সমুদ্রের নিচে আস্ত একটা মহাদেশ। এমনটা কখনও শুনেছেন? সম্প্রতি এমনটাই দাবি করলেন বিশেষজ্ঞরা। ৩৭৫ বছর পরে নতুন এক মহাদেশই আবিষ্কার করে বসেছেন তাঁরা। আসুন শুনে নেওয়া যাক।
সাত নয়, এবার থেকে ভূগোল বইয়ে লেখা থাকবে আটটি মহাদেশের নাম। দীর্ঘ গবেষণার পর নতুন এক মহাদেশ আবিষ্কার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আকারে হয়তো অনেকটাই ছোট, অন্যান্য মহাদেশের সঙ্গে তুলনায় একে ক্ষুদ্রতম বললেও ভুল বলা হয় না। কিন্তু এই ভূখণ্ডকে সমস্ত বৈশিষ্ট্য বিচার করে মহাদেশ বলেই গণ্য করছেন তাঁরা।
আরও শুনুন: বাধা নয় বয়স! ৯২ বছরে ভর্তি হলেন স্কুলে, ‘খান চাচি’-ই অনুপ্রেরণা যোগীরাজ্যের এই গ্রামের মহিলাদের
পাঁচ মহাসমুদ্র। সপ্তম আশ্চর্য। সাত মহাদেশ। এসবই চিরকালীন সত্য। অর্থাৎ যা কোনওভাবেই বদলানোর নয়। এতদিন এমনটাই লেখা থাকত পাঠ্য বইয়ে। তবে প্রকৃতির মধ্যে কতশত রহস্য যে ছড়িয়ে রয়েছে তা বলা ভার। এবার তেমনই এক নতুন রহস্যের খোঁজ মিলল সাগরের প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরে। বিজ্ঞানীরা যার জন্য দীর্ঘদিন ধরে সন্ধান চালিয়েছেন, অবশেষে খোঁজ মিলল সেই অষ্টম মহাদেশের। নতুন মহাদেশের নাম জিল্যান্ডিয়া। বিজ্ঞানীদের দাবি, প্রায় তিনশো কোটি বছর আগে পৃথিবীর মানচিত্রে দেখা যেত এই জিল্যান্ডিয়াকে। তবে প্রায় কুড়ি কোটি বছর আগে গন্ডোয়ানাল্যান্ড ভাগ হওয়ার সময় জিল্যান্ডিয়া চলে যায় সমুদ্রের গভীরে। মানচিত্র থেকেই মুছে যায় চিরতরে। তবে ভূ-বিজ্ঞানীরা এই নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন দীর্ঘদিন। আর অবশেষে খোঁজ মিলেছে হারিয়ে যাওয়া জিল্যান্ডিয়ার।
আরও শুনুন: শাড়িতে ‘না’ দেশের প্রথম উড়ান সংস্থার! ছয় দশক পরে কর্মীদের পোশাক বদলাচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়া
জানা গিয়েছে, এই মহাদেশের আয়তন প্রায় ৫০ লক্ষ বর্গকিমি। তবে তার ৯৪ শতাংশই জলের নিচে। তবে এখনও গবেষণার অনেকটাই বাকি রয়েছে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। ইতিমধ্যেই সেখানকার পাথর ও মাটির স্যাম্পেল নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেছেন তারা। এই অংশের সঙ্গে বিশ্বের আর কোন মহাদেশের মিল রয়েছে তা খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। একাংশের দাবি, এই অংশের সঙ্গে মিল রয়েছে নিউজিল্যান্ডের। তবে সেই ধারণাকে মান্যতা দিচ্ছেন না বেশ কিছু বিজ্ঞানী। তাদের দাবি জিল্যান্ডিয়ায় কোনও ম্যাগনেটিক অ্যানোম্যালিস নেই। সেই হিসেবে এর সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের তুলনা টানা উচিত হবে না বলেই মনে করছেন তাঁরা। তবে ইন্টারনেটে ইতিমধ্যেই পৃথিবীর মানচিত্রে নতুন মহাদেশের অবস্থান দেখানো শুরু হয়েছে। যা সম্ভব হচ্ছে স্যাটেলাইটের দৌলতেই। শুধু তাই নয় এই মহাদেশ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যও জানতে পারছেন সাধারণ মানুষ। আগামী দিনে হয়তো পাঠ্যবইয়েও নতুন সংযোজন হবে। তবে তার আগে এই নতুন মহাদেশ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী গোটা বিশ্বের বিজ্ঞানমহল।