সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি নাকি প্রভাব ফেলতে পারে সন্তানধারণের ইচ্ছায়। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঠিক কী বলা হয়েছে সেখানে? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার যে দৈনন্দিন জীবনে নানারকম প্রভাব ফেলে, বিভিন্ন সমীক্ষায় প্রায়শই উঠে আসে সেইসব তথ্য। তবে নতুন তথ্য জানাল সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা। ওই সমীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে কমে যেতে পারে সন্তানধারণের ইচ্ছাও। যার প্রভাব পড়তে পারে কোনও দেশের জনসংখ্যার ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে।
আরও শুনুন: ধর্ম সংসদে হিন্দুদের হাতে অস্ত্র তুলে নিতে বলার জের, ঘৃণাভাষণে দাঁড়ি টানতে পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের
আইন মোতাবেক বিয়ের যেমন একটি নির্দিষ্ট বয়স রয়েছে, তেমনই আধুনিক যুগে অনেক দম্পতিই সন্তানের জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রেও একটি নির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছানোর কথা ভাবেন। বিয়ের পরও সংসারে নতুন অতিথি নিয়ে আসার আগে আজকাল নানারকম পরিকল্পনা করে নিতেই পছন্দ করেন তাঁরা। ইদানীং কালে একটি শিশুর যাবতীয় দায়দায়িত্ব গ্রহণ করার মতো আর্থিক সচ্ছলতা থাকলে তবেই সন্তানধারণের পরিকল্পনা করছেন অনেকে। সম্প্রতি সেই নিয়েই একটি সমীক্ষার আয়োজন করেছিল ফিনল্যান্ডের এক বিশ্ববিদ্যালয়। হেলেনস্কি শহরে আয়োজিত এই সমীক্ষায় প্রায় ৩৪৬৮ জন মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁদের প্রত্যেকেরই বয়স ছিল ২০ থেকে ৪৪-এর মধ্যে। শারীরিক ভাবে তাঁরা প্রত্যেকেই সন্তানের জন্ম দিতে সক্ষম। কিন্তু যখন তাঁদের প্রশ্ন করা হয় যে, তাঁরা এই মুহূর্তে একটি সন্তানের জন্ম দিতে কতটা আগ্রহী, তার উত্তরে প্রায় অর্ধেক সংখ্যক মানুষ দাবি করেন, বর্তমানে বা অদূর ভবিষ্যতে কখনোই তাঁরা সন্তান নিতে আগ্রহী নন।
আরও শুনুন: গরুকে ‘জাতীয় পশু’ ঘোষণার আরজি, ভর্ৎসনা করে মামলা নাকচ সুপ্রিম কোর্টের
কিন্তু কেন এমনটা ভাবছেন তাঁরা? সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন যাঁরা, তাঁদের বক্তব্য, নিজেদের দৈনন্দিন রুটিনে তাঁরা কোনও পরিবর্তন চান না। বিশেষত যাঁরা কোনও নির্দিষ্ট কাজে বা পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন তাঁরা কিছুতেই ব্যাঘাত ঘটাতে চান না সেই রুটিনে। কিন্তু তাঁদের প্রত্যেকের মধ্যে নাকি রয়েছে এক অদ্ভুত অভ্যাসগত মিল। গবেষকদের দাবি সেইসব ব্যক্তিরা নাকি অতিরিক্ত ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত। আর সেই কারণেই সন্তান ধারণের মতো কোনও দায়িত্ব নিতে চাইছেন না তাঁরা। তবে এই দাবি কতখানি ঠিক, আরও গবেষণা ছাড়া সে কথা বলা সম্ভব নয়।