যৌনতার দামেই মিলবে খাবার কিংবা নিত্য প্রয়োজনীয় যা কিছু। সেনা জওয়ানদের এই শর্ত মেনেই যৌনতায় লিপ্ত হতে হচ্ছে নারীদের। এবার সামনে এল সেই ঘটনাই। শুনে নেওয়া যাক।
একের পর এক নারীকে দাঁড় করানো হচ্ছে সার বেঁধে। তারপর লাইন ধরেই তাদের সঙ্গে যৌনতা চলছে জওয়ানদের। ঠিক জোর করে নয় অবশ্য, তবে এমনই এক শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে যে তা না মেনেও উপায় নেই ওই মেয়েদের। সেনার সঙ্গে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত না হলে যে খাবার মিলবে না ছিটেফোঁটাও। মিলবে না জীবনধারণের জন্য রোজকার প্রয়োজনের কোনও জিনিস। সেই পরিস্থিতিতেই দেশের মেয়েদের সামনে শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে জওয়ানদের তরফে। যৌনতার বিনিময়েই মিলবে খাবার ও অন্যান্য জিনিসপত্র। প্রাণের দায়ে সেই শর্ত মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছেন নারীরা। এমনকি, যুদ্ধের দরুন যে বাড়ি থেকে তাঁরা পালিয়ে এসেছেন, সেখানে আবার ফিরতে চাইলে বা সেখান থেকে কোনও জিনিসপত্র আনতে গেলেও সেনার সঙ্গে যৌন সংসর্গ করতে বাধ্য করা হয় তাঁদের।
আরও শুনুন:
Sex Slave: যৌনদাসীর দিনরাত, ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানিয়েছিলেন Nadia Murad
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের সূত্রেই সামনে এসেছে এই ভয়াবহ ছবি। জানা গিয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানে সেনার সঙ্গে যৌন সংসর্গ করতে বাধ্য করা হচ্ছে মহিলাদের। আর তার বিনিময়েই মিলছে খাবার। সুদানের ওমদুরমান শহর থেকে পালিয়ে আসা একাধিক মহিলাই এহেন দাবি করেছেন। তাঁরা বলছেন, একাধিক মহিলাকে লাইনে দাঁড় করিয়ে তাঁদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করে সেনা সদস্যরা। বিনিময়ে তাঁদের হাতে দেওয়া হয় সামান্য কিছু খাবার ও জল। এই পথেই পরিবারের জন্য খাবার জোগাড় করতে হচ্ছে সে দেশের মেয়েদের। এক মহিলা সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, দেশের যে সব কারখানায় খাবার মজুত করা থাকে, সেখানেই মহিলাদের যৌন হেনস্থা করা হয়।
আরও শুনুন:
নেশা বিকৃত যৌনতার, খুন করে অন্তর্বাস জমিয়ে রাখার শখ সিরিয়াল কিলারের
আসলে ২০২৩ সাল থেকেই সুদানে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে নেমেছেন দেশটির সশস্ত্র বাহিনীরই দুই জেনারেল। একজন সুদানের সেনাপ্রধান এবং ২০১৯ থেকে দেশের সর্বোচ্চ শাসনব্যবস্থার জন্য ভারপ্রাপ্ত কাউন্সিলের প্রধান। দ্বিতীয় জন দেশের আধাসামরিক বাহিনী ‘র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স’ (আরএসএফ)-এর প্রধান তথা কাউন্সিলের অন্যতম সদস্য। সেনা ও আধাসেনার লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের জন্য কার্যত নরকে পরিণত হয়েছে দেশটি। খাবার নেই, জল নেই, চারিদিকে শুধু গুলি ও বোমার শব্দ। যাঁরা কোনওমতে টিকে রয়েছেন, সেনার অত্যাচারে তাঁদের জীবন দুর্বিষহ। দুজন জেনারেলের বিরুদ্ধেই মানবাধিকার ভঙ্গ, লুঠতরাজ, নৃশংসতা ও ধর্ষণে মদতের অভিযোগ রয়েছে। রাজায় রাজায় যুদ্ধের জেরে উলুখাগড়ার মতো তছনছ হয়ে যাচ্ছে আমজনতার জীবন। আর নারীদের জন্য সেই যুদ্ধের দেশ যে কী বীভৎস নিয়তি ধার্য করেছে, তা-ই সামনে এল এই সাম্প্রতিক রিপোর্টে।