দিনকয়েক আগের কথা। নিজের লেখা বই প্রকাশ করে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিল পাঁচ বছরের এক খুদে। বইয়ের অলঙ্করণ-ও নিজেই করেছিল খুদে লেখিকা। সে ছিল পৃথিবীর সর্বকনিষ্ঠ লেখিকা। এবার একখানা বই নয়, বইয়ের সিরিজ লিখে গিনেস বুকে নাম তুলল আর-এক খুদে। আসুন, শুনে নেওয়া যাক, তাঁর সেই কৃতিত্বের কাহিনি।
‘ঠাকুমার ঝুলি’ কিংবা ‘হ্যারি পটার’-এ মজে থাকার বয়সেই সে লিখে ফেলেছে আস্ত একটা বই। না, শুধু একটা বই বললে ভুল হবে। বরং ‘সিরিজ’ বলা যেতে পারে তাকে। ইতিমধ্যেই ওই সিরিজের তিনটি খণ্ড প্রকাশ পেয়েছে। আর সে সব দিব্যি জনপ্রিয়তাও পেয়েছে বাজারে। আর সেই সিরিজ প্রকাশ করেই সে জিতে নিয়েছে অনন্য সম্মান। বিশ্বের কনিষ্ঠতম সিরিজ লেখিকা হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম উঠেছে এই খুদে লেখিকার।
আরও শুনুন: বয়স মোটে ৫, এর মধ্যেই আস্ত একখানা বই লিখে গিনেস বুকে নাম তুলল খুদে
সৌদি আরবের মেয়ে রিতাজ হুসেন আলহাজমি। এখন তাঁর বয়স মাত্র তেরো। তবে তেরোয় পা দেওয়ার আগেই সে শেষ করে ফেলেছিল তাঁর প্রথম উপন্যাস, ‘ট্রেজার অব দ্য লস্ট সি’। গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড থেকে যখন স্বীকৃতির চিঠি আসে তখন তাঁর বয়স মাত্র ১২ বছর ২৯৫ দিন। ২০১৯ সালে প্রকাশ পেয়েছিল ‘ট্রেজার অব দ্য লস্ট সি’ সিরিজের প্রথম খণ্ডটি। তার পর দ্বিতীয়, তৃতীয়… সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট তিনটি খণ্ড বেরিয়ে গিয়েছে ওই উপন্যাসের।
আরও শুনুন: গীতাঞ্জলি শ্রী-র হাত ধরে প্রথম বুকার পুরস্কার পেল ভারতীয় ভাষা
মাত্র ছ’বছর বয়স থেকেই লেখালেখি শুরু রিতাজের। সৌদি ছেড়ে সপরিবারে বিদেশে পাড়ি দিয়েছিল সে। সেখানেই চলছে তাঁর পড়াশোনা। পড়াশোনায় অবসর পেলে খেলাধুলা বা অন্য কিছু নয়। নিজের উপন্যাস লেখার কাজে বসে যায় সে। কলমের ছোঁয়ার জ্যান্ত করে তোলে তার গল্পের একেকটা চরিত্র, একেকটা ঘটনাকে। তার বয়সের সদস্যদের জন্যই বই লিখতে চায় রিতাজ। তাঁর মনে হয়, ওই বয়সসীমার খুদেদের জন্য তেমন সিরিজ বা উপন্যাস যথেষ্ট সংখ্যায় নেই ইংরেজি ভাষায়। আর সেই অভাবটাই পূরণ করতে চায় ছোট্ট রিতাজ। কিশোর সাহিত্যিকদের ভিড়ে নিজের পাকাপাকি একটা জায়গা খুঁজে নিতে চায় সে। আর সেই লক্ষ্যেই চলছে তার সাধনা।
না। এখনও তার গুপ্তধনের সন্ধান শেষ হয়নি পুরোপুরি। তার ‘ট্রেজার অব দ্য লস্ট সি’ সিরিজের চতুর্থ খণ্ডটি লেখার কাজে আপাতত ভীষণ ব্যস্ত সে। সেই খণ্ডের নাম হতে চলেছে ‘দ্যা প্যাসেজ টু দ্যা আননোন’। আর সেই অজানার বারান্দাতেই হারিয়ে যাওয়া সমুদ্রের গুপ্তধন খুঁজছে বিশ্বের কনিষ্ঠতম সিরিজ লেখিকা রিতাজ।