যে কোনও সাধনার পথই নাকি সহজ নয়। সে ঈশ্বর হোক বা বিজ্ঞান! আজ মহাকাশ গবেষণায় নতুন নতুন পথ খুঁজে নিচ্ছে ভারত। তবে শুরুটা কিন্তু এত সহজ ছিল না। এ দেশে ছিল না ঠিকঠাক একটা গবেষণা কেন্দ্রও। তবে সে সময় বিজ্ঞানের হাত ধরেছিল ধর্ম। জায়গা ছেড়ে দিয়েছিল বিজ্ঞানকে, নতুন দিশা খুঁজে নেওয়ার জন্য। বিশপের বাড়িই হয়ে উঠেছিল নতুন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র। রকেটের বিভিন্ন অংশ এসেছিল সাইকেলে চেপে। গ্রামবাসীরা নির্দ্বিধায় ছেড়ে দিয়েছিলেন নিজের বসতজমি। শুনে নিন, ভারতের প্রথম মহাকাশ অভিযানের নেপথ্যের গল্প।
ততদিন মহাকাশ গবেষণায় অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়ন। আমেরিকা মহাকাশে পাঠিয়ে দিয়েছে একটি শিম্পাঞ্জিকে। আরও একধাপ এগিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের পাঠানো রকেটে প্রথমবার মহাকাশে পা রেখেছে মানুষ। মহাকাশযান চালিয়ে সফল ভাবে পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন মার্কিন টেস্ট পাইলট অ্যালান শেপার্ডও। সোভিয়েত ইউনিয়নের তরফে মহাকাশ ছুঁয়ে দেখেছেন বিশ্বের প্রথম মহিলা মহাকাশচারী ভেলেন্তিনা তেরেসকোভা।
আরও শুনুন: সময় কাটছে না, সাড়ে সাত কোটির পেন্টিংয়ে পেন দিয়ে চোখ আঁকলেন নিরাপত্তারক্ষী
কিন্তু ভারতে তখন কোথায় কী! এমনকি একটা মহাকাশচর্চার কেন্দ্র পর্যন্ত ছিল না। তবু সেসময়ে দাঁড়িয়েও অন্তরীক্ষ জয়ের স্বপ্ন দেখছিলেন এক ভারতীয় পদার্থবিদ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী। তিনি বিক্রম আম্বালাল সারাভাই। ১৯৬২ সালে সারাভাইয়ের উদ্যোগে তৈরি হল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কমিটি অব স্পেস রিসার্চ। বিজ্ঞানী একনাথ বসন্ত চিটনিসকে নিয়ে তিনি তৈরি করলেন মহাকাশ গবেষণার দল। সেই দলের বিজ্ঞানী ও ইঞ্জিনিয়ারদেরও নির্বাচিত করেছিলেন সারাভাই নিজে। যার মধ্যে অন্যতম ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম। নাসাতে গিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণও নেন তাঁরা।
আরও শুনুন: দুর্ধষ গুপ্তচর আবার তিনি গান্ধী অনুগামীও… সিনেমাকেও হার মানায় এই সাহসিনীর জীবন
কিন্তু রকেট উৎক্ষেপণের জন্য উপযুক্ত স্থান বা গবেষণা কেন্দ্র তখনও দূর অস্ত। সেই জায়গাটিও খুঁজে বের করতে হয়েছিল বিজ্ঞানীদেরই। রকেট উৎক্ষেপণের জন্য সমুদ্রের আশপাশের কোনও জায়গা হলেই ভাল হয়। ঘুরতে ঘুরতে কেরালার গভীরে থুম্বা নামে একটি ছোট্ট গ্রাম ভারী পছন্দ হয় বিজ্ঞানী চিটনিসের। শান্ত সমুদ্র, যেদিকে দু-চোখ যায়, সারি সারি নারকেল গাছ। কয়েকশো কুঁড়ে ঘর আর তার ছোট্ট একটি ক্যাথলিক চার্চ। এ গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই পেশায় মৎস্যজীবী। অবস্থান খতিয়ে দেখে চিটনিস বুঝলেন, রকেট উৎক্ষেপণের জন্য আদর্শ জায়গা এই থুম্বা। চার্চ ও চার্চ সংলগ্ন বাগানটি রকেট উৎক্ষেপণের জন্য দারুণ পছন্দ হল সারাভাইয়েরও।
শুনে নিন বাকি অংশ।