নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করতে গিয়ে কম কটু কথা শুনতে হয়নি বাবাকে। যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জন করে সেইসব কটাক্ষের জবাব দিলেন মেয়ে। বাবা-মেয়ের ভালোবাসায় চোখ ভিজল নেটিজেনদেরও। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
স্বপ্ন ছোঁয়ার পথটা সহজ ছিল না একেবারেই। সে পথে উঁচিয়ে ছিল অনেক অপমান, কটাক্ষ আর কটু মন্তব্যের কাঁটা। কিন্তু সেইসব পিছনে ফেলে এসে সত্যি সত্যিই আকাশছোঁয়া সাফল্য অর্জন করে নিয়েছেন এই তরুণী। আর তারপরে এই প্রাপ্তির জন্য সমস্ত কৃতজ্ঞতা তিনি উজাড় করে দিয়েছেন সেই মানুষটিকেই, যিনি ওইসব কাঁটা সয়ে তাঁকে স্বপ্নের পথে এগিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি আর কেউ নন, তরুণীর বাবা। সামান্য নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেই দিন চলে তাঁর। আর এই সাধারণ জায়গা থেকে বিদেশের কলেজে মেয়েকে পড়তে পাঠানোর স্বপ্ন দেখা অনেকটা বামন হয়ে চাঁদে হাত দেওয়ার মতোই, অন্তত সমাজের গড়পড়তা ধারণা তেমনটাই। তাই এই স্বপ্নের গায়ে লেগে ছিল অনেক লোকের অনেক কটু কথার ছিটে। একজন নিরাপত্তারক্ষী যে তাঁর মেয়েকে কোনও দিনই বিদেশে পাঠাতে পারবনে না, সে বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন অনেকেই। কিন্তু তাঁদের সবাইকেই ভুল প্রমাণ করে দিয়েছেন বাবা ও মেয়ে। আর শেষ পর্যন্ত সেই বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই মিলেছে স্নাতক ডিগ্রি। এরপর একটি ভিডিও শেয়ার করে নিয়ে বাবাকে কৃতজ্ঞতা উজাড় করে দিয়েছেন তরুণী। একইসঙ্গে ওই মানুষগুলির প্রতি কটাক্ষ ছুড়তেও ছাড়েননি, যাঁরা তাঁদের নিরুৎসাহ করতে গিয়ে আসলে জেদটাই বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
আরও শুনুন:
নেহেরুর চাঁচাছোলা সমালোচনা সাংবাদিকের, নেমে এসেছিল নিষেধের খাঁড়া?
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ইউকে-র প্লাইমাউথ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পরই বাবাকে জড়িয়ে ধরেছেন মেয়ে। এরপর বিদেশে যাওয়ার সময় মেয়েকে বিদায় জানানো থেকে শুরু করে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ডিগ্রি নেওয়া পর্যন্ত মুহূর্তগুলি ভিডিওতে ধরা রয়েছে। এই ভিডিও শেয়ার করেই তরুণী লিখেছেন, আমার উপর আস্থা রাখার জন্য ধন্যবাদ, বাবা। দুজনের স্বপ্নপূরণের গল্প দেখে আবেগে ভেসেছেন নেটিজেনরাও। এমনকি সোশাল মিডিয়ার ওই ভিডিওতে তারকাদের মন্তব্যও ভেসে এসেছে। কুর্নিশ জানিয়েছেন আয়ুষ্মান খুরানা। এষা গুপ্তা অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, তোমাকে ছোট করার জন্য অন্য কেউ কী বলল, তাতে পাত্তা দিও না। ইতিমধ্যেই প্রায় দু-কোটি মানুষ ভিডিওটি দেখে ফেলেছেন। আর বাবার মুখে হাসি ফোটানোর জন্য মেয়েকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা।