হুইলচেয়ারে চেপে শিঙাড়া বিক্রি করছেন এক যুবক। পরিষ্কার ইংরাজিতে কথাও বলছেন তিনি। সম্প্রতি ভাইরাল এক ভিডিওতে ধরা পড়েছে এমনই ছবি। ঠিক কী বলছেন ওই যুবক? আসুন শুনে নিই।
স্বপ্নপূরণের পথে প্রতিবন্ধকতা কোনও বাধাই নয়। এ কথা প্রমাণ করেছেন অনেকেই। সেই তালিকাতেই নতুন সংযোজন নাগপুরের সুরজ। ছোট থেকেই তাঁর দুটো পা অক্ষম। কিন্তু সেই প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে হুইলচেয়ারে চেপে শিঙাড়া বিক্রি করেন তিনি। কিন্তু এইখানেই থেমে থাকতে রাজি নন তিনি। একজন আএএএস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন এই যুবক।
আরও শুনুন: দেশের ধনীতম ব্যক্তি হয়েও ২ বছর বেতন নিচ্ছেন না মুকেশ আম্বানি, কেন জানেন?
সম্প্রতি ভাইরাল এক ভিডিওতে ধরা পড়েছে তাঁর রোজকার কর্মকাণ্ডের এক টুকরো নিদর্শন। যেখানে দেখা যাচ্ছে হুইলচেয়ারে চেপে শিঙাড়া বিক্রি করছেন সুরজ। সেখানেও বেশ অভিনবত্বের ছাপ রেখেছেন এই যুবক। তাঁর হুইলচেয়ারটি আসলে মোটরচালিত। ফলে বাইকের মতো সেটিকে ব্যবহার করেন তিনি। সামনে লাগিয়ে রেখেছেন একটি স্পিকার। যেখানে রেকর্ডেড ভয়েসে বলা হচ্ছে ১৫ টাকায় দুটি শিঙাড়া পাওয়া যাবে তাঁর কাছে। এভাবেই রাস্তায় ঘুরে ঘুরে শিঙাড়া বিক্রি করেন সুরজ। তবে তিনি যে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে এমন ব্যবসার পথ বেছে নিয়েছেন তা নয়। বরং উচ্চশিক্ষিত হয়েও এইভাবে জীবনধারণ করতে হচ্ছে তাঁকে। বহু চেষ্টা করেও চাকরি জোটাতে পারেননি সুরজ। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই ব্যবসায় নেমেছেন। ভাইরাল ভিডিওটি যিনি করেছেন তাঁর প্রশ্নের জবাবে নিজের জীবনের এইসব কথা জানিয়েছেন সুরজ। সবটাই বলেছেন ইংরাজিতে। জানিয়েছেন নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি পাস করেছেন তিনি। কিন্তু তারপর বিভিন্ন জায়গায় চেষ্টা করেও চাকরির সুযোগ পাননি। তবে তাতেও হাল ছাড়েননি সুরজ। ভবিষ্যতে আইএএস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি। সেই পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্যই এই ব্যবসা করতে হচ্ছে তাঁকে।
আরও শুনুন: সুখের খোঁজেই সমীক্ষা দেশজুড়ে, ‘সুখী রাজ্যে’র শিরোপা উঠল কার মাথায়?
ভিডিওটি নেটমাধ্যমে প্রকাশ করে সুরজের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন ভিডিও নির্মাতা। ভিডিওর ক্যাপশনে সুরজের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। যা দেখে আবেগে ভেসেছেন নেটিজেনদের একাংশ। অনেকেই ভিডিওটি শেয়ার করে তাঁর মনোবলের প্রশংসা করেছেন। অনেকে আবার তাঁর স্বপ্ন যেন সত্যি হয়, সেই প্রার্থনা করেছেন। এমন হুইলচেয়ারে বসেই এক চিকিৎসকের জীবনজয়ের গল্প শুনিয়েছিলেন পরিচালক তপন সিংহ। আর সুরজের জীবনের গল্প যেন সেকথাই মনে করিয়ে দিল। সহজেই বলা যায়, সিনেমার পর্দা শুধু নয়, ‘এই জীবনেও হয় ভাই সত্যি, সব সত্যি’।