স্কুল থেকে বাড়ির কাজ দেওয়া হবে, এ আর নতুন কথা কী! তা বলে সেই বাড়ির কাজের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সম্পর্ক থাকবে যৌনতার, এমনটা কেউ ভেবেছে? কিন্তু ঠিক সেটাই ঘটেছে এক মার্কিন স্কুলে। যৌন ফ্যান্টাসি নিয়ে নিবন্ধ লেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের। ঘটনায় কী প্রতিক্রিয়া সকলের? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
স্কুলে পড়া মানেই হোমওয়ার্কের চাপ। কেবল নিয়মমাফিক পরীক্ষা দিয়েই রক্ষা নেই, একাধিক বাড়ির কাজও চাপিয়ে দেওয়া হয় পড়ুয়াদের উপর। এইসব প্রজেক্ট বা হোম অ্যাসাইনমেন্টের উপরেও ধরা হয় নম্বর। তাই সেই কাজগুলিকে গুরুত্ব না দিয়ে উপায় নেই। কিন্তু এমনই একটি বাড়ির কাজ নিয়ে রীতিমতো বিপাকে পড়ে গিয়েছে একটি মার্কিন স্কুলের পড়ুয়ারা। কারণ সেই কাজটির সঙ্গে পুথিগত পড়াশোনার যোগ সেভাবে নেই। বরং তার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে রয়েছে যৌনতা। স্কুলের নির্দেশ, এই প্রজেক্টটির বিষয় হবে যৌন ফ্যান্টাসি। তার জন্য যৌনতায় ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসের উল্লেখ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পড়ুয়াদের এহেন কাজ করার নির্দেশ দেওয়ায় বেজায় চটেছেন তাদের অভিভাবকেরাও।
আরও শুনুন: ১২ বছরে একবারও ব্যতিক্রম নেই, প্রতি বছর অন্তঃসত্ত্বা হন তরুণী
কী ঘটেছে ঠিক?
ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগনে। সেখানেই একটি স্কুলে পড়ুয়াদের এমন অভিনব প্রজেক্টের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, যৌন ফ্যান্টাসি নিয়ে লিখতে হবে একটি ছোট নিবন্ধ। যার দৈর্ঘ্য এক থেকে দুই অনুচ্ছেদ মাত্র। আসলে যৌন সঙ্গম ছাড়াও যে শারীরিক ভাবে আনন্দ পাওয়া সম্ভব, সেই বিষয়টিকেই তুলে ধরতে চাওয়া হয়েছে। আর সেই কারণেই যৌনতার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে যেসব জিনিস ব্যবহার করা হয়, সেইগুলি উল্লেখ করে এই নিবন্ধ লেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে যেমন সেক্স টয় রয়েছে, তেমনই পালক, সুগন্ধি, ম্যাসাজ অয়েল-এর মতো উদ্দীপকের কথাও বলা হয়েছে। আবার গান বা মোমবাতির মতো রোমান্টিক বিষয়গুলির কথাও এখানে বলা যেতে পারে, এমনটাই নির্দেশ স্কুলের।
আরও শুনুন: মজার ছলে বিয়ের আয়োজন পাকিস্তানের কলেজে, পড়ুয়াদের কাণ্ড দেখে ক্ষুব্ধ নেটদুনিয়া
কিন্তু এই প্রজেক্টের কথা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো চটে গিয়েছেন পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা। পড়ুয়াদের জন্য এহেন বিষয় উপযোগী নয়, এই অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নেটিজেনদের একাংশও।