মাথায় ১২ লাখ ঋণের বোঝা। অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছিলেন বৃদ্ধ। এ সময় কোনওভাবে জানতে পারেন গরীবের ‘মসিহা’ সোনু সুদের কথা। অভিনেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে সবটা খুলে বলেন। বরাবরের মতো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন সোনু। বৃদ্ধের জন্য ঠিক কী ব্যবস্থা করেন তিনি? আসুন শুনে নিই।
তাঁর দরজা থেকে আজ অবধি খালি হাতে ফিরতে হয়নি কাউকেই। যে কোনও রকম কঠিন সাহায্যেই বারবার ‘মসিহা’ হয়ে উঠেছেন সোনু সুদ। সম্প্রতি এক বৃদ্ধের পাশে দাঁড়িয়ে আবারও সেই মহানুভবতার পরিচয় দিলেন অভনেতা সোনু সুদ।
আরও শুনুন: মুখে গুটখা দেখেই জোর ধমক, অচেনা ব্যক্তিকে সচেতনতার পাঠ সোনু সুদের
লকডাউনের সময় থেকেই অসুবিধায় পড়া অসংখ্য মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন সোনু। তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন নীরবে। কাউকে বিপদের দিনে পৌঁছে দিয়েছেন বাড়িতে, কারওর চাষের কষ্ট দেখে পৌঁছে দিয়েছেন ট্র্যাক্টর। অচেনা কারও ব্যক্তিগত সমস্যার সমাধানেও বারবার ত্রাতার ভূমিকায় দেখা গিয়েছে অভিনেতাকে। এইসবই এতদিন খবরের কাগজে বা লোকমুখে শুনেছিলেন বিহারের খিলানন্দ ঝা। বছর ৬৫-র এই বৃদ্ধের পরিবারে কেউ নেই বললেই চলে। স্ত্রী গত হয়েছেন কয়েক মাস আগে। তবে তার আগে দীর্ঘদিন ভরতি ছিলেন হাসপাতালে। একা খিলানন্দ নিজের যাবতীয় সঞ্চয় স্ত্রী-র চিকিতসায় খরচ করে ফেলেন। কিন্তু তাতেও কুলোয়নি। সব কিছু শেষ হয়ে যাওয়ার পর জানতে পারেন, ইতিমধ্যেই ১২ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে ফেলেছেন তিনি। স্ত্রী-কে আর ফেরত পাবেন না কোনওদিন। কিন্তু এই ঋণশোধ না করে উপায় নেই। জীবনের শেষভাগে এসে তাই কার্যত অসহায় হয়েই দিন কাটাচ্ছিলেন। এমনই একদিন খবরের কাগজে সোনু সুদের কাউকে সাহায্য করার ঘটনা তাঁর চোখে পড়ে। যা বর্তমানে খুবই স্বাভাবিক ব্যাওয়ার। সোনু একা নন, কাউকে সাহায্য করার জন্য তাঁর নিজস্ব টিম রয়েছে। দায়িত্ব নিয়ে তাঁরা সেই কাজ করেই থাকেন। তবে এদিনের ঘটনাটি পড়ে খিলানন্দের মনে হয়, তাঁর সমস্যার কথাও অভিনেতাকে জানাবেন।
আরও শুনুন: পাশে ছিলেন খারাপ সময়ে, ‘মসিহা’ সোনুকেই পদক উৎসর্গ ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নের
সরাসরি গিয়ে হাজির হন সোনু সুদের অফিসে। সেখানে কেউ এই ধরনের আরজি নিয়ে এলে সোনু নিজেই দেখা করেন। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মন দিয়ে বৃদ্ধের সমস্যার কথা শোনেন। কোথায় কীভাবে কত টাকা দেনা হয়েছে, তার বিস্তারিত নথি চেয়ে নেন। তারপর খিলানন্দকে আশ্বাস দেন তিনি অবশ্যই সাহায্য করবেন। যেমন কথা তেমন কাজ। কিছুদিনের মধ্যেই খিলানন্দকে ১২ লক্ষ টাকা পাঠিয়ে দেন সোনু। যা দিয়ে যাবতীয় ধার দেনা মিটিয়ে ফেলেন বৃদ্ধ। এভাবে সাহায্য পাবেন তা স্বপ্নেও ভাবনেনি খিলানন্দ, তাই সোনুকে একপ্রকার ভগবানের আসনেই বসিয়েছেন তিনি। ঘটনার কথা ছড়িয়ে পরে নেটদুনিয়াতেও। সেখানেও সকলের প্রশংসায় উপচে পড়েছে। বরাবরের মতো প্রত্যেকেই তাঁর এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। আর প্রত্যেকবারের মতো আবারও নিজেকে ‘মসিহা’ হিসেবে প্রমাণ করেছেন অভিনেতা সোনু সুদ।