প্রত্যেকেরই বয়স ১৩ থেকে ১৭-র মধ্যে। নিতান্তই মজার ছলে ভূত ডাকার খেলায় মেতেছিল তারা। কিন্তু সেই খেলাই যে এমন চরম পরিণতি ডেকে আনবে তা বোধহয় ভাবতেও পারেনি কেউ। কী ঘটেছে আসলে? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
একইসঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়ল ১১ জন পড়ুয়া। বন্ধুদের সঙ্গে নিতান্তই খেলার ছলে ভূত ডাকার চেষ্টা করেছিল তারা। তবে সেই খেলার শেষেই ভয়ঙ্কর পরিণতি হল তাদের। প্রথমে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলা তারপর গুরুতর ভাবে অসুস্থ, সবমিলিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার পড়ুয়ারা।
আরও শুনুন: ছোট্টবেলার প্রেমিকা ক্যানসারে মৃত্যুপথযাত্রী, গোটা হাসপাতাল সাজিয়ে বিয়ের আয়োজন যুবকের
ঘটনাটি ঘটেছে কলম্বিয়ার এক কৃষি বিদ্যালয়ে। সেখানকার কয়েকজন ছাত্ররা মিলে ঠিক করেন স্থানীয় এক খেলায় অংশ নেবেন। খেলাটি আসলে একধরনের প্ল্যানচেট। ভূত নিয়ে চর্চা করা ব্যক্তিদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় এই খেলা। তবে এটি খেলতে গেলে বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়। সেকথা বোধহয় জানত না ওই পড়ুয়ার দল। নিতান্তই কৌতূহলের বশে এমন ভয়ঙ্কর খেলায় মেতে ওঠে তারা। খেলা চলাকালীন কিছু বুঝতে না পারলেও খেলা শেষ হতেই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করে তারা। এরপর একে একে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলে সকলেই। এদিকে দীর্ঘ সময় তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজ শুরু করেন শিক্ষকরাও। তাঁরাই স্কুলের এক পরিত্যক্ত ঘরে উদ্ধার করে ওই ১১ জনকে। প্রাথমিক ভাবে তাঁরাই ওই ছাত্রদের জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করেন। কয়েকজনের সাড়া পাওয়া গেলেও ৫ জন ছাত্রের কোনও উন্নতি দেখা যায় না। সেই পাঁচ পড়ুয়ার অবস্থা খুবই শোচনীয় মনে করে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। বাকিদের জ্ঞান ফিরে এলেও শুরু হয় প্রচণ্ড ম্থা যন্ত্রণা ও বমি। তাই তাদরেও চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখানে তাদের পরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানান এমন অসুস্থতার কারন খাবারে বিষক্রিয়া। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকদের দাবি ছিল, ওই পড়ুয়ারা ভুল করে অস্বাস্থ্যকর বা জীবাণুযুক্ত জল খেয়ে ফেলেছিল। তাই এমন পরিণতি হয়েছে তাদের।
আরও শুনুন: সুন্দরী হয়েই যত বিপদ! নেটদুনিয়ায় শিকার বয়কটেরও, অভিযোগ রূপসি মডেলের
কিন্তু সেকথা মানতে নারাজ অনেকেই। বিশেষত যারা ভূত নিয়ে চর্চা করেন তাঁদের দাবি এই অসুস্থতার কারণ হল ওই খেলা। ওই পড়ুয়ার দল কোনও আত্মাকে অনৈতিক ভাবে জাগানোর চেষ্টা করেছিল। তাই তার কোপেই তাদের এমন পরিণতি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বিভিন্ন ঘটনার কথাও উল্লেখ করেছেন তাঁরা। সব ঘটনাই বিজ্ঞানের যুক্তিকে খণ্ডন করতে প্রস্তুত। তবে সুস্থ হওয়ার পর সেই পড়ুয়াদের মধ্যে কয়েকজনের দাবি, সেদিন সত্যি সত্যিই তারা একটি আত্মার সঙ্গে যোগাযোগ করতে সফল হয়েছিল। আত্মার উপস্থিতি ভালোভাবেই টের পেয়েছিল তারা সকলে। তাই তাদের জ্ঞান হারানোর নেপথ্যেও ওই আত্মারই হাত আছে বলে মনে করে তারা।