স্কুলে যেতে কার ভালোলাগে বলুন? তাই স্কুলে না যাওয়ার হাজারও ফন্দি সবসময় তৈরি থাকে খুদে মস্তিষ্কে। কিন্তু স্রেফ ভালো লাগছে না বলে, গোটা স্কুলটাকেই বিক্রি করে দেওয়ার ফন্দি আঁটতে শুনেছেন কাউকে? শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। সম্প্রতি একদল পড়ুয়া ঘটিয়েছে ঠিক এমনটাই! ঠিক কী করেছে তারা? আসুন শুনে নিই।
অনলাইনে সবকিছুই বিক্রির উপায় রয়েছে। গাড়ি, মোবাইল, জামাকাপড় থেকে আরম্ভ করে বাড়িঘরর বিক্রির বিজ্ঞাপনও অনলাইনে হামেশাই চোখে পড়ে। সেক্ষেত্রে একতা স্কুলবাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখলে খুব একটা অবাক হবেন না কেউওই। কিন্তু যদি সেই বিজ্ঞাপন দেয় খোদ ওই স্কুলের পড়ুয়ারাই! তাহলে নিশ্চয়ই অবাক হবেন। এক্ষেত্রে ঘটেছে ঠিক তেমনটাই।
আরও শুনুন: রাস্তায় করতেন বাদাম বিক্রি, কোটিপতি শেফ হয়ে স্বপ্ন পূরণ ব্যক্তির
স্কুল যেতে একেবারেই ভালোলাগে না অনেকেরই। এই পড়ুয়ার দলও তাদের মধ্যেই পড়ে। স্কুলে ঢুকলেই নাকি দমবন্ধ হয়ে আসে তাদের। স্কুলের পরিবেশ একেবারেই পছন্দ নয়। তাই তারা ঠিক করে স্কুল বাড়িটাই বিক্রি করে দেবে। যেমন ভাবা তেমন কাজ। স্কুলের বেশ কয়েকটা ছবি তুলে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে ফেলে তারা। আর সেই বিজ্ঞাপনে তারা যেভাবে স্কুলের বিবরণ দিয়েছে, তা দেখলে যে কারও চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। কারণ বিজ্ঞাপনে নিজেদের স্কুলকে জেলাখানার সঙ্গে তুলনা করেছে ওই খুদের দল। পরিস্কার লিখে দিয়েছে এই স্কুল আসলে অর্ধেক জেলখানার সমান। এরপরই স্কুলের বিভিন্ন সুবিধা অসুবিধার কথা উল্লেখ করেছে তারা। তবে সেখানেই বেশ মজার চমক রয়েছে। স্কুলে ১৫ টা বাথরুম রয়েছে, কিন্তু সবকটাই প্রায় অকেজো বলা চলে। কারণ নিকাশি ব্যবস্থা বহু আগে থেকেই বিকল। কাজেই স্রেফ বাথরুম রয়েছে, সেগুলি ব্যবহার করার মতো নয়। সেইসঙ্গে তারা লিখেছে, স্কুলে একতা বড় ডাইনিং হল রয়েছে, রান্নার জায়াগাও সুন্দর, এমনকি বিশাল এক বাস্কেটবল কোর্টও রয়েছে এই স্কুলে। আর এতকিছু লেখার পর স্কুলের দাম কত হবে সেটাও উল্লেখ করেছে ওই পড়ুয়ার দল। নিজেদের বিচারে তারা এই স্কুলের দাম রেখেছে ৩৪ লক্ষ টাকা।
আরও শুনুন: হু হু করে বিকোচ্ছে কন্ডোম! স্রেফ সঙ্গমের নেশা নাকি নেপথ্যে অন্য কারণে?
প্রথমে এই বিজ্ঞাপন দেখে তেমন অবাক হননি নেটিজেনরা। কিন্তু বিজ্ঞাপন কারা দিয়েছে এই তথ্য সামনে এলে সকলেরই চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার যোগাড়। এমনটা যে কোনও পড়ুয়া ভাবতে পারে তা কল্পনাও করতে পারেননি অনেকেই। তাই নেটদুনিয়ায় ওই বিজ্ঞাপন রীতিমতো চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। বেশিরভাগই যদিও এই বিজ্ঞাপন দেখে হাসির রোল তুলেছেন। তবে কারও কারও মনে হয়েছে এই কাজ যথেষ্ট ক্রিয়েটিভ। যেভাবে ওই পড়ুয়ারা বিজ্ঞাপনটাকে সাজিয়েছে তা যথেষ্ট প্রশংসনীয় এমনটাই দাবি নেটদুনিয়ার একাংশের। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় বিশেষ কিছু প্রতিক্রিয়া দেয়নি ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে এই ঘটনার জেরে ওই স্কুলের নাম যে সকলের কাছেই পৌঁছেছে একথা বলাই বাহুল্য।