কোথাও পেড়া, কোথাও নকুলদানা, কোথাও আবার স্থানীয় কোনও মিস্টি। নির্দিষ্ট মন্দিরের নামেই সেখানকার প্রসাদ বিখ্যাত হয়। কিন্তু এমনও এক মন্দির রয়েছে যার প্রসাদ সেই তীর্থস্থানের মাহাত্ম্যের জন্য নয়। সরকারি জি আই ট্যাগের জন্য বিখ্যাত। কোন মন্দিরের কথা বলছি? আসুন শুনে নিই।
রসোগোল্লা থেকে আরম্ভ করে মোয়া। নির্দিষ্ট জায়গার নামে স্বীকৃতি পেয়েছে এই বিশেষ খাবারগুলো। সরকারি ভাষায় যার নাম জি আই ট্যাগ। কিন্তু এমনটা কখনও শুনেছেন, মন্দিরের প্রসাদে রয়েছে জি আই ট্যাগ? শুনে অবাক লাগলেও সত্যি। দক্ষিণ ভারতে রয়েছে এমন এক মন্দির যার প্রসাদের উপর রয়েছে জি আই ট্যাগ।
আরও শুনুন: অবাক কাণ্ড! তেতো নয় একফোঁটা, দিব্যি মিষ্টি আশ্চর্য এক নিমগাছের পাতার স্বাদ
কথা বলছি তামিলনাড়ুর আরুলমিগু স্বামী মন্দির সম্পর্কে। এই মন্দিরে প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয় এক বিশেষ পঞ্চামৃত। দুধ, কলা, গুড়, ঘি ও মধু। এই পাঁচটি উপাদান দিয়েই তৈরি হয় এই বিশেষ প্রসাদ। স্থানীয় ভাষায় এর নাম পালানি পঞ্চামৃত। স্বাদের দিক দিয়ে খানিকটা চাটনির মতো। তবে টক নয়। গাঢ় মিষ্টি। প্রসাদ সাধারণত সামান্যই গ্রহণ করার নিয়ম। কিন্তু এই বিশেষ প্রসাদ, খেলে একবারে মন ভরে না কারও। মূলত এই প্রসাদ দিয়েই মন্দিরে পুজো দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। অন্যান্য তীর্থস্থানের মতো এই পঞ্চামৃতও মন্দির চত্বরেই পাওয়া যায়। সেখানে একাধিক দোকান রয়েছে তার জন্য। তবে এক বিশেষ কারণে এই পঞ্চামৃত একেবারে আলাদা। কারণ এই প্রসাদ ভারত সরকারের তরফে বিশেষ জি আই ট্যাগ পেয়েছে।
আরও শুনুন: ৫ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন, গভীর জঙ্গলে খোঁজ মিলল মহিলার
যার অর্থ, তামিলনাড়ুর ওই মন্দির চত্বর ছাড়া আর কোথাও এই পঞ্চামৃত বিক্রি করা যাবে না। এমনকি এই একই পদ্ধতি মেনে কেউ যদি পঞ্চামৃত বানিয়েও ফেলেন তবে তা বিক্রি করা আইনসিদ্ধ নয়। বিশেষ করে এই পালানি নাম ব্যবহার করে তো একেবারেই নয়। ফলত গোটা দেশের মানুষ এই বিশেষ প্রসাদের স্বাদ পেতে এখানেই ছুটে আসেন। এর ফলে একদিকে যেমন ওই এলাকার মানুষদের ব্যবসায়িক সুবিধা হয়েছে। তেমনই গোটা দেশে অন্য মাত্রায় পরিচিতি পেয়েছে এই বিশেষ পঞ্চামৃত। রীতিমতো সুন্দরভাবে প্যাকিং করে এই পঞ্চামৃত বিক্রি করা হয়। যাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সহজেই এই প্রসাদ নিয়ে যাওয়া যায়। একইসঙ্গে সবসময় যেন স্বাদে ও গুনমানে এই পঞ্চামৃত একরকম থাকে, তা লক্ষ্যও রাখা হয়।