্তিই নন, দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যেও অন্যতম তিনি। বিশ্ববিখ্যাত রিলায়েন্স সংস্থার কর্ণধার মুকেশ। পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রেই ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর কাজের পরিধি। তবে কর্ণধার হলেও রিলায়ন্সের সবথেকে বেশি মাইনে তিনি পান না। বরং আম্বানি গোষ্ঠীর সবথেকে দামি কর্মী অন্য দুজন। জানেন তাঁদের পরিচয়? আসুন শুনে নিই।
প্রথম সারির কর্পোরেট সংস্থার তালিকায় রিলায়েন্সের নাম থাকবে উপরের দিকেই। কর্ণধার হিসেবে এই সংস্থার যাবতীয় খবরে জড়িয়ে পড়ে মুকেশ আম্বানির নাম। বাদ যায় না তার পরিবারও। বলা ভাল, আম্বানি পরিবারের কোনও বিশেষ ঘটনা ঘটলেই তা খবরের শিরোনামে স্থান পায়। এমনকি মুকেশ পত্নী কত টাকা দামের পোশাক ব্যবহার করেন, কিংবা তাঁর ছেলের বিয়েতে ঠিক কেমন আয়োজন হল, এইসব হামেশাই খবর পাতায় চোখে পরে। তবে সম্প্রতি আম্বানি পরিবারের অন্য দুই সদস্য খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন। তাও আবার বেতনের প্রসঙ্গে।
অনেকেই মনে করেন, কর্ণধার হিসেবে মুকেশ আম্বানিই সবথেকে বেশি মাইনে পান। তা না হলে অন্তত তাঁর স্ত্রী বা সন্তানদের মধ্যে কেউ। কিন্তু আসলে তাঁদের কেউই রিলায়েন্সের সবথেকে দামি কর্মী নন। বরং সেই জায়গায় রয়েছেন এই দুই ভাই। জানা গিয়েছে, এই সংস্থায় সবথেকে বেশি বেতন পান নিখিল মেসওয়ানি এবং হিতাল মেসওয়ানি। চলতি অর্থবর্ষের হিসাব অনুযায়ী তাঁরা ২৫ কোটি টাকা বেতন পেয়েছেন। দুজনেই মুকেশের দূর সম্পর্কের আত্মীয়। প্রথমজন অর্থাৎ নিখিল মেসওয়ানি, ১৯৮৬ সালে সংস্থায় যোগ দেন। বর্তমানে রিলায়েন্সের ডিরেক্টরের পদের দায়িত্ব সামলান। এছাড়া সংস্থার বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজকর্মও তাঁকেই সামলাতে হয়। একসময় তাঁর নেতৃত্বেই পেট্রোকেমিক্যালের ব্যবসায় বিরাট লাভের মুখ দেখেছিল রিল্যায়েন্স। সেই থেকে সংস্থার উচ্চপদে জায়গা হয়েছে নিখিলের। পরেও অবশ্য একইভাবে কোম্পানির সুনাম ধরে রাখতে সাহায্য করেছেন তিনি। বিনিময়ে মোটা অঙ্কের বেতন পাচ্ছেন তিনি। শুধু রিল্যায়েন্স নয়, সংস্থা আইপিএলের যে দলটি কিনেছে তার সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন নিখিল। সেই সূত্রেও বাড়তি দায়িত্ব সামলাতে হয় তাঁকে।
একইভাবে রিলায়েন্সের অন্যতম গুরুত্বপূর্ন কর্মী তাঁর ভাই, হিতাল মেসওয়ানি। তিনিই সস্থার অন্যতম ডিরেক্টর। তবে তাঁর কাজের পরিধি মার্কেটিং ক্ষেত্রে। এছারা রিলায়েন্সের যাবতীয় জন সংযোগের দায়িত্বও তিনিই সামলান। দেশের বাইরে একাধিক জায়গায় ব্যবসা রয়েছে রিলায়েন্সের। সেই সমস্ত জায়গায় সঠিকভাবে যোগাযোগ হচ্ছে কি না, তা দেখার দায়িত্ব হিতালের। এছাড়া সংস্থার সেলস কেমন হচ্ছে, কোথায় কোথায় মন্দার মুখ দেখছে ব্যবসা সেসবও তাঁকেই খেয়াল রাখতে হয়। তবে তিনি এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ক্ষমতা রাখেন। অন্যান্য কর্মীরা তাঁর নির্দেশমতোই কাজ করেন। বলা যায়, এই দুই ভাইয়ের হাতেই রিলায়েন্সের প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক ভার রয়েছে। তাই তাঁরা যে সবথেকে বেশি বেতন পাবেন একথা বলাই বাহুল্য।