ভয়ঙ্কর খিদে পেয়েছে। তাই সামনে যা পেয়েছেন সেটাই খেয়ে ফেলেছেন। কিন্তু তখন কী আর জানতেন, তিনি যা খেয়েছেন তার দাম ১ কোটি টাকা! শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। খিদের চোটে মিউজিয়ামের ভিতরে থাকা ১ কোটি টাকার শিল্পবস্তু খেয়ে ফেলেছেন এক যুবক। ঠিক কী ঘটেছে আসুন শুনে নিই।
আর্ট মিউজিয়ামে ঘুরতে গিয়েছিলেন এক যুবক। কিন্তু সেখানে ঢুকেই ভয়ঙ্কর খিদে পায় তাঁর। এদিকে মিউজিয়ামের ভিতরে তো আর খাবার পাওয়া যায় না! যেদিকে টাকাও শুধুই দামি দামি শিল্পসামগ্রী। তবু খিদে কী আর সহ্য করা যায়! তাই সামনের দেওয়ালে টাঙানো এক বহুমূল্য শিল্পসামগ্রীই খেয়ে ফেলেছেন তিনি।
আরও শুনুন: ভারতে বহিরাগত, ব্রাহ্মণদের জন্মভূমি নাকি রাশিয়া! ‘ভিনদেশি’দের তাড়ানোর দাবি নেতার
ভাবছেন তো এমনটা কীভাবে সম্ভব? তাহলে খুলেই বলা যাক।
ঘটনাটি দক্ষিণ কোরিয়ার। সেখানকার এক নামকরা আর্ট মিউজিয়ামে স্রেফ ঘুরতে গিয়েছিলেন এই যুবক। অন্যান্যদের মতো তিনিও মুগ্ধ হয়েই ভিতরে থাকা শিল্পবস্তু দেখছিলেন। হঠাৎ তাঁর নাকি বেজায় খিদে পেয়ে যায়। এবার মিউজিয়ামের ভিতরে তো আর যাই হোক খাবার পাওয়া যায় না। চারিদিকে শুধুই ছবি কিংবা ভাস্কর্য। যার মধ্যে অধিকাংশই যথেষ্ট দামি। এদিকের ওই যুবকের তো বেশ খিদে পেয়েছে। হঠাৎ কোনও এক দেওয়ালের দিকে তাঁর চোখ যায়। সেখানে তখন বেশ ভিড়। তবে ভিড়টা যে জিনিসকে কেন্দ্র করে তা বড়ই অদ্ভুত। দেওয়ালের গায়ে আটকানো আছে একটা কলা। মোটা সেলোটেপ দিয়ে তা আটকানো রয়েছে দেওয়ালের গায়ে। আর সেই দেওয়ালে আটকানো কলা দেখতেই জড়ো হয়েছেন অনেকে। হবেন নাই বা কেন! ওই কলা তো আর যে সে কলা নয়, এ হল গিয়ে কোটি টাকার কলা। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। ওই ‘কলা’ আসলে একটি শিল্পবস্তু। যার বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি। দেওয়ালে আটকানো কলাটির নিচেই সেই দাম লেখা ছিল। তবে সেদিকে এতটুকু নজর পড়েনি ওই যুবকের। খিদের চোটে তাঁর তখন ভয়ঙ্কর অবস্থা। তাই একছুটে সেই দেওয়ালের সামনে গিয়ে কলাটা হাতে তুলে নেন তিনি। তারপর সবাইকে অবাক করে খোসা ছাড়িয়ে এক মিনিটের মধ্যে সাবাড় করে দেন। তারপর শুধুমাত্র খোসাটাকে তার পুরনো জায়গায় আবার আটকে দেন। এদিকে এই কর্মকাণ্ড মোবাইলে বন্দি করেন তাঁরই এক বন্ধু। তাঁর সৌজন্যেই নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ভিডিওটি। যা দেখার পর রীতিমতো হাসির রোল তোলেন সকলেই।
আরও শুনুন: ফেলুদা হিসেবে সৌমিত্র নয়, অমিতাভ বচ্চনকে চেয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়
তবে এই কাণ্ডের জেরে ওই যুবককে পাকড়াও করে মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় তিনি কেন এমনটা করলেন? উত্তরে ওই যুবক সাফ জানিয়ে দেন, খিদে পেয়েছিল, তাই। এতে কোনও অস্বাভাবিকতার কিছু নেই। তাঁর এই যুক্তি মেনেই নিয়েছে মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। খোদ শিল্পীও ওই যুবকের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ জানাননি। এমনিতেই ওই কলা প্রতি দুদিন অন্তর বদলানো হয়। এটাই নাকি ওই শিল্পবস্তুর বৈশিষ্ট্য। তবে সেইসব নিয়ে কার্যত কোনও মাথাব্যাথা নেই ওই যুবকের। তাঁর কাণ্ড দেখে কে হাসল তাতেও বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই তাঁর। তিনি যে কয়েক মিনিটের মধ্যে এক কোটি টাকা হজম করে ফেলেছেন, তাতেই বেজায় খুশি হয়েছেন তিনি।