এক্সচেঞ্জ অফার! বিশেষত ইলেক্ট্রনিক্স জিনিসপত্র কেনাকাটির ক্ষেত্রে বেশ পরিচিত এই শব্দবন্ধটি। বহু সময়ই এমন এক্সচেঞ্জ অফারে আমরা কিনে ফেলি মোবাইল। অর্থাৎ কিনা ব্যবহার করা, পুরনো লড়ঝরে মোবাইলটি দিন। আর বিশেষ ছাড়ে পেয়ে যান ব্র্যান্ড নিউ মোবাইল। কিন্তু দীর্ঘদিন ব্যবহার করা পুরনো মোবাইলের সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত নথিও বিক্রি হয়ে যাচ্ছে না তো? কী ভাবে সুরক্ষিত রাখবেন নিজের ডিজিটাল তথ্য? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
আজকের দিনে দাঁড়িয়ে স্মার্টফোন ছাড়া জীবন! ভাবাটাই বোধহয় কষ্টকর। শুধুমাত্র কথা বলার স্বার্থে নয়, বহু দরকারি কাজের ক্ষেত্রেও ইদানীং অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে এই স্মার্টফোন। বয়স যা-ই হোক, মোবাইলের বশ নয় এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। স্বাভাবিক ভাবেই ব্যক্তিগত নথি থেকে আরম্ভ করে বিভিন্ন তথ্য জমা রাখার প্রধান ঠিকানা হয়ে উঠেছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোন মানেই দারুণ ক্যামেরা। আর তাতে ছবি উঠবে না তা আবার হয় নাকি! ফলে প্রায় প্রত্যেকের মোবাইল গ্যালারিই ভরে থাকে বিভিন্ন ব্যক্তিগত ছবিতে।
সুতরাং দীর্ঘদিন ব্যবহার করা স্মার্টফোন অনায়াসেই কারও জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অধ্যায়ের দলিল হিসেবে বিবেচ্য হতে পারে। এবার সেই স্মার্টফোন বিক্রি করতে হলে নিশ্চয়ই দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় সে সব ব্যক্তিগত তথ্য। তাই পুরনো মোবাইল বিক্রির আগে অবশ্যই সেরে ফেলতে হবে কয়েকটি কাজ। তেমনটাই জানাচ্ছেন টেক বিশেষজ্ঞেরা।
আরও শুনুন: সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগে? অতিরিক্ত চিন্তার ফল নয়তো! গবেষণায় নয়া ইঙ্গিত
প্রথমত ফোনের যাবতীয় কনট্যাক্টস বা ছবি ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপলোড করে রাখতে হবে নিজের গুগল অ্যাকাউন্টে। ভবিষ্যতে যাতে সেই গুগল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সহজেই উদ্ধার করা যায় সেসব ফোন নম্বর বা ছবি। পরের কাজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত মোবাইলে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার আক্যাউন্ট লিঙ্ক করা থাকে। ব্যবহারের সুবিধার্থেই সেই সব অ্যাকাউন্টগুলি থেকে প্রতিদিন লগ আউট করা হয়ে ওঠে। তবে সেই সব সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বেহাত হলে কিন্তু আর রক্ষা নেই। তাই ফোন বেহাত করার আগে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলি থেকে লগ আউট করা কিন্তু বাধ্যতামূলক।
আরও শুনুন: একবার শুনলে সারাদিন মাথায় ঘোরে একই গানের কলি! কেন হয়? মুক্তিই বা কীসে?
বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, যে কোনও মোবাইলে দু’রকম ভাবে ব্যক্তিগত নথি জমা থাকতে পারে। বিভিন্ন সফটওয়্যারের মধ্যে বেশ কিছু পরিমাণ তথ্য জমা থাকে। বাকি অংশ থাকে তার হার্ডওয়্যার অংশে। সমস্ত সোশ্যাল অ্যাকাউন্ট থেকে লগ আউট হয়ে গেলে সফটওয়্যার মাধ্যমে নথি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে। মোবাইলে থাকা সিম বা মেমরি কার্ডের মধ্যেও কিন্তু থেকে যেতে পারে কিছু তথ্য। তাই পুরনো মোবাইল বিক্রি করার আগে তার থেকে সিম ও মেমোরি কার্ড বের করে নেওয়া জরুরি। সবশেষে মোবাইলের সেটিংসে গিয়ে ‘ফ্যাক্টরি রিসেট’ বিকল্পটির দ্বারস্থ হতে হবে। যার ফলে মোবাইলের সমস্ত তথ্য চিরতরে মুছে গিয়ে ফোনটি একেবারে নতুনের মতো হয়ে যাবে। ফলে মোবাইল হস্তান্তরের আগে এই কাজগুলি করা বাধ্যতামূলক। তবেই এড়ানো যেতে পারে ব্যক্তিগত নথিচুরির মতো সমস্যা। পাশাপাশি পুরনো ফোনের নথি হারানোর মতো সমস্যাও এড়াতে পারবেন সহজেই।